উনিশ শতকীয় বাংলার মননের ইতিহাস নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বই লোকাল সেলফহুড, গ্লোবাল টার্নস: অক্ষয়কুমার দত্ত অ্যান্ড বেঙ্গলি ইন্টেলেকচুয়াল হিস্টরি ইন দ্য নাইনটিন্থ সেঞ্চুরি। বইয়ের নাম থেকে জানা যাচ্ছে এ বই অক্ষয়কুমার দত্তকে নিয়ে। নাম থেকে এ কথাও বোঝা যাচ্ছে যে, বইটি শুধুই অক্ষয়কুমার দত্তকে নিয়ে নয়। বিশেষ একজন ব্যক্তির জীবন আলোচিত হয়েছে গোটা একটা সমাজের মননচর্চার নিরিখে, আর সেই বিশেষ সমাজ আর চিন্তাভুবন বিশ্লেষিত হয়েছে স্থানীয় সত্তার পৃথিবীব্যাপী নির্মাণের প্রেক্ষিতে।
একটু খতিয়ে ভাবলে বোঝা যাবে, উনিশ শতকে বাংলার চিন্তাজগতে যে গভীর পরিবর্তনের কথা বারংবার বলা হয়ে চলেছে, তার মর্ম আর আকার এ-দুয়েরই বিশ্লেষণ একান্ত অসম্পূর্ণ এখনও। বিষ্ণু দে একটা প্রবন্ধে যাকে ইঙ্গ-নেসেন্স বলেছিলেন, ঐতিহ্য আধুনিকতার টানাপড়েনের ছক পেরিয়ে তার তত্ত্বায়ন এক জটিল প্রতর্কের জন্ম দিয়েছে। ঐতিহ্যের নির্মাণে নিহিত আধুনিকতার কথা উঠে পড়েছে বেশ কয়েক দশক আগে। আধুনিক নেশনকে তো এক কল্পিত—মিথ্যে নয়, কল্পিত—ঐতিহ্যে স্থাপন করতেই হয় নিজের উৎসকে। ঐতিহ্য নির্মাণের সেই গল্পে উনিশ শতকের বাংলার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ঠিক কী সে প্রশ্নের উত্তর কিছুটা মিললেও অনেকখানি বাকি। সে উত্তরের ভিতর একটা গুরুত্বময় ভূমিকা, এত দিনে অনেকটাই বোঝা গেছে, ব্রাহ্মধর্মের। একদিকে উপনিষদ অনুসারী বৈদিক চিন্তা, অন্যদিকে ইসলামিক একেশ্বরতা, আর একদিকে খ্রিস্টীয় একেশ্বরবাদ, খুব সরলীকরণ করলেও এক জটিল পারস্পরিকতায় বোনা ব্রাহ্ম চিন্তার কাঠামো।
هذه القصة مأخوذة من طبعة October 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك ? تسجيل الدخول
هذه القصة مأخوذة من طبعة October 02, 2024 من Desh.
ابدأ النسخة التجريبية المجانية من Magzter GOLD لمدة 7 أيام للوصول إلى آلاف القصص المتميزة المنسقة وأكثر من 9,000 مجلة وصحيفة.
بالفعل مشترك? تسجيل الدخول
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।