কোথাকার চরিত্র কোথায় রেখেছ
ছ'দশক আগে বাংলা নাট্যের দর্শককে চমকিত করে দেওয়া এক প্রযোজনা ছিল নান্দীকার-এর উপস্থাপনায় অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্মাণে লুইজি পিরানদেল্লোর নাটক। এটি ছিল রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর কলমে পিরানদেল্লোর নাটকের বাংলা রূপান্তর, নাট্যকারের সন্ধানে ছ'টি চরিত্র। এই বাক্যটি লেখার মধ্যে নতুন কোনও কথা বলা হল না জেনেও লিখতে লিখতে মনে হল, এই সুযোগে বাংলা নাট্যের দর্শক হিসেবে যেন একটা হোমেজ দেওয়া গেল সেই নাটককারকে যিনি একশো বছরেরও আগে লিখে গিয়েছেন এই নাটক, সেই রূপান্তরকারকে যিনি আজ থেকে ষাট বছর আগে কাজটি করেছিলেন, এবং সেই নির্মাতাকে যিনি তাঁর নতুন দলের পক্ষে নাট্যটি নির্মাণ করার সাহস দেখিয়েছিলেন এক অচিরাচরিত ফর্মে। সেই ইতিহাসের যাঁরা সাক্ষী ছিলেন তাঁদের শেষের দিকের অন্যতম এই আলোচক। উক্ত নাট্যেরই যেন এক ঝাঁ চকচকে রূপান্তর দেখার প্রসঙ্গে কথাগুলি এল। কাজটি সংস্কৃতির প্রযোজনায়, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের নির্মাণে কোথাকার চরিত্র কোথায় রেখেছ। প্রথমেই যেটা উল্লেখনীয় তা হল, রুদ্রপ্রসাদের অনূদিত নাটকটিতে কোনও কারিকুরি না করেই প্রায় অদূষিত চেহারাটাই রেখেছেন দেবেশ। অবশ্যই কিছু সংযোজন, কিছু সম্পাদন করেছেন তিনি তাঁর উপস্থাপনার স্বার্থে। পিরানদেল্লোর এই নাটক বিষয়ে আলোচনা এখানে বৃথা, কারণ থিয়েটারে আগ্রহী যে-কোনও পাঠক/ দর্শকই জানেন এই আইকনিক নাটকটি কেমনভাবে দর্শককে নিয়ে গিয়ে ফেলে জীবন এবং থিয়েটারের বাস্তবতা আর বিভ্রমের এক অদ্ভুত মায়াজালে। নাটককার প্রশ্ন করেন কোনটা বাস্তব— অভিনেতা নাকি চরিত্র? অথবা প্রশ্নটা এমন হতে পারে, বাস্তবোচিত অভিনয় যদি ইলিউশন তৈরি করে তা হলে সত্যিটাও কি ইলিউশন? কারণ বাস্তবোচিত অভিনয়টা তো সত্যি। আসলে পিরানদেল্লোর মূল লক্ষ্য ছিল সত্যের আপেক্ষিকতার খোঁজ, সাবজেক্টিভিটির আলোয়। কারণ সত্য সব সময়েই আপেক্ষিক এবং তা কখনওই এক অপরিবর্তিত ধ্রুবক হতে পারে না। তাই হয়তো আইনস্টাইন নাটকটি দেখে পিরানদেল্লো-কে বলেছিলেন 'আমরা একই পথে হাঁটছি'।
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
অসুরক্ষিত এক চিকিৎসা ক্ষেত্র
স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিকৃত ভাবনা এবং দর্শনের আকাশে নিশাচর হিসেবে চিকিৎসা মাফিয়াদের উদ্ভব এবং বিকাশ।
‘ধ্রুপদী’ হল বাংলা ভাষা এ
কটা সঙ্গত প্রশ্ন উঠতে পারে ধ্রুপদী ভাষার সংজ্ঞার্থ কী? এর কী আদৌ কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞার্থ আছে?
ইজ্রায়েল-গাজা-প্যালেস্টাইন, ইরান ও সৌদি আরব, লেবানন—মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তি ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে।
ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে ভারত ইজরায়েলের কাছ থেকে সমর্থন পায়। তবে, ভারত প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকেও সমর্থন জানিয়ে এসেছে।
আমাদের রক্তকণিকারা আলোয় মাতে
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান শ্রোতাকে নিয়ে যায় অনন্তসাগরমাঝে, করুণ সুরে বাজতে থাকে চরণতলচুম্বিত পন্থবীণা।
উৎসবের অন্ধকার
সময় কখন কার হাত দিয়ে অলক্ষ্মী তাড়িয়ে লক্ষ্মীর আসন গড়ে দেয়, কেউ তা জানে না। শুধু আশা, শ্মশানের ছাইভস্ম — চেতনা, ভালবাসা, আদর্শ ও পারস্পরিক বিশ্বাসের সুধাধারায় ধুয়ে যাক। পশ্চিমবঙ্গবাসী শান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সমৃদ্ধি নিয়ে স্থিত হোক।
লক্ষ্মীশ্রী ও লক্ষ্মীনিবাস পাঁচালি
বাঙালিদের ব্যবসা করা নিয়ে আজ যতই ব্যঙ্গের তির ছুটে আসুক না কেন, বাঙালিরা সপ্তডিঙা নিয়ে ব্যবসা করতে বেরিয়ে পড়েছিল, বাংলার ইতিহাস-সাহিত্য, সেই প্রমাণ দিয়েছে একাধিকবার।
পান্থজন ও তাঁর সখা
নতুন পথের খোঁজে অক্লান্ত এই পথিক জীবনসায়াহ্নে পৌঁছেও পড়তে চাইছেন কবিতায় আধুনিকতার কম্পাস!
সিদ্ধার্থ জাতক
নিজে ঈশ্বর মানতেন না, কিন্তু মানুষ তাঁকেও ঈশ্বর বানিয়ে ছেড়েছে। তাঁর জন্মস্থল নিয়েও সীমানার এ পারে ও পারে রশি টানাটানি; ডলার-ইয়েন-এর মায়া বড় কম নয়।
দৃশ্য ও অনুভূতির রেখমালা
দর্শককে নিজের গভীর অভ্যন্তরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয় বিড়লা একাডেমির এই প্রদর্শনী।
বিপ্লব, ব্যতিক্রম ও বাস্তব
তিনটি সাম্প্রতিক নাট্যালোচনা। তাতে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ যেমন আছে, তেমনই আছে সাহিত্যনির্ভর গল্পও।