এই প্রবন্ধ যখন লিখতে শুরু করেছি, ৫ জুন, তখন যে-ভবিষ্যৎটি অস্বচ্ছ তা হল, সাধারণ নির্বাচন সমাপ্তির পর নরেন্দ্র মোদীই কি আবার ফিরে আসছেন প্রধানমন্ত্রীর আসনে? তাঁকে কি সরকারের নেতা হিসেবে মেনে নেবেন সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট এনডিএ-র প্রধান নেতারা, যেমন তেলুগু দেশম পার্টির সর্বাধ্যক্ষ নারা চন্দ্রবাবু নায়ডু বা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর কর্ণধার নীতীশ কুমার? মেনে নেবে খোদ ভারতীয় জনতা পার্টি, যাকে ‘আগলি বার চারসো পার' বুলি দিয়ে বিভ্রান্ত করেছিলেন মোদী এবং সেই সুযোগে তাঁর দোসর গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ ইচ্ছামতো বিতরণ করেছেন দলের মনোনয়ন? পাঠকের জ্ঞাতার্থে জানাই, কে হবেন এবারের প্রধানমন্ত্রী তা জানার জন্য আমার কাছে অপেক্ষা করার মতো সময় নেই, কারণ ছাপাখানার তাগাদা। তা ছাড়া এই প্রবন্ধের বিষয়ও ভিন্ন। তা হল, মোদীর মতো মানুষের পক্ষে কি সত্যই সম্ভব একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-থাকা সত্ত্বেও কোনও কোয়ালিশন সরকারে সকলের সঙ্গে মিলেজুলে কাজ করা?
এক কথায় উত্তর, না। যারা গত তেইশ বছর ধরে বিভিন্ন সরকারের পরিচালক রূপে (২০০১-এ গুজরাত মুখ্যমন্ত্রী ও ২০১৪ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী) তাঁর কক্ষপথ পর্যবেক্ষণ করেছেন, তাঁরা স্বীকার করবেন, মোদী এমন কোনও নির্বাচন লড়েননি যেখানে তিনি লাভ করেননি একক গরিষ্ঠতা। শুনেছি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি কাজ করতেন একাকী তাঁর দফতর থেকে, যা গান্ধীনগরে পরিচিত সিএমও নামে। সেকালের এক বিশিষ্ট আমলার মুখে শুনেছি, ২০০২ সালের গোধরা অগ্নিকাণ্ড ও পরবর্তী দীর্ঘ সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ, যার ফলে সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, চলাকালীন রাজ্য মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠক প্রায় হয়ইনি। দরকার হলে মুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য মন্ত্রী বা অফিসারদের ডেকে পাঠাতেন সিএমও-তে। একই অভিজ্ঞতা দিল্লিতে গত দশ বছরে সচিবকুলের। যাঁদের অটলবিহারি বাজপেয়ী বা মনমোহন সিংহ-র কালের স্মৃতি এখনও আছে তাঁরা বলেন, তখন ক্যাবিনেট বৈঠক কখনও কখনও তিন-চার ঘণ্টা ধরেও চলেছে। কিন্তু মোদীর আমলে যেমন বৈঠকের স্বল্পতা তেমন তার দৈর্ঘ্য। বস্তুত গত এক দশক যাবৎ কেন্দ্রে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণই হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা পিএমও কেন্দ্রিক। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হয়ে গুজরাত থেকে দিল্লিতে এসে নৃপেন্দ্র মিশ্রই হয়ে ওঠেন সরকারের মধ্যমণি, এবং এক অর্থে মন্ত্রীদের চেয়েও ক্ষমতাবান।
Diese Geschichte stammt aus der June 02, 2024-Ausgabe von Desh.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der June 02, 2024-Ausgabe von Desh.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।