সম্প্রতি কলকাতার রুবি পার্কে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন হিন্দু মহাসভা দুর্গাপুজোর ছলে তার অসুস্থ মানসিকতার একটি নতুন পরিচয় রাখল। সেই তথাকথিত পুজোর প্রদর্শিত মাতৃমূর্তির পাদদেশে স্থান পেয়েছেন যে ‘অসুর’, তিনি আর কেউ নন— যাঁকে অন্তত দু’টি প্রজন্ম এত দিন ‘জাতির পিতা’ অভিধায় সম্বোধনে অভ্যস্ত, সেই মোহনদাস কর্মচন্দ্র গান্ধী। অসুরবেশী গান্ধী, যিনি বর্শাবিদ্ধ হচ্ছেন সিংহবাহিনী দেবীর হাতে। দৃশ্যটি এক বার অনুভব করুন! এবং কল্পনা করুন এই চিত্রকল্পটির ঐতিহাসিকতা। আজ থেকে প্রায় পঁচাত্তর বছর আগে ওই হিন্দু মহাসভা দ্বারা প্রেরিত এক খুনি, নাথুরাম গডসে, তার মন্ত্রদাতা গুরু বিনায়ক দামোদর সাভারকরের আশীর্বাদ নিয়ে, গান্ধীর বুকে পরপর তিনটি বুলেট চালিয়ে তাঁর প্রাণ সংহার করে অর্জন করেছিল সদ্য স্বাধীন ভারতের প্রথম নৃশংস ঘাতকের বিশেষ আসনটি। যখন সারা পৃথিবী নতুন করে তটস্থ ফ্যাসিবাদীদের পুনরুত্থানের ভয়ে, তখন ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি মাসে গান্ধীর মতো মানবিকতার পূজারির হত্যাকাণ্ড দেশের পক্ষে চরম লজ্জার বিষয় ছাড়া আর কী-ই বা হতে পারে? কিন্তু কিছু ব্যক্তির কাছে তা গর্বের বিষয়। নইলে আজ গান্ধীকে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে অসুর রূপে চিত্রিত করা হয়?
হিন্দু মহাসভা ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের পালিত ভারতীয় জনতা পার্টির ১৯৮০ সালে রাজনৈতিক উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল দেশের রাজনীতিতে হিন্দু জাতীয়তাবাদের দ্বারা কেন্দ্রবিন্দুটি অধিকারের সংগ্রাম। তা ঘটেও গেল ২০১৪ সালে, যখন লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করল বিজেপি।
هذه القصة مأخوذة من طبعة October 17, 2022 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة October 17, 2022 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।