শুধুমাত্র বাংলা যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ নিয়ে আড়াইশো পৃষ্ঠারও বেশি আয়তনের আস্ত একটা বই? নীলাদ্রিশেখর দাশের বাংলা যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ: আভিধানিক বিশ্লেষণ বইটি হাতে নিয়ে প্রথমেই এরকম একটা সংশয়ী প্রশ্ন জাগে। সেইসঙ্গে কৌতূহলও হয়। ছাত্রপাঠ্য বা সাধারণ পাঠ্য বাংলা ব্যাকরণগুলিতে যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ একটি আবশ্যিক আলোচ্য বিষয় হলেও তা সমগ্র বইয়ের অংশবিশেষ হিসেবেই থেকে যায়। যুক্তব্যঞ্জনের আকার-প্রকার ও প্রকৃতি নিয়ে মাঝে মাঝে কিছু কিছু টুকরো লেখা বা আলাদা প্রবন্ধও চোখে পড়ে। কিন্তু এ-বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি বই কখনও লেখা হয়েছে বলে জানা নেই। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাই বইটি পড়ে দেখার জন্য বিশেষ একটা আগ্রহ জাগে।
যুক্তব্যঞ্জনধ্বনি নয়, বইটির আলোচ্য বিষয় হল যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ, অর্থাৎ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত যুক্তব্যঞ্জনের লিপিরূপ। সাধারণ ভাবে যুক্তাক্ষর নামেও যা পরিচিত। ভূমিকা ইত্যাদি বাদ দিয়ে বইটির বিষয়-সূচিতে রয়েছে— বাংলা যুক্তব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, পূর্ণাঙ্গ তালিকা, বর্ণভিত্তিক তালিকা, যুক্তব্যঞ্জনবর্ণের অবস্থানগত বিচার, স্থানগত ব্যবহার, ব্যাবহারিক পরিসংখ্যান এবং যুক্তব্যঞ্জনবর্ণের পূর্ণাঙ্গ আভিধানিক বিবরণ। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত যুক্তব্যঞ্জনবর্ণগুলির পূর্ণাঙ্গ আভিধানিক বিবরণ প্রস্তুত করাই এই বইয়ের প্রধান লক্ষ্য। বইয়ের নামের মধ্যেও সেই ইঙ্গিত রয়েছে। যুক্তব্যঞ্জনবর্ণের তালিকা ও আভিধানিক বিশ্লেষণের আগে বাংলা যুক্তব্যঞ্জনবর্ণ সম্পর্কে একটা পরিচিতিমূলক আলোচনা করা হয়েছে। তাতে যুক্তব্যঞ্জনবর্ণের উৎস, গঠন, বিবর্তন, নাম প্রভৃতি বিষয়ে একটা সামগ্রিক ধারণা পাওয়া যায়। এই অংশটি পড়ে নেওয়ার পর পরবর্তী অংশগুলিতে যাওয়ার অনেক সুবিধা হয়। কেননা, এখানেই আমরা জেনে যাই, কোন কোন উৎস থেকে এগুলি এসেছে, বাংলা যুক্তব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা কত। এখানে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, যুক্তব্যঞ্জনবর্ণগুলিতে যে-যে বর্ণ যুক্ত হয়েছে, সেগুলির চেহারা কখনও সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, কখনও আংশিক স্বচ্ছ এবং কখনও সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ। যেমন, ন্ন কিংবা প্ল সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, গ্র কিংবা ষ্ণ আংশিক স্বচ্ছ এবং ঙ্গ কিংবা হ্ম সম্পূর্ণ অস্বচ্ছ।
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।