আ স্কল, মে আই ইউজ ইয়োর চার্জার পয়েন্ট?' | আর্জিটা শুনে মাথা তুলে দেখলাম বাইশ-চব্বিশ বছরের একটি ছেলে। পরনে ফেডেড জিনস, গায়ে টি-শার্ট, হাতে বেশ দামি মোবাইল সেট। এই ছেলেটি চার নম্বর। এর আগে আরও তিনজন মোবাইলে চার্জ দিয়ে গেছে। তারাই খবর দিয়েছে হয়তো। ‘যা ভাই, উঁহা পর এক চার্জার পয়েন্ট বিলকুল ফাঁকা হ্যায়।' আগের তিনজনকে যখন অনুমতি দিয়েছি তখন একে আর বাদ দিই কেন। মাথা নেড়ে সম্মতি জানালাম। শ্বাস-প্রশ্বাস না নিলেও বোধহয় চলে কিন্তু স্মার্ট ফোন আর নেট ছাড়া জীবন অসার। নিজের প্যান্টের বাঁ পকেটে রাখা মান্ধাতা আমলের ফোনটায় হাত বোলালাম। বেঁচে থাক এসব ছোট ফোন সেটগুলো। একবার চার্জ দিলে তিনদিন চলে।
রাতের অন্ধকার চিরে ছুটে যাচ্ছে ডাউন পূর্বা এক্সপ্রেস। ছুটছে হাওড়ার দিকে। এটাওয়া জংশন ছেড়েছে মিনিট দশেক হল। ঘড়িতে নটা পঁয়ত্রিশ। তার মানে মিনিট পনেরো লেটে চলছে ট্রেন। এসি কম্পার্টমেন্টের টিকিট পাইনি; অগত্যা স্লিপার ক্লাসের একটা কম্পার্টমেন্টের লোয়ার আর মিডল বার্থে রয়েছি আমি আর আমার স্ত্রী কেয়া। বেশ কিছুটা ভয়ে ভয়েই যাচ্ছি। এই বোধহয় কোনও স্টেশনে ট্রেন থামবে আর হুড়মুড় করে বেনো জলের মতো প্যাসেঞ্জার উঠে পড়বে। সত্যি বলতে কী, এখন জেনারেল আর স্লিপার কোচের মধ্যে কোনও তফাত নেই। এখন মানে মানে রাতটুকু ভালো করে ঘুমোতে পারলে হয়। দিল্লি গিয়েছিলাম ছেলেকে দেখতে। জেএনইউতে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে মাস্টার্স করছে বাবাই। সবেধন নীলমণি বলতে ওই একটাই সন্তান। হায়ার সেকেন্ডারির পর থেকেই ঘরছাড়া। তবে গ্র্যাজুয়েশনে রাজ্য ছাড়া হয়নি। মফস্সল থেকে কলকাতার নামী কলেজ। মাসে দু'বার দিনে দিনে গিয়ে ছেলের সঙ্গে হস্টেলে দেখা করে আবার ফিরে আসা যেত।
বছর আড়াই-তিন ধরে সেই রুটিনেই অভ্যস্ত হয়ে গেছিলাম। এখন দেখা করার জন্য দূরপাল্লার ট্রেনে দেশের রাজধানীতে পাড়ি দিতে হচ্ছে। ভালো রেজাল্ট করে দেশের অন্যতম সেরা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাবার খেসারত কি এটা? লটারি পেলে ট্যাক্স দিতে হয়। এটাও কি ছেলের ভবিষ্যৎ সিকিউরিটির ট্যাক্স? এর পরের ধাপ কি বিদেশ? এখন তো শুনি ভালো ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির ফেলোশিপ নিয়ে কিংবা পোস্ট ডক করতে টপাটপ বিদেশ চলে যাচ্ছে। ‘কী ভাবছ?’ পাশ থেকে জিজ্ঞেস করে কেয়া। ‘কী আবার ভাবব? এমনিই ....
Bu hikaye Sukhi Grihakon dergisinin June 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Giriş Yap
Bu hikaye Sukhi Grihakon dergisinin June 2024 sayısından alınmıştır.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Giriş Yap
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।