সৌন্দর্য ও বিষাদ

কাওয়াবাতার বিশ্বাস, শিল্পের সার্থকতার প্রাথমিক দর্শনই হল, যে-কোনও মামুলি উপকরণও হয়ে উঠতে পারে অপরূপ সৌন্দর্যের অংশ। whic

- অ ভি জি ৎ মু খো পা ধ্যা য়

মা নুষ অসহায় হয়ে দেখে, এ জগৎ অনিত্য। কিছুই স্থায়ী হওয়ার নয়। নিত্য পরিবর্তনশীল এই জগতে, সময় একবার যা নিয়ে যায়, তা আর ফিরিয়ে দেয় না— জীবন, যৌবন, প্রিয়জন। সময়ের গতি যেন একরৈখিক, তাই জরা, মৃত্যু, শোক থেকে মনুষ্যজন্মে মুক্তি নেই। তবে এই জীবনে আকাঙ্ক্ষার স্থান কোথায়, কিসে তার যাথার্থ্য? বোধিপ্রাপ্ত হয়ে রাজপুত্র সিদ্ধার্থ এর উত্তর পেয়েছিলেন। ১৯৬৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী জাপানি লেখক ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা এবং তাঁর সমসাময়িক লেখকদেরও প্রায় একই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ব্যাকুল হতে হয়েছিল। নোবেল বক্তৃতায় নিজের লেখার উল্লেখ ছিল একটি কি দু’টি বাক্যে সীমিত। কী ভাবে জাপানি সাহিত্য ও আর্ট বৌদ্ধ জ়েন দর্শনের থেকে প্রেরণা আহরণ করে বিকাশ লাভ করেছে, ছিল তারই বিশদ আলোচনা।

ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর হুমকিতে, বহির্বিশ্বের থেকে প্রায় দু'শো বছরের সার্বিক বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটাতে হয় জাপানকে। সম্রাট মেইজির শাসনকালে (১৮৬৮-১৯১২, মেইজি যুগে) অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যবস্থায় শুরু হয়ে যায় ব্যাপকভাবে পশ্চিমী আধুনিকতার প্রবল অনুপ্রবেশ। বহু শতকের সাধনায় গড়ে ওঠা আভিজাত্যের সংস্কৃতিকে সামাজিক জীবনের নানা ক্ষেত্রে কোণঠাসা করে ফেলে, প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে আধুনিকতার যে-আন্তর্জাতিক মডেল, তা শিক্ষিত, ঐতিহ্য সচেতন, সূক্ষ্ম