মা কখনও বুঝতে দেননি যে, আমি কিছু হারিয়েছি বা বাকিদের চেয়ে আলাদা হয়ে গিয়েছি।

ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনায় হাত হারালেও মনের জোর হারাননি নিষাদ কুমার। টোকিয়ো ও প্যারিস প্যারালিম্পিক্সে পরপর দু'বার রুপো জিতলেন তিনি।

টেকিয়ো প্যারালিম্পিক্সে তাঁর হাত ধরেই হাই জাম্পে রুপো এসেছিল। আর প্যারিসেও নিজের সেই রেকর্ড অক্ষত রাখলেন হিমাচল প্রদেশের বছর ২৪-এর নিষাদ কুমার। পরপর দু'টি প্যারালিম্পিক্সে রুপো (দু'টিই হাই জাম্প টি৪৭ বিভাগে)... স্বপ্নের দৌড় নিশ্চয়ই। প্রসঙ্গত, টি৪৭ বিভাগটি হল সেই অ্যাথলিটদের জন্য, যাঁদের কনুই বা কব্জির নীচ থেকে অ্যাম্পুটেশন হয়েছে। হিমাচলের ছোট্ট গ্রামে যখন মায়ের উৎসাহে খেলাধুলোয় হাতেখড়ি হচ্ছে নিষাদের, তখনই ঘটে এক দুর্ঘটনা। বদলে যায় তাঁর জীবন। নিষাদের বাবা ছিলেন কৃষক। নিজেদেরই জমিতে সাড়ে সাত বছর বয়সে ঘাস কাটার যন্ত্রে ডান হাত ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় নিষাদের। কিন্তু জীবন তাঁর জন্য যে চিত্রনাট্যই লিখুক না কেন, তিনি যে অন্য এক সাফল্যের চিত্রনাট্য ভেবে রেখেছিলেন! শুরুর দিকের কথা বলতে গিয়ে তিনি বললেন মায়ের কথা, “মা রাজ্য স্তরে খেলতেন। ভলিবল, শট পুট আর ডিস্কাস থ্রোয়ার ছিলেন। প্রচুর উৎসাহ দিতেন আমাকে খেলার জন্য। শুধু বলতেন, সময়ে যেন বাড়ি ফিরে আসি (হাসি)! স্কুলে যখনই জিজ্ঞেস করা হত, খেলায় কে অংশ নেবে, আমার হাত সবার আগে উঠত। জানতাম, বাড়িতে এসে মা-কে জিজ্ঞেস করলে অনুমতি পাবই। এ ভাবে স্কুলকে অনেক পদক দিয়েছি।”