মানময়ী গার্লস স্কুল
এক সময়ে যখন অ্যামেচার থিয়েটারের চল কলকাতায় বেশ জনপ্রিয় ছিল, অফিস ক্লাবে, পাড়ার ক্লাবগুলিতে, বা কলেজে ছাত্ররা যখন নিজেরাই মঞ্চস্থ করতেন তাঁদের বাৎসরিক নাটক, তখন রবীন্দ্রনাথ মৈত্র রচিত ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’ নাটকটি খুব অভিনীত হতে দেখা যেত। নির্ভেজাল, মনোরঞ্জনকারী এমন মিষ্টি, প্রেমের কমেডি নাটক খুব কমই লেখা হয়েছে। গল্পকার সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথের লেখা এটিই বোধ হয় একমাত্র নাটক। ক্রমে বাংলা নাটকের টেক্সচার পাল্টাতে থাকল, সরল মজাদার হালকাচালের নাটকের জায়গায় দেখা দিল গম্ভীর বিষয় নিয়ে সামাজিক, রাজনৈতিক নাটক লেখার চল, এবং তার সঙ্গে ‘নাটক নামানো’র অ্যামেচার প্রয়াসগুলিও লোপ পেতে থাকল। এবং এই ধরনের কৌতুক নাটক ও নাট্য ব্রাত্য হয়ে পড়ল ক্রমে। বাংলা পেশাদার নাট্যমঞ্চের দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের সেই ১৯৩২ সালে লেখা নাটকটিই রঙরূপ তপন থিয়েটারে উপস্থাপন করলেন এক মনোরম প্রযোজনাতে।
মূল নাটকের কিছু কিছু সম্পাদনা করে— বিশেষ করে দৃশ্যভাগগুলি, আর কিছু সংযোজন করে সীমা মুখোপাধ্যায় যে-স্ক্রিপ্টটি নির্মাণ করেছেন তা মূল নাটকটির বিন্দুমাত্র ক্ষতি না করে অতিরিক্ত কিছু মধুময় পরশ দিয়েছে। যেমন হারুর সংলাপে গ্রাম্য ডায়ালেক্ট, বা জমিদারের নীহারিকাকে ‘নাত বৌ’ সম্বোধনের বদলে ‘দ্বিতীয় পক্ষ’, অথবা মহিলাদের কোঁদলটিকে পুকুর ঘাটে নিয়ে যাওয়া বা রাজেনের বাগানে মশার কামড় খাওয়া, অথবা পরিশেষে ফার্নান্ডেজকে ফোটোগ্রাফার হিসেবে মঞ্চে আনা, ইত্যাদি। নব্বই বছর পার করে এই ডিজ়াইন সর্বস্ব নাট্যনির্মাণের সময়ে কোনও ক্লাসিকাল নাটককে তার চরিত্র এবং তার নির্যাসকে সম্পূর্ণ অক্ষত রেখে তাকে উপস্থাপন করার কাজটি নেহাত সহজ নয়। কারণ এই সময়ের দর্শক সেই সময়ের দর্শকের থেকে বহু বিষয়েই ভিন্ন, বিশেষ করে তার নাট্য দেখার বা তার স্পেকটেটরশিপ বা নাট্যদর্শিতার অভ্যাসে। প্রথমত দর্শক আজ অনেক অ্যানালিটিকাল এবং যে-ধারার নাট্য দেখার অভ্যাস ক্রমে তৈরি হয়েছে আজকের দর্শকের, তাতে সাদাসিধে সংলাপ নির্ভর সিচ্যুয়েশনাল কমেডিকে গ্রহণ করাতে কিছুটা হলেও অনীহা থাকবে। কিন্তু সীমা মুখোপাধ্যায়ের মতো একজন প্রাজ্ঞ নাট্যনির্মাতা জানেন এই সময়ের দর্শককে কোন উপায়ে নাট্যালয়ে নিয়ে আসতে হবে।
هذه القصة مأخوذة من طبعة December 17, 2023 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة December 17, 2023 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।