ব্যঙ্গতে নেই প্রেমের ভাষা...

সঙ্গীর কোনও কিছুতে খারাপ লাগলে তিনি সরাসরি বলেন না। উল্টে আশ্রয় নেন সার্কাজমের, নয়তো একেবারে চুপ করে যান। সমস্যা কিন্তু খুব জটিল! জানাচ্ছেন মনোবিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি মণ্ডল। জেনে নিলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।

ঘটনা ১: ফিলোজফি অনার্সের ঋক আর শ্রুতির ঝামেলা নিয়ে আজ কানাঘুষো গোটা কলেজে। কাল ক্যাফেটেরিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারার সময়েই সমস্যা বাঁধে দু’জনের। “আমি তো জানি তোর এখন অনেক নতুন বন্ধু হয়েছে। আমি তোর সঙ্গে না থাকলেও তোর খুব একটা অসুবিধে হয় না।” ঋকের তরফ থেকে এমন নানা মন্তব্য শুনেই রেগে যায় শ্রুতি। এই কথাগুলো শ্রুতির কাছে অপমানজনক মনে হলেও, ঋক কিন্তু নির্বিকার। “চিল কর, মজা, করছি আমি! সিরিয়াসলি নিচ্ছিস কেন?” ঘটনা ২: ক্যালির্ফোনিয়ার একটা কোম্পানী থেকে দারুণ একটা চাকরির অফার পেয়েছে অনীক। কিন্তু এর জন্য তোর্সার সঙ্গে লং ডিসট্যান্স সম্পর্কে যেতে হবে। তোর্সাকে সে বিষয়ে জানাতেই ও সরাসরি বিরোধিতা করল না বটে, কিন্তু প্রায় সারা দিন কথা বন্ধ রাখল। “তোমার কেরিয়ারের ব্যাপার, যা ভাল মনে হয় করো...” তোর্সার এই ধরনের কথায় তীব্র আত্মসংশয়ে ভুগেছে সে সারাদিন।

ব্যক্তিগত জীবনে আমরা সকলেই হয়ত কখনও না কখনও উপরে উল্লিখিত ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। আপনার কোনও আচরণ হয়তো আপনার সঙ্গীটির ভারী না-পসন্দ, তা তিনি মুখ ফুটে বলছেন না, অথচ তাঁর হাবেভাবে তা অনায়াসে প্রকাশ পাচ্ছে। আপনিও অপরাধবোধে ভুগছেন, সম্পর্ক নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়ছেন। এই দোটানা পরিস্থিতির সূত্রপাত যা থেকে, মনোবিদ্যার ভাষায় তারই নাম 'প্যাসিভ অ্যাগ্রেশন'।