অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হল। প্রকাশিত হল প্রশান্তকুমার পালের রবিজীবনী-র দশম খণ্ড। নবম খণ্ড প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে। ২০০৭ সালে প্রশান্তকুমারের অকালপ্রয়াণের পরে দশম খণ্ডের জন্য অপেক্ষমাণ পাঠককুল আক্ষরিক অর্থেই বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল। ব্যাকুল প্রশ্ন: ১৯৮২-তে যার সূচনা, সেই রবিজীবনী-র এক-একটি খণ্ড প্রকাশের ধারাবাহিকতায় কি ছেদ পড়ে গেল? উনি কি পরবর্তী খণ্ডগুলির কাজ এগিয়ে রেখে গেছেন? যদি রেখে গিয়ে থাকেন তার পরিমাণ কতখানি? এই মহাগ্রন্থ সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেওয়ার মতো আগ্রহী এবং উপযুক্ত কেউ কি আছেন আর? এই সব প্রশ্নের যথার্থ উত্তর পাওয়া যায়নি। সে দিন। তবু সংশয়-মেশানো একটা প্রত্যাশাও যে ছিল না, এমন কথা বলা যাবে না। মনে হত, হয়তো সদর্থক কোনও বার্তা পাওয়া যাবে। কিন্তু বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও হাতে কিছু না আসায়, আমরা প্রায় সিদ্ধান্তেই পৌঁছে যাচ্ছিলাম, প্রশান্তকুমার পালের রবিজীবনী, যা চতুর্দশ খণ্ডে সমাপ্ত হওয়ার কথা, তা নবম খণ্ডে অর্থাৎ রবীন্দ্রজীবনের ১৩৩২ বঙ্গাব্দে এসেই থেমে গেল। ঠিক এমন সময়, কুড়ি বছর পার হয়ে হাতে এল বহু প্রতীক্ষিত দশম খণ্ড। বই খুলেই বোঝা গেল, জীবনীকার খণ্ডটি প্রস্তুত করেছিলেন বটে, কিন্তু প্রকাশের উপযোগী চূড়ান্ত রূপ দিয়ে যেতে পারেননি। এত দিনে অভীককুমার দে-র সম্পাদনায় সেই কাজটি সম্পূর্ণ হল। উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন শঙ্খ ঘোষ, বিশেষ সহায়তায় প্রশান্তকুমারের কন্যা শ্রাবণী পাল। বইটিকে সম্পূর্ণতা দেওয়ার জন্য সম্পাদনাকর্ম অপরিহার্য ছিল। কিন্তু গ্রন্থ-পরিকল্পনা ও বিন্যাস-কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। আগের খণ্ডগুলিতে যে ভাবে এক-একটি বছরের জন্য এক-একটি অধ্যায় নির্দিষ্ট হয়েছে, অধ্যায়ের শেষে রাখা হয়েছে 'প্রাসঙ্গিক তথ্য' অংশ, উল্লেখপঞ্জি এবং গ্রন্থশেষে নির্দেশিকা, এখানেও তাই। শুধু মাঝে মাঝে সংযোজন করা হয়েছে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত তথ্য। এই ব্যাপারটি নতুন। সংযোজিত তথ্য-অংশ যে সম্পাদক-কৃত তা বোঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ চিহ্ন।
هذه القصة مأخوذة من طبعة August 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة August 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।