বি "শিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রণব বর্ধনের সাম্প্রতিকতম স্মৃতিকথার নাম চরৈবেতি। উপ-শিরোনামে বলা হয়েছে, এই বই হল একজন অ্যাকাডেমিকের বিশ্বপরিক্রমার আখ্যান। এক দশক আগে বেরিয়েছিল তাঁর বাংলা স্মৃতিকণ্ডূয়ন (২০১৩), হালের বইটি খানিকটা তারই পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত ইংরেজি ভাষ্য। পুরনো বাংলা বইয়ে অধ্যায়গুলির নামকরণ ছিল না, ইংরেজি সংস্করণটিতে সুচিন্তিত অধ্যায়পরিচয় আছে। আন্তর্জাতিক ভাষায় বিশ্বায়িত আবহটিও ধরতে সুবিধে
হয় বেশি। সব মিলিয়ে, চরৈবেতিতে এক বঙ্গভাষী শিক্ষাজীবীর চলিষ্ণু ভুবনায়ন স্পষ্ট করে বোঝা যায়। চরৈবেতি বইটিকে প্রতিনিধিস্থানীয় বলেই গণ্য করব। বিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাঙালি (এবং ভারতীয়) অর্থশাস্ত্রীরা (এবং অন্যান্য সমাজশাস্ত্রীরা) খুব গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই ভূমিকা নানা কারণে ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে (কারণগুলির কথা শেষে বলছি)—এবং, এই ক্রমক্ষীয়মাণতার কারণে, এখ
পশ্চাৎদৃষ্টিতে, ওই মেধাজীবীদের সেই অর্ধশতাব্দর একদা-উজ্জ্বল ভূমিকার একটা কালিক চেহারা পরিষ্কার হচ্ছে, তদনুযায়ী তাঁদের স্মৃতিকথন বাড়ছে। পরন্তু, হেগেল বলেছিলেন, মিনার্ভার প্যাঁচা প্রদোষকালে ওড়ে। আমরাও বলি, ইতিহাসদেবীর দৃষ্টি সন্ধ্যাতেই শাণিত হয়। একটি অধ্যায় উপসংহারে পৌঁছোলে তার ঐতিহাসিক কালসীমা স্পষ্ট হয়, তার শক্তি ও দুর্বলতাসমূহ অবশেষে সামগ্রিক বর্ণনাযোগ্য অবয়ব পায়। ভারতীয়-বঙ্গীয় অর্থশাস্ত্রী-সমাজশাস্ত্রীদের এক পর্বের গৌরবময় ইতিহাস বুঝি শেষ হল, তাঁদের পরিক্রমণসমূহকে এবার ঐতিহাসিক পরিধিতে সীমায়িত করার সময় হল। প্রণব বর্ধনের উপভোগ্য, স্বাদু, বিদগ্ধ, রঙ্গপ্রিয় ও পরিহাসমুখর স্মৃতিকথায় তলে তলে এই ইতিহাস-দর্শন টের পাই।
هذه القصة مأخوذة من طبعة May 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة May 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।