বিস্ময়কর, অভাবনীয়, অকল্পনীয়! বাংলাদেশে সৃষ্টি হল এক নতুন ইতিহাস। একাত্তরে স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজয়লাভের পর যে-আনন্দ উপভোগ করেছিল বাঙালি, ঠিক সেই রকম আনন্দের মহানগরী হয়ে উঠল রাজধানী ঢাকা। ক্যালেন্ডারের পাতায় ৫ অগস্ট ঐতিহাসিক তারিখ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল। বাঙালির শোকের মাস অগস্টই হয়ে উঠল তরুণ প্রজন্মের বিজয়ের মাস। ছাত্রদের তাজা রক্তে লেখা হল নতুন ইতিহাস। অতীতের কালো অধ্যায়কে দূরে ঠেলে একটি নতুন যুগের সূচনা হল। একনায়কের দম্ভ চূর্ণবিচূর্ণ করে নতুন এক রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণের সুযোগ তৈরি হল। ‘হাইব্রিড জেনারেশন' বলে যাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হত, তারাই হয়ে গেল জাতির সূর্য-সন্তান।
পাঁচ জুন থেকে পাঁচ অগস্ট। সময়টা মাত্র দু'মাস। এর মধ্যেই সব কিছু ওলটপালট হয়ে গেল। টর্নেডোর মতো একের পর এক আঘাত এল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমিত্বকে গুঁড়িয়ে দিল। আন্দোলনের ঘূর্ণিতে উড়ে গেল দেড় দশকের সাজানো মসনদ। পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন তিনি। দেশও ছাড়তে হল তাঁকে। যাঁর বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিসত্তা দিলেন, একটি স্বাধীন ভূখণ্ড দিলেন, তাঁকে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগস্ট সপরিবার হত্যা করেছিল। আর শেখ হাসিনা দেশকে ‘উন্নয়নের রোল মডেল'-এ উন্নীত করেও দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন। এর চেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা আর কী হতে পারে!
পদত্যাগের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে উদ্দেশ করে বলেন, পুলিশবাহিনী পারলে আপনারা কেন পারবেন না? সেনাপ্রধান সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তিনি কারও সমর্থন পাননি। আসলে শেখ হাসিনার পায়ের তলার মাটি যে আরও আগেই সরে গিয়েছিল, তা তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি।
هذه القصة مأخوذة من طبعة August 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة August 17, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।