গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিস্মৃতপ্রায় চারণকবি মুকুন্দদাসের কিছু পক্তি যেন কেবলই শুনতে পাচ্ছি—‘ভয় কি মরণে/ রাখিতে সন্তানে/ মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।' সেই সঙ্গে প্রবল হুঙ্কারে আকাশ বাতাস আচ্ছন্ন—উই ওয়ান্ট জাস্টিস, বিচার চাই বিচার চাই। এককথায়, প্রবল গণ-অভ্যুত্থানসদৃশ ঘটনাবলির সমাহার। তীক্ষ্ণ অনুভূতিতে বোধোদয় হয় এই গান সারা রাজ্য তথা দেশের আকাশ বাতাস বাহিত হয়ে আশ্রয় করেছে আমারই স্নায়ুতন্ত্রকে। বাস্তবিকই, জন্মাবধি এই পশ্চিমবঙ্গ আমার অভিজ্ঞতায় ছিল না। সাধারণ মানুষ, লেখক, শিল্পী, খেলোয়াড়, ডাক্তার, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, ছাত্রকুল, শিক্ষককুল, সঙ্গীতশিল্পী, উচ্চবিত্ত সম্প্রদায়, বিখ্যাত, কুখ্যাত, পরিচিত, অপরিচিত, ভিড়ে মিশে থাকা যাবতীয় শ্রেণিভুক্ত মানুষ, ধর্মাধর্ম নির্বিশেষে যাবতীয় সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ একটিই দাবিতে পথে নেমেছেন, নিজের মতো করে প্রতিবাদজ্ঞাপন করছেন এক চরম ঘৃণিত ঘটনার যেখানে ডিউটিরত এক তরুণী ডাক্তারকে সরকারি হাসপাতালে তাঁর কর্মস্থলে চরম ভয়ঙ্করভাবে ধর্ষিত ও খুন হয়ে যেতে হল গত ৯ অগস্ট ভোর রাতের দিকে। নতুন করে ঘটনার বর্ণনা নিষ্প্রয়োজন, দুর্ভাগ্যক্রমে আজ একটি শিশুও বুঝবে কেন এই প্রতিবেদন। সদ্য ঘটে যাওয়া অপরাধের পরবর্তী প্রতিক্রিয়া এমনটাও যে হতে পারে, এটাই অনেকের মতো আমাকেও বিস্মিত করেছে। না, আমি ঘটে যাওয়া অপরাধ নিয়ে বিস্মিত নই। কেন নই তা ক্রমশ আলোচ্য। আমি বিস্মিত মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখে। এই আবেগ প্রবলভাবে প্রমাণ করে ক্রমশ যান্ত্রিক হয়ে পড়া সভ্যতা আমাদের এখনও সম্পূর্ণ গ্রাস করে ফেলতে পারেনি। লোভ, হিংসা, অপরকে পিছনে ফেলে ইঁদুরদৌড়ে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা মানুষের শুভচেতনাকে, সমাজের সদিচ্ছামূলক কর্মকাণ্ডকে এখনও সম্পূর্ণভাবে স্বার্থাবৃত করে ফেলতে পারেনি। এখনও ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কথা মনে জাগে অপরিচয়ের গণ্ডি ভেঙে দিয়ে। চারিদিকে এত অপরাধ এত নিরাশার বাতাবরণ সত্ত্বেও মানুষ এখনও মানবিক হয়ে উঠতে চায়। এই সর্বব্যাপী প্রতিবাদ সেই মানবতারই জয়জয়কার আমার চোখে।
هذه القصة مأخوذة من طبعة September 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة September 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।