আপনি প্রেস্ক্রিপশন ফলো করছেন তো সিস্টার?” ঘরে ঢুকেই বিতস্তার দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটা করলেন ডা. সেন। “হ্যাঁ স্যর। আপনার অ্যাডভাইস মতো সব কিছু করা হচ্ছে।” “ দেখবেন পেশেন্টের ট্রিটমেন্টের ব্যাপারে যেন বিন্দুমাত্র গাফিলতি না থাকে।” “বিপাশা নামে যে মেয়েটিকে রাখা হয়েছে পেশেন্টের ঠিকঠাক কেয়ার নিচ্ছে তো?”
“হ্যাঁ স্যর, আপনি কোনও রকম চিন্তা করবেন না। আমার নজর আছে।” ডা. সেন একবার পেশেন্টের দিকে তাকালেন। রোগীর ভিতরে বিন্দুমাত্র চাঞ্চল্য লক্ষ করলেন না তিনি। হুইল চেয়ারে যেমন ভাবে বসেছিল সেই ভাবেই বসে আছে। নিস্পৃহ দৃষ্টি। কিছুটা আত্মসমাহিত। যেন সুদূর কোনও অতীতে বিচরণ করছেন। ডা. সেন নতুন কিছু ওষুধ অ্যাড করলেন। আগের ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করে সেগুলো আবার বিতস্তাকে বুঝিয়ে দিলেন। তার পর আরও একবার রোগীর দিকে তাকিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। বিশাল প্রাসাদোপম বাসগৃহ ‘একটুকু বাসা’ ডা. অতলান্ত সেনের। তাঁর বাবা নামকরা ব্যারিস্টার। দাদুও ছিলেন রাঁচির নামকরা ফিজিশিয়ান। মা মারা গিয়েছেন খুব ছোটবেলায়। অতলান্ত এখনও বিয়ে করেননি। সিকিয়োরিটি কাম গেটম্যান রাজেশ মাহাতো ‘একটুকু বাসা’তে পঁচিশ বছর ধরে ডিউটি করছে। ডা. সেন নিজেই আজ চালকের আসনে বসলেন। এক মাসের নাম করে ছুটিতে দেশের বাড়িতে গিয়েছে ড্রাইভার দেবেশ ডস। তিন মাস হয়ে গেল আসার নাম নেই। জমিজমা সংক্রান্ত ব্যাপারে অনেক দিন ধরে ছুটি চাইছিল।
গাড়িতে উঠে এফএম অন করতেই খবর শুরু হল। তিনি ড্রাইভ করতে করতেই শুনতে পাচ্ছেন, বেশ কিছু দিন আগে রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে গিয়েছে জঙ্গলমহলের পাষাণী দেবীর মূর্তি। খবর পেয়ে চলে আসেন জঙ্গলমহল থানার আইসি। সঙ্গে আরও তিনজন স্টাফ সরেজমিনে তদন্ত করতে এসেছিলেন। ত্রিকূট পাহাড়ের উপরে বহু কালের পুরনো এই পাষাণী দেবীর মন্দির। আদিবাসী অঞ্চল এটি। জঙ্গলে ঘেরা মন্দিরটি সচরাচর কারও চোখে পড়ার কথা নয়। এখনও পর্যন্ত দেবী মূর্তির হদিস পাওয়া যায়নি। আশপাশে থানা, চৌকিগুলোতে অলরেডি খবর পাঠানো হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশদের অ্যালার্ট করা হয়েছে। নাকা চেকিং অব্যাহত আছে। পুলিশের অনুমান মূর্তি ধারেকাছেই কোথাও আছে। এখনও পাচারকারীরা সরিয়ে ফেলতে পারেনি।
Bu hikaye SANANDA dergisinin July 30, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye SANANDA dergisinin July 30, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।