সাংবাদিক প্রসেনজিৎ সিংহ-র কলমে সুলিখিত স্মৃতিচিত্রণ ইস্কুল না পালিয়ে পড়তে গিয়ে লেখক, সহপাঠী ও আশ্রমিকদের নানা খণ্ডচিত্র জীবন্ত হয়ে উঠেছে। পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠে লেখক আটের দশকে
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তে যান। তখন মাধ্যমিকের ফলাফলের মূল্যায়নে এই স্কুলটি উৎকর্ষ লাভ করেছিল। ফলে গোটা দেশের শহর, আধাশহরের সম্পন্ন অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের মূল্যবোধের শিক্ষাগ্রহণ ও ভবিষ্যতের উজ্জ্বল পথের আশ্রয় হিসেবে আশ্রমের ইস্কুলের উপর অগাধ ভরসা রেখেছিলেন। আলোচ্য গ্রন্থের অবয়ব গড়ে উঠেছে ৩২টি টুকরো কথা বা আখ্যানের অঙ্গ নিয়ে। একসঙ্গে ইতিহাস, সাহিত্যগুণ ও রসবোধ যুক্ত হওয়ায় লেখাগুলি পাঠ-কণ্টক মুক্ত হয়ে উঠেছে। সময়ের ক্রম ধরে লেখা এগিয়ে চলে। কলকাতা থেকে ৩১৫ আপ হাওড়া চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জারে চেপে পুরুলিয়া স্টেশনে নেমে রিকশা ধরে মিশন। যাত্রাপথের বিবরণে প্রসেনজিৎ লিখছেন—'পুরুলিয়ার সেই শীতের মধ্যে সূর্যের মিষ্টি উত্তাপ, চারপাশের গাছপালা, সব কিছু নিয়ে একটা বেড়াতে যাচ্ছি বেড়াতে যাচ্ছি ভাব। কিন্তু বুক দুরুদুরুটা পিছু ছাড়ছে না। রাস্তার ধারে বিশাল গোশালা, একটু পরে রাস্তা থেকে কিছুটা নীচে শ্মশান। সেখানে ইতিউতি ছড়িয়ে থাকা পোড়া কাঠ, মাঠ থেকে জেগে ওঠা শিলাখণ্ড, পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শীর্ণকায়া। একটু উঁচুতে ছোট ছোট মন্দিরের আকারে গোটা কতক সমাধি সৌধ।'
কিন্তু কেমন ছিল পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের দৃশ্যপট? লেখকের জবানিতে— ‘সামনেই বিদ্যাপীঠের সুদৃশ্য গেট। তার মধ্যে দিয়ে দেখা যাচ্ছে অচিরাচরিত আকারের মন্দির। রামকৃষ্ণদেবের মূর্তিটা সোজাসুজি দেখতে না পেলে ওটা মন্দির বলে চিনতে পারতাম কিনা সন্দেহ। কী সুন্দর তার রং, কী পরিচ্ছন্ন চারপাশ... কী অপূর্ব কারুকাজ। মৃগদাবে চরে বেড়ানো হরিণ, মাঝে মাঝে ময়ূরের ক্যাঁ-ও-ও, ক্যাঁ-ও-ও করে ডেকে ওঠা। এ যেন স্বপ্নের দেশে এসে পড়েছি হঠাৎ।
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة June 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
অসুরক্ষিত এক চিকিৎসা ক্ষেত্র
স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিকৃত ভাবনা এবং দর্শনের আকাশে নিশাচর হিসেবে চিকিৎসা মাফিয়াদের উদ্ভব এবং বিকাশ।
‘ধ্রুপদী’ হল বাংলা ভাষা এ
কটা সঙ্গত প্রশ্ন উঠতে পারে ধ্রুপদী ভাষার সংজ্ঞার্থ কী? এর কী আদৌ কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞার্থ আছে?
ইজ্রায়েল-গাজা-প্যালেস্টাইন, ইরান ও সৌদি আরব, লেবানন—মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তি ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে।
ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে ভারত ইজরায়েলের কাছ থেকে সমর্থন পায়। তবে, ভারত প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকেও সমর্থন জানিয়ে এসেছে।
আমাদের রক্তকণিকারা আলোয় মাতে
কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান শ্রোতাকে নিয়ে যায় অনন্তসাগরমাঝে, করুণ সুরে বাজতে থাকে চরণতলচুম্বিত পন্থবীণা।
উৎসবের অন্ধকার
সময় কখন কার হাত দিয়ে অলক্ষ্মী তাড়িয়ে লক্ষ্মীর আসন গড়ে দেয়, কেউ তা জানে না। শুধু আশা, শ্মশানের ছাইভস্ম — চেতনা, ভালবাসা, আদর্শ ও পারস্পরিক বিশ্বাসের সুধাধারায় ধুয়ে যাক। পশ্চিমবঙ্গবাসী শান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা, শিক্ষা ও সমৃদ্ধি নিয়ে স্থিত হোক।
লক্ষ্মীশ্রী ও লক্ষ্মীনিবাস পাঁচালি
বাঙালিদের ব্যবসা করা নিয়ে আজ যতই ব্যঙ্গের তির ছুটে আসুক না কেন, বাঙালিরা সপ্তডিঙা নিয়ে ব্যবসা করতে বেরিয়ে পড়েছিল, বাংলার ইতিহাস-সাহিত্য, সেই প্রমাণ দিয়েছে একাধিকবার।
পান্থজন ও তাঁর সখা
নতুন পথের খোঁজে অক্লান্ত এই পথিক জীবনসায়াহ্নে পৌঁছেও পড়তে চাইছেন কবিতায় আধুনিকতার কম্পাস!
সিদ্ধার্থ জাতক
নিজে ঈশ্বর মানতেন না, কিন্তু মানুষ তাঁকেও ঈশ্বর বানিয়ে ছেড়েছে। তাঁর জন্মস্থল নিয়েও সীমানার এ পারে ও পারে রশি টানাটানি; ডলার-ইয়েন-এর মায়া বড় কম নয়।
দৃশ্য ও অনুভূতির রেখমালা
দর্শককে নিজের গভীর অভ্যন্তরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয় বিড়লা একাডেমির এই প্রদর্শনী।
বিপ্লব, ব্যতিক্রম ও বাস্তব
তিনটি সাম্প্রতিক নাট্যালোচনা। তাতে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ যেমন আছে, তেমনই আছে সাহিত্যনির্ভর গল্পও।