আপনার পরিবারে প্রায় সকলেই আ । ডাক্তার। আপনি ব্যতিক্রম। রান্নাকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা ভাবলেন কখন? পরিবারের বাকিরা ডাক্তার বলে প্রত্যাশা ছিল যে, আমিও ডাক্তারি পড়ব। আমি পড়াশোনায় অত ভাল ছিলাম না, অত বুদ্ধিমানও ছিলাম না। আমার এক কাকা হোটেল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়ার পরামর্শ দেন। বেঙ্গালুরুর একটি হোটেল ম্যানেজমেন্ট স্কুলে ভর্তি হই। প্রথম দিকে শেফ হওয়ার পরিকল্পনাই ছিল না! ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার সময়ে মায়ের ব্রেস্ট ক্যানসার ধরা পড়ে। আমি বড় ছেলে, ফলে পেশাগত দিক থেকে কিছু করে দেখানোর তাগিদ বাড়তে থাকে তখন। সেকেন্ড ইয়ারে কোলাবার তাজ প্রেসিডেন্টে অন জব ট্রেনিং শুরু করি। সে সময়ে আমি রুম সার্ভিস ম্যানেজার হতে চাইতাম। সুট পরে বড় হোটেলে চাকরি করব, আমার কাছে সম্মানের ছিল সেটি! ট্রেনিংয়ের সময়ে তিন মাস কিচেনে কাজ শেখার সুযোগ পাই। তখনও শেফ হওয়ার কথা ভাবিনি। ওই হোটেলের তাই প্যাভিলিয়নে এক তাই মহিলা শেফ ছিলেন। ওঁর প্যাশন দেখে মুগ্ধ হই। মা চলে যাওয়ার পরে থার্ড ইয়ারে পড়ার সময়ে আমার প্রতিষ্ঠানে তরুণ শেফদের একটি প্রতিযোগিতা হয়। এক হস্টেলের বন্ধু প্রায় জোর করেই আমার নাম দেয়। সে সময়ে একাকিত্বে ভুগতাম, কাঁদতাম। ওই প্রতিযোগিতায় রানার আপ হওয়ার পরে জীবনের মোড় ঘোরে। রাঁধলে আনন্দ পেতাম। ধীরে ধীরে রান্নার প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে। আর পিছনে ফিরে তাকাইনি।
প্রথম বার কবে রান্না করেছিলেন মনে আছে? ক্লাস সেভেনে পড়ার সময়ে। মা ডাক্তার ছিলেন, একদিন মা অসুস্থ হওয়ায় আমরা ভাইবোনেরা সে দিন বাড়িতে ছিলাম। মায়ের কাছ থেকে শিখে খিচুড়ি বানাই। দারুণ কিছু হয়নি খেতে, তবুও মা জড়িয়ে ধরে আদর করেন। ট্রেনিংয়ের সময়ে শেফরা খুব একটা রান্নার সুযোগ দিতেন না। সবজি কাটা, ধোওয়া... মূলত রান্নাঘরের নেপথ্যের কাজ করতাম। তবে একবার একজন শেফ আমাকে রাঁধার সুযোগ দিয়েছিলেন। পেশাগত জীবনে সেই আমার প্রথম করা রান্নাচিকেন টিক্কা। ম্যারিনেশন, চিকেন টুকরো করা... সব ওই শেফ ধরে ধরে শিখিয়েছিলেন। প্রথম রান্না তো, তাই খুব স্পেশ্যাল আমার কাছে।
আন্তর্জাতিক স্তরে, বিদেশের রেস্তরাঁয় যখন রাঁধেন, তখন আপনার বাড়ি বা হোমটাউন মুম্বইয়ের প্রভাব থাকে নিশ্চয়ই?
Bu hikaye SANANDA dergisinin September 30, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye SANANDA dergisinin September 30, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
উৎসবে আনন্দ ধ্বনি....
দেবীর আগমনে আর মাত্র কয়েক দিনেরই অপেক্ষা। মাতৃ বন্দনায় নারীর সাজে থাকুক চিরন্তন শাড়ি। উৎসবের সাজে ‘আনন্দ' শাড়ির এক্সক্লুসিভ কালেকশনে সাজলেন নব প্রজন্মের অভিনেত্রী সৃজা দত্ত । সঙ্গে রইলেন মৌমিতা সরকার।
ঘন বাদামির নান্দনিকতা
একদিকে পুরনো জিনিস, কাঠের সামগ্রীর প্রতি ভালবাসা, অন্যদিকে অদলবদল করে অন্দরসাজে বদল... দুইয়ের মিলমিশে রাশি রায়ের অন্দরমহলে রয়েছে নিজস্বতা। ঘুরে দেখলেন পারমিতা সাহা।
শরৎমোহিনী
বর্ষার জলছবি কাটিয়ে প্রকৃতি আবার আনন্দময়ী। কাশ, শতদল, নীল-সাদা মেঘ বা ভোরে শিউলির টুপটাপ মেকআপের শরৎ-সাজ, অনিকেত গুহ-র ভাবনায়।
পার্বণী ইলিশা
উৎসবের আনন্দমুখর দিনে পাত জমিয়ে তুলুন ইলিশের স্বাদে। সাতটি সহজ ও সুস্বাদু রেসিপির খোঁজ দিলেন এগজ়িকিউটিভ শেফ সজীবনাথ ভৌমিক। সংকলনে পৃথা বসু।
কেমন চুলে কোন ট্রিটমেন্ট?
চুলের কী ধরনের সমস্যায় কোন ট্রিটমেন্ট করলে ভাল হয়? পথ দেখালেন রূপবিশেষজ্ঞ প্রিসিলা কর্নার। জেনে নিলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
ফিউশনের যোগা‘যোগ
যোগচর্চার ঐতিহ্যে স্বাতন্ত্র্য রূপ পাচ্ছে ‘ফিউশন যোগ’-এর ট্রেন্ড। সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
স্বাদের রাজকীয় ‘তাজ’
শহরের ঐতিহ্যবাহী রেস্তরাঁ তাজ বেঙ্গল পা দিল গৌরবের পঁয়ত্রিশ বছরে। তাঁদের রন্ধনদক্ষতায় ভর করে দেশ-বিদেশের স্বাদ বঙ্গে পৌঁছেছে, বাংলার নিজস্ব খাদ্যসংস্কৃতি পেয়েছে অনন্য মাত্রা। রইল তাদের পাঁচটি রেস্তরাঁর বিভিন্ন সিগনেচার ডিশের লোভনীয় রেসিপির সঙ্কলন।
প্রবহমান এক সাংস্কৃতিক পরম্পরা
মণিপুরি নৃত্যশৈলীর দিকপাল পরিবার। কলাবতী দেবী ও গুরু বিপিন সিংহের লেগাসিকে গৌরবের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন মেয়ে বিম্বাবতী দেবী। মা-মেয়ের সঙ্গে আড্ডায় মধুরিমা সিংহ রায়।
জঁলপ্রপাতের গল্প
সাদা চাদর বিছিয়ে দিচ্ছে জলের তোড়! নদীর বাঁকে জলহস্তী, ঝোপের ফাঁকে ওয়ার্টহগ। কোথাও লিভিংস্টোনের দ্বীপ, কোথাও বা ‘শয়তানের পুল’! ভিক্টোরিয়া ফল্স ঘুরে দেখার রঙিন অভিজ্ঞতা, বিদিশা বাগচীর কলমে।
শারীরচর্চায় ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি
ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি লিখছে ফিটনেসের নতুন সংজ্ঞা। বাড়িতে কী ভাবে আয়ত্ত করবেন ভিআর ফিটনেস? জানাচ্ছেন ভিআর অন্ত্রপ্রনর ও ফিটনেস এন্থসিয়াস্ট অমরেশ ওঝা। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায়।