বাইপাস ছেড়ে বাঁকা রাস্তাটা যেখানে আরও পুবের দিকে এগিয়ে যায় ধাপার দিকে, সেই মোড়টার মাথায় সাঁঝের বেলায় বার কয়েক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি এক সম্ভ্রান্ত মহিলাকে। হাতে জুঁইফুলের মালা আর ধূপকাঠির প্যাকেট।
নিতান্ত ঔৎসুক্যকে ভরসা করে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম, ঠিক কী কারণে বারবার তিনি আসেন ওই অখ্যাতভূমে? ভদ্রমহিলা শুধু আঙুল তুলে দেখিয়ে দিয়েছিলেন সেই পথটা। অস্পষ্ট গলায় বলেছিলেন, ‘মালাটা ওকে দেওয়া হয়নি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে এই পথ ধরেই ও হারিয়ে গেছিল করোনার কাচের গাড়ি চেপে। দু'দিন আগে থেকে এসেছিল আগুনে জ্বর। বারবার শুধু বলছিল বুকটার উপর হিমালয় চেপে বসেছে।'
উচিত-অনুচিতের হিসেব করা নাগরিক ব্যবহারিক জীবনের মাপকাঠিতে উল্লিখিত ভদ্রমহিলার সংলাপ এবং চলাফেরা, ‘তিনি অপ্রকৃতিস্থ’, এই শব্দের ছোবলে আমাদের সজাগ দৃষ্টির আড়ালে থেকে যাবে। এই হিসেবও কেউ করেনি যে, এদেশে, এই শহরে, এই মুহূর্তে আরও কতজন নিভৃতে দুঃখের প্রদীপ জ্বালিয়ে একই ভাবে জীবন সেঁকছেন। মৃত্যু উপত্যকা থেকে ছটফট করতে করতে যাঁরা বেরোতে পেরেছিলেন, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার ‘লং কোভিড’ বলে একটা শব্দ ঘাড়ে চাপিয়ে আপাত নিস্তরঙ্গ করোনার বেলাভূমিতে শামুক হয়ে নড়াচড়া করছেন। সেখানেও কিন্তু অ-শরীরী অনুভূতির কোনও জায়গা নেই। করোনা এখনও
মানুষকে ছেড়ে যায়নি। কিন্তু মানুষ তার রূপ এবং অঝোরে ঝরার শব্দ কত তাড়াতাড়ি ভুলতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে। ২০২০, ২০২১ ও ২০২২, এই তিন বছর ধরে মানুষ যখন করোনার ঢেউ গুনছিল, তখনও স্বাস্থ্যব্যবস্থার পরিচালক এবং শাসকদের কাছে তা ছিল সংখ্যার মায়ার খেলায় কোভিড সামলে নেওয়ার যজ্ঞের মতো। বিশ্বপ্রগতির খোলা চুল আবারও উড়তে শুরু করেছে বসন্ত বাতাসে। এরই মাঝে, এসেছিলে তবু আসো নাই ঢঙে ভাইরাস মাঝে মাঝেই আঁচড় দিচ্ছে নতুন নতুন ভেক ধরে। মানুষের ভাবনার জায়গাটাও এখন ভীতিকে অস্বীকার করা। করোনা নিয়ে নাগরিক অনুভূতি ক্রমশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দিকেই এগোচ্ছে।
هذه القصة مأخوذة من طبعة May 02, 2023 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة May 02, 2023 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।