ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেশিয়াল

কোন ত্বকে কী ধরনের ফেশিয়াল সবচেয়ে উপযোগী? বিশদে জানাচ্ছেন রূপবিশেষজ্ঞ ব্রিজেট জোনস। জেনে নিলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।

- উপমা মুখোপাধ্যায়।

পুজোর আগে সকলেই চান, তাঁদের ত্বক যেন ঝলমলে দেখায়। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ ঝেড়ে ফেলতে এই সময়ে প্রায় সকলেরই রূপ-রুটিনে সংযুক্ত হয় ফেশিয়াল। যদিও কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের আগে করানো ডেশিয়াল করানোর প্রবণতা বাড়ে, কিন্তু ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে এটি খুব প্রাথমিক একটি বিষয়। ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে, এজিংয়ের মতো সমস্যা এড়াতে ফেশিয়াল অনেকেরই ‘গো-টু-স্কিন কেয়ার রুটিন’। কিন্তু অনেকেই ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেশিয়াল বেছে নিতে পারেন না। ত্বক শুষ্ক হলে তার এক রকম দাওয়াই, সংবেদনশীল ত্বকে আর এক রকম। ত্বকে ব্রণ থাকলে এক ধরনের ফেশিয়াল জরুরি, আবার ত্বক হাইপারপিগমেন্টেড হলে অন্য ধরনের। আপনার ত্বক অনুযায়ী কোনটি উপযুক্ত, তা না বুঝেই ফেশিয়াল করালে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই কোন ত্বকে, কেমন ফেশিয়াল দরকারি— জেনে নিন।

স্বাভাবিক ত্বক স্বাভাবিক ত্বক হল সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ত্বক। এই ত্বক তেলতেলে কিংবা শুষ্ক কোনওটাই নয়, অর্থাৎ এতে পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় থাকে। ত্বকের রোমকূপগুলিও স্বাভাবিক মাপের হয়। ব্রাইটেনিং ফেশিয়াল: নর্মাল স্কিনের জন্য এই ফেশিয়ালটি সবচেয়ে কার্যকর। এতে ত্বক এক্সফোলিয়েটেড হয়। ফলে তা উজ্জ্বল ও ইভন-টোনড দেখায়।

শুষ্ক ত্বক শুধু শীতকালে নয়, শুষ্ক ত্বকের নানা সমস্যায় বছরভরই জেরবার হতে হয়। এতে ত্বক ডিহাইড্রেটেড থাকে, ফলে খসখসে দেখতে লাগে, অনেক ক্ষেত্রে চামড়ার পিলিংও শুরু হয়।

হাইড্রেটিং ফেশিয়াল: আপনার ত্বক শুষ্ক হলে হাইড্রেটিং ফেশিয়াল করে দেখতে পারেন। এই ফেশিয়ালে ত্বকে আর্দ্রতা ইনফিউজ় করা হয় মূলত হায়লুরনিক অ্যাসিড, সেরামাইডস, নায়াসিনামাইড ইত্যাদির মাধ্যমে।