স্মৃতি সত্তা সংলাপ বইয়ের ভূমিকার শুরুতেই দীপেশ কী চক্রবর্তী তাঁর পাঠককে এই বইয়ের মূল সুরটি কানশোনা করে নিতে বলেছেন। বলেছেন, “রচনাগুলিতে আমার একাডেমিক জীবনের বহতা স্রোত যেন কিছুটা ধরা আছে”। অ্যাকাডেমিক চর্চা আর জীবনের বিবিধ চিত্র-বিচিত্র ঘটনার খতিয়ান, দুই-ই রয়েছে এই বইয়ে। এই সঙ্কলন তাই নিশ্চিতভাবেই খানিকটা ব্যক্তিগতও বটে। তাঁর পরিণত বয়সের তিন বন্ধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌতম ভদ্র
আর তনিকা সরকারকে উৎসর্গ করেছেন এই সঙ্কলন। 'পরিণত' শব্দটা ভেবে ব্যবহার করলাম। যে-সময়ে বোধের সঙ্গে বীক্ষণের সম্পর্কটা ধীরে ধীরে মালুম হচ্ছে, নিজের ব্যক্তিসত্তার পূর্ণ বিকাশের চেহারাটা ক্রমশ নিজের কাছেই প্রতীয়মান হতে আরম্ভ করেছে, সেই পরিণত বয়সের কথা বলতে চাইলাম। এই বইয়ের কাঠামোর পরতে পরতে এই তিনজনের দৃশ্য অথবা অদৃশ্য উপস্থিতি যেন রয়ে যাচ্ছে, এমনটাই মনে হয় পড়তে পড়তে। বন্ধু সন্নিবেশে স্বগতোক্তির মাফিক খানিকটা। বইয়ের নাম স্মৃতি সত্তা সংলাপ-এর সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে এই সঙ্কলন। প্রথম পর্বে দীপেশ তাঁর শৈশব থেকে আরম্ভ করে জীবনের বিবিধ সময়ের টুকরো স্মৃতির চারণ করেছেন। এই পর্বের শিরোনাম ‘স্মৃতি’। দ্বিতীয় পর্ব, ‘সত্তা', সেখানে মূলত তাঁর ইতিহাস চর্চা, চিন্তা আর দর্শনের নানা চলাচলের বিষয়ে কিছু প্রবন্ধ মুদ্রিত। তৃতীয় অধ্যায়, ‘সংলাপ’, মূলত অ্যাকাডেমিক চর্চার পরিসরে কিছু তর্ক নিয়ে লেখকের সঙ্গে তিনটি সাক্ষাৎকার। তিনটি অধ্যায়ের প্রায় সব প্রবন্ধ বা সাক্ষাৎকার বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, জার্নাল বা কোনও লিটল ম্যাগাজিনে পূর্বে প্রকাশিত। এই সীমিত পরিসরে প্রত্যেক প্রবন্ধ বা সাক্ষাৎকার নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়, কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ প্রস্থান শুধু ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব এই আলোচনায়।
Diese Geschichte stammt aus der May 17, 2024-Ausgabe von Desh.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der May 17, 2024-Ausgabe von Desh.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
সন্দেহ প্রশাসককেই
গণক্ষোভের মূলে আছে এই ধারণা যে, সরকার তড়িঘড়ি কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ
এ দেখা সহজে ভোলার নয়। আগুন ছাইচাপা থাকে, কিন্তু জ্বলে ওঠার কারণ অপসারিত না-হলে তা নিঃশেষে নেভে না—ইতিহাস সাক্ষী।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা
তাই আজ বলতে হবে, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত, প্রতিটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্য-প্রযত্নের ব্যবস্থার দাবি হোক আন্দোলনের অভিমুখ।
নজরদারি-খবরদারি-ফাঁসির দাবি পেরিয়ে
যে-মেয়েটি গাড়ি চালান, তাঁর শেষ প্যাসেঞ্জার নামিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত দুটো বাজলে বা যে-মেয়েটি খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন, তাঁকে কি বলা হবে যে, রাতে আপনি কাজ করলে প্রশাসন আপনাকে সুরক্ষা দেবে না?
অন্ধকার রাতের দখল
তালিকা আরও প্রলম্বিত হয়ে চলবে, যাঁদের কেউ কর্মক্ষেত্রে অত্যাচারিতা হননি। তাঁদের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে?
বিচার, বিবেক এবং রাষ্ট্র
সমষ্টি যেখানে সৎ বুদ্ধিসম্পন্ন, কয়েকজন মানুষরূপী অমানুষের জন্য আমরা কি আবার আমাদের কষ্টার্জিত সভ্যতা ভেঙেচুরে অসভ্যে পরিণত হব? নাকি আস্থা রাখব রাষ্ট্রের ওপর? এ ছাড়া আর কি কোনও দ্বিতীয় পন্থা আছে?
এবার সরাসরি বাক্যালাপ হোক
এই রাজ্যের যাঁরা উপদেষ্টা, তাঁরা হাওয়ায় পা দিয়ে চলেন। নারীর অধিকার, নারীর বিচরণের ক্ষেত্র, নারীর সম্মান ও নিরাপত্তা এগুলো সম্বন্ধে তাঁরা ওয়াকিবহাল নন, তাঁরা অনাধুনিক। মানুষ কী চাইছে, পশ্চিমবঙ্গবাসীর প্রয়োজনগুলি কী, মেয়েদের দরকারগুলি কী—এসব নিয়ে তাঁরা ভাবিত নন।
পারাবারে সংসার
দূর মহাদেশের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে দেয় জাহাজ, কিন্তু সেটি নিজেই এক ভাসমান মহাদেশ। সেখানে সংসার গড়ে তোলার অভিজ্ঞতাও যেন এক গল্প।
পারম্পরিক প্রবাহের সুনির্মিত প্রয়াস
ভবানীপুর বৈকালী অ্যাসোসিয়েশনের এই প্রয়াস ‘অজানা খনির নূতন মণি'-র আবিষ্কারের মতো ভাল লাগার আবেশ সৃষ্টি করে।
শমীবৃক্ষের নীচে
আলোচ্য বইয়ের পুরোটা জুড়েই লেখক মাধব গ্যাডগিল উপযুক্ত বারুদ ছড়িয়ে রেখেছেন।