- এই সময়ের উল্লেখযোগ্য নবীনপ্রবীণ কবিদের ১০০ কবিতা প্রকাশ করে (রবীন্দ্রনাথকে নিবেদিত ১০০ কবিতা, ২ মে 2024) দেশ পত্রিকা বাংলা কবিতাপিপাসু মানুষের সমীহ আদায় করে নিয়েছে। একসঙ্গে ১০০ জন কবির ভাবনায় রবীন্দ্রনাথ কতখানি কী ভাবে টঙ্কার তুলতে পেরেছেন, তার কৌতূহল নিবৃত্ত হল।
রবীন্দ্রনাথ আজও বাঙালির মননে, শিল্পে, চেতনায় কতখানি কী ভাবে বিরাজ করছেন; রাগে-বৈরাগ্যে-অভিমানে কতখানি আপনজন, কতখানি প্রাণের মানুষ, দীক্ষাগুরু-শিক্ষাগুরু, আশ্বাসের-আধ্যাত্মিকের মরমি পথিক তা এই শত কবিতায় নানা ভাবে উঠে এসেছে। রবীন্দ্রবিরোধিতা আসলে ভালবাসারই নামান্তর। দ্রোণাচার্য যেমন অস্ত্রশিক্ষা গুরু, তাঁর কাছে অস্ত্রশিক্ষা করে শিষ্যরা যেমন তাঁর বিরুদ্ধেই
অস্ত্র ধারণ করতেন এবং নিজ শিক্ষার পরীক্ষা দিতেন—রবীন্দ্রনাথও তেমনই। রবীন্দ্রনাথেই সমাগত হয়ে, তাঁর ভাবনাকে আত্মস্থ করে, তাঁর শিল্পনৈপুণ্যের পথ অনুসরণ করেই শিষ্যরা নিজস্ব পথ খুঁজতেন। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত যখন লিখলেন— “আমি তো ছিলাম ঘুমে, তুমি মোর শির চুমে গুঞ্জরিলে কী উদাত্ত মহামন্ত্র মোর কানেকানে! চলো রে অলস কবি ডেকেছে মধ্যাহ্ন-রবি হেথা নয়, হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোনখানে।” দীনেশ দাস তখন লিখলেন— “আকাশে বরুণে দূর স্ফটিক ফেনায় ছড়ানো তোমার প্রিয়নাম,
তোমার পায়ের পাতা সবখানে পাতাকোনখানে রাখব প্রণাম!” এতেই বোঝা যায় রবীন্দ্রনাথের ব্যাপ্তি কতখানি। স্বীকারে হোক কিংবা অস্বীকারেই হোক, পরোক্ষে কিংবা প্রত্যক্ষে, রবীন্দ্রনাথ আজও সমান ভাবে বাঙালি জীবনের অন্তঃস্রোতে মিশে আছেন। আমরা টি এস এলিয়টের মতোই বলতে পারি— “The river is within us, the sea is all about us;" এই মুহূর্তের কবিরাও উপলব্ধি করলেন “আমার সকল নিয়ে বসে আছি সর্বনাশের আশায়” আর সর্বনাশকে লালন-পালন করেই জীবনে যা পেলেন, সুবোধ সরকার তার কথাই বলতে চাইলেন— “তোমাকে ভালবাসলে যা সর্বনাশ হত না বাসলেও হত যতই তিরবিদ্ধ করো পাখি দু'জন গাইছে গান আজও আমার মতো।” বনের পাখি, খাঁচার পাখির মিলন যে ঘটেই চলেছে তা কবিমাত্রই জানেন। তাই এমন করে বলতে পারেন—
هذه القصة مأخوذة من طبعة May 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة May 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।