বাবাকে আমি হারাতে চাইনি। বাবা মানুষ বড় ভালবাসত। কথা বলতে ভালবাসত। পিচ রাস্তার ধারে আমাদের ছোট চালের দোকান। ভিনগ্রামের চাষিরা গরুর গাড়ি, ভ্যান বা সাইকেলে বস্তা ভর্তি চাল নিয়ে আসে। দোকানে বিক্রি করতে। “কী চাল এনেছ হে?” “রত্না, টেন টেন।” “কই দেখি।”
এ ভাবেই কথা শুরু হয়। বস্তার ভেতর থেকে কিছু চাল বের করে পরীক্ষা করে বাবা। টিপে, দাঁতে কেটে বলে ওঠে, “বাঃ, বেশ ঠকাতে শিখেছ তো! কোথায় টেন টেন! এ তো সাধারণ রত্না, নরম দানা। তা দর কত?” তর্কাতর্কি, দরদাম করতে করতেই গল্প জমানোর চেষ্টা করে বাবা। বলে, “নাও, বিড়ি ধরিয়ে একটু বোসো দিকিনি।
মাথা ঠান্ডা করো।” লোকটা দু'হাতে বাতাস আড়াল করে মুখের বিড়িতে দেশলাইয়ের আগুন ধরালো। যদিও কোনও বাতাস বইছে না। বাবা দেখল, লোকটার খালি তামাটে গা ঘামে জবজবে। টুলের উপর রাখা অপরিষ্কার টেবিল ফ্যানটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে উঠল, “কী গুমোট রেখেছে দেখেছ বাবু! বিকেলে ভাসাবে মনে হয়।” চাষি ঘোলাটে চোখে উপরে তাকায়। ঘষা কাচের মতো মেঘ। দু'পাশে মাথা নেড়ে বলে, ই মেঘ বিস্টির লয়।” “না, না, হবে। দেখো, বিকেলে নামাবে। ওই দ্যাখো, পিঁপড়েগুলো মাটির গর্ত থেকে দেওয়াল বেয়ে উঠছে।” এ ভাবেই গল্প চালিয়ে যেত বাবা। সেরকম লোক পেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। জমির খবর, ধানের খবর। সামনের বছর কেমন ধান হবে, বৃষ্টি ভাল হবে কি হবে না, এই সব গল্প। তার সঙ্গে চাষির সংসারের খবরাখবর। গৃহপালিত পশুর খবর।
هذه القصة مأخوذة من طبعة July 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة July 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।