তি -নি ছিলেন পদ্মভূষণপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জুলিয়ান হাক্সলি, ডি এইচ লরেন্স প্রমুখের সঙ্গে তাঁর ছিল প্রগাঢ় বন্ধুত্ব৷ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন, জর্জ বার্নাড শ-এর সঙ্গে ছিল তাঁর হৃদ্যতা। তিনি কে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হোঁচট খেতে পারেন অনেকেই। তিনি ছিলেন বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর সহকারী, ভগিনী নিবেদিতার স্নেহধন্য, শ্রীরামকৃষ্ণদেব-বিবেকানন্দের আদর্শে দীক্ষিত একজন সৈনিক। বিবেকানন্দের মন্ত্রশিষ্য সদানন্দের একান্ত সেবক। তবু এই মানুষটিকে শনাক্ত করতে কষ্ট হয়। এই মানুষটির কষ্টসংকুল পথে বেড়ে ওঠা ও পরিচয় প্রাপ্তির কাহিনি ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। তিনি বিজ্ঞানী বশীশ্বর সেন। ১৮৮৭ সালের ৩১ আগস্ট তাঁর জন্ম বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। তাঁর পূর্বপুরুষ বাঁকুড়ার ইন্দাস গ্রাম থেকে উঠে এসেছিলেন বিষ্ণুপুরে। বাবা ছিলেন কলকাতা ইউনিভার্সিটি থেকে বাঁকুড়া জেলার প্রথম গ্র্যাজুয়েট, কিন্তু শিক্ষিত পরিবেশ থেকে উঠে এলেও তাঁর বাল্যকালের পড়াশোনার পথ সুগম ছিল না। খুব কম বয়সে পিতৃহারা হন।
পিতার মৃত্যুর পর বশীশ্বরদের আর্থিক অবস্থা সঙ্গিন হয়ে ওঠে, তাই পড়াশোনার জন্য একপ্রকার মায়ের অমতে মেজদির ভাসুরের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। তাঁর জামাইবাবু রাঁচি কোর্টে কর্মরত থাকায় বশীশ্বর ভর্তি হন রাঁচিতে। সেখানে মেধাবী মননের পরিচয় দেন বশীশ্বর। এই সময় তাঁর মায়ের মৃত্যু ঘটে, তখনও মাধ্যমিক হয়নি। রাঁচি থেকে মাধ্যমিক পাস করে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হন। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াকালীনই বন্ধু বিভূতিভূষণ ঘোষ একদিন তাঁকে নিয়ে আসেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠে। মহারাজ সদানন্দের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎটি অবশ্য সুখকর হয়নি বশীশ্বরের। তাঁর আচরণ মহারাজকে খুশি করতে পারেনি। যথেষ্ট তিরস্কৃত হয়েছিলেন যুবক বশী। কিন্তু দ্বিতীয়বার বন্ধু বিভূতিভূষণ তাঁকে যেতে বললে এক অমোঘ আকর্ষণে তিনি না করতে পারেননি। আর দ্বিতীয়বার থেকেই এক অদ্ভুত তালমেলে তাঁর জীবন জড়িয়ে পড়ে শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের ভাবধারায়। বেলুড় মঠের মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ তাঁর জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্ব যা তাঁর পরবর্তী জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে।
Bu hikaye Sukhi Grihakon dergisinin January 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Sukhi Grihakon dergisinin January 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।