
দিল্লি থেকে মোট ১২০ কিলোমিটার। তিন ঘণ্টার বেশি লাগার কথা নয়। আমরা যারা ভ্রমণপিপাসু, তাদের কাছে ১২০ কিলোমিটার দূরত্ব কিছুই নয় বটে! তাই বেরিয়ে পড়লাম। গন্তব্য, নিমরানা। রাজা পৃথ্বীরাজ চৌহানের রাজধানী ছিল আজমের। কিন্তু উনি দুর্গ তৈরি করেন আলওয়ারের নিমরানায়। শোনা যায়, বহু পূর্বে নিমোলা নামে এক রাজা জায়গাটি শাসন করতেন। পরবর্তী কালে চৌহানরা দখল করলে, নিমোলার অনুরোধে জায়গাটির নাম তাঁর নামের সঙ্গে মিলিয়ে নিমরানা রাখা হয় ।
দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ে ধরে এগোলাম। হাইওয়ের ধারে সাজানো নানা লোভনীয় সব খাবার মোটেই উপেক্ষা করা গেল না! আলু পরোটা, পনির পরোটা, পেঁয়াজ পরোটা, গোবি পরোটা, ডাল মাখানি, ছোলে বাটুরে, দহি কড়হি, ডাল বাটি চুরমা... আরও কত কী! হাতে যখন সময় আছে, বেশ কয়েক বার ধাবায় রাজস্থানি, পঞ্জাবি খাবার চেখে নিলাম। দেখতে দেখতে পথের দু'পাশের সবুজ কমে এল। দিগন্তে পাথুরে আরাবল্লি একটু একটু করে জাগছে। প্রবেশ করলাম রাজস্থানের জেলা শহর আলওয়ারে। কাছেই নিমরানা। খুব সাধারণ ছোট জনপদ। তারই এক প্রান্তে, আরাবল্লির কোলে শোভা পাচ্ছে পাথরের তৈরি নিমরানা দুর্গ। আঁকাবাঁকা, অল্প উঁচুনিচু পাহাড়ি পথ ধরে এগিয়ে এসে দাঁড়ালাম দুর্গের সামনে। মনে পড়ে গেল বীরশ্রেষ্ঠ পৃথ্বীরাজ চৌহানের কথা। গাড়ি রাখার জায়গা দুর্গের বাইরে, তাই গাড়ি বাইরে রেখেই আমরা প্রবেশ করলাম সদর দরজা দিয়ে। সেটি প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট উঁচু হবে। এই দরজা দিয়েই হাতির পিঠে চড়ে প্রবেশ করতেন রাজা এবং তাঁর সৈন্যসামন্ত। দুর্গ তৈরির সময়ের সেই কাঠের দরজা আজও অক্ষত! ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দরজায় ওয়াচম্যান রাজস্থানি পোশাকে দণ্ডায়মান। আমাদের নমস্কার জানিয়ে পথ দেখালেন। রিসেপশনে এন্ট্রি করিয়ে দুর্গের অভ্যন্তরে প্রবেশ।
Bu hikaye SANANDA dergisinin November 15, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye SANANDA dergisinin November 15, 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap

নো ডে উইদআউট আ লাইন
পরেশ মাইতি ও জয়শ্রী বর্মণের জীবন জুড়ে রয়েছে রং আর তুলি। যদিও তুলির টানে, রঙের রেখায় তাঁদের দুই মেরুতে অবস্থান। কিন্তু মিলে যান অন্তরের আহ্বানে। তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনে পারমিতা সাহা।

দাম্পত্যের মন
একে দাম্পত্য, তার উপর আবার মন— - জটিলতা তো থাকবেই! মনস্তত্ত্বের সেই বহুবিধ ও বহুস্তরীয় জটিলতা ও পরিবর্তনের ঢেউ নিয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা। লিখছেন পৃথা বসু ও উপমা মুখোপাধ্যায়।

প্রাসাদে ন্যুব্জ নগরী!
কলকাতা শহরে বহুতল হেলে পড়ার নেপথ্যের কারণ কী? আগামী দিনে সত্যিই কি বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে এই শহর? আলোচনায় ভূবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. সুজীব কর। লিখছেন পৃথা বসু।

গিয়ে বারে সিনড্রোম
দেশ জুড়ে আতঙ্কের নয়া নাম ‘গিয়ে বারে’ বা জিবি সিনড্রোম। চিকিৎসার সম্পূর্ণ গাইডলাইন দিচ্ছেন বিশিষ্ট কনসালট্যান্ট ফিজ়িশিয়ান ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখছেন অনিকেত গুহ।

রুমমেটের সঙ্গে সমকামী সম্পর্ক
সম্পর্কে জড়ানো হোক বা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা, প্রতিটা সিদ্ধান্তই ভেবেচিন্তে নিন।

রূপ রুটিনের নয়া ট্রেন্ড ‘স্লাগিং’
বর্তমানে সমাজ মাধ্যমের এক অতি পরিচিত ট্রেন্ড, স্লাগিং । বিশদে আলোচনা করলেন রূপ বিশেষজ্ঞ মৌসুমী মিত্র। লিখছেন পৃথা বসু।

নিশিগন্ধা-অরণ্য কাহিনি
অরণ্যের ঘরে ঢুকে নিশিগন্ধা থ মেরে যায়। ও যেন এক রঙিন স্বপ্নের মায়া জগতে প্রবেশ করেছে। ঘরের মধ্যে রাখা উল্টো দিকের ইজেল থেকে হরেক রঙের বাহারে আর এক নিশিগন্ধা ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে। ওর গজ দাঁতটাও কী জীবন্ত! কী অপূর্ব রঙের কাজ! অনেক আদরে সোহাগে নিখুঁত ভাবে বোলানো হয়েছে প্রতিটা তুলির টান।

দাম্পত্য সন্তান, সমীকরণ
স্বামী-স্ত্রী-সন্তান, দাম্পত্যনামার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সন্তানলাভের পরেও কি অটুট থাকে দাম্পত্যের রসায়ন? সম্পর্কের ব্যতিক্রমী প্রবাহে কতটা ‘সুখী’ হয় দাম্পত্যজীবন? বোঝার চেষ্টায় অনিকেত গুহ।

আমার কাছে ঢাকিদের বঞ্চনার প্রতিবাদ একটা আন্দোলনের মতো
পুজো মণ্ডপ থেকে ঢাককে তিনি পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। রবিশঙ্কর থেকে জাকির হুসেন, আমজাদ আলি খান... বিশ্বমঞ্চে পারফর্ম করেছেন নামী শিল্পীদের সঙ্গে। এ বারের পদ্মশ্রী প্রাপক গোকুল চন্দ্র দাসের সঙ্গে কথা বললেন মধুরিমা সিংহ রায়।

জঙ্গল, পাহাড় এবং নদীর সঙ্গম
এমনই এক জায়গা চিতওয়ান ন্যাশনাল ফরেস্ট। নেপালের বুকে যেন এক টুকরো সবুজ স্বর্গ। সেখানে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করলেন পারমিতা সাহা।