“সোসাইটি অফ কন্টেম্পোরারি আর্টিস্টস' শিল্পীগোষ্ঠীর একটি বড় প্রদর্শনী সম্প্রতি হয়ে গেল আকার প্রকার চি ত্র ক লা গ্যালারিতে: ‘মূর্ত-অমূর্ত’। প্রদর্শনীর নামকরণ থেকেই বোঝা সম্ভব যে, শুধু শিল্পদৃষ্টি ও শিল্পপ্রকরণ নিয়ে নিরীক্ষাই নয়, বরং এখানে ডিসকোর্সের একটা আদলও আছে। যার প্রকাশ ঘটে তা-ই মূর্ত, আর বিমূর্ত তার বিপ্রতীপের মেরুটি— এইরকম একটা বাইনারি আমাদের দৃষ্টিপথ শাসন করে অলক্ষেই, তাকে আমরা সচেতনভাবে খুব যে প্রশ্ন করি, তাও নয়। কিন্তু এই প্রকাশের জগতের আত্মীয়তা তো শুধু দৃষ্ট বাস্তবের সঙ্গে নয়। হৃদয় ও বোধের প্রকাশ যে শুধু চেনা পৃথিবীর সঙ্গে সংলগ্ন হয়ে থাকবে এমনটাও তো নয়। অর্থাৎ মূর্ত মানে যেমন শুধুই বাস্তবানুগ নয়, ঠিক তেমনই বিমূর্ত মানেও শুধুই দৃশ্যবাস্তববিমুখ, বিষয়টা এতটা সরল বোধহয় নয়। ছবির ক্ষেত্রে অবশ্য সাধারণত মূর্তবিমূর্তকে যোগ করে দেখা হয় রেপ্রেজেন্টেশনাল ও অ্যাবস্ট্রাক্ট, এই দু'টি এলাকার সঙ্গে, যদিও আমরা খেয়ালে রাখি না যে, এই দুইয়ের কিন্তু একটা নিহিত পারস্পরিক সংলাপ রয়েছে। মনে রাখতে হবে, শিল্পীরা এই প্রদর্শনীর নামে রেখেছেন অমূর্ত শব্দটিকে, যা বিমূর্তের বোধ থেকে আলাদা, যেখানে মূর্তির প্রসঙ্গই নেই, ফলে রেপ্রেজেন্টেশনও নেই। তবে এখানে সাদৃশ্যের সুতোকে শিল্পীরা সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছেন, এমনটাও নয়। ফলে বোধ ও তার প্রকাশ, এই দুইয়ের মধ্যবর্তী দুরূহ অনুভূতির এলাকার কথাই এঁরা বলতে চেয়েছেন বলে ভেবে নিতে হবে। চিত্রের প্রথম যোগ যে চিত্তের সঙ্গে, রবীন্দ্রনাথের এই বিশ্বাস যদি মেনে নিই তাহলে এ কথাও মেনে নিতে হবে যে, ছবি একটা অ-দৃষ্ট অনুভূতির জগতের সঙ্গে দৃঢ়নিবদ্ধ হয়ে থাকে যার প্রকাশের পদ্ধতি বহুস্তরী, নিছক দৃশ্যসত্যর পক্ষে বা বিপক্ষে যাওয়া দিয়ে তার পর্যায়ভাগ হয় না। এই প্রদর্শনী এই ধরনের নানা চিন্তাসূত্র জাগিয়ে তুলল।
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।