সব রাজপথ জনপথ হয়ে গেছে। শুধু কলকাতা মহানগরে নয়, বাংলার দিকে দিকে দূর জেলার শহরেও। রাতে এবং দিনেও। ডাক দিয়েছিল তারুণ্যের তেজোদ্দীপ্ত ক্রোধ, সাড়া এসেছে অভূতপূর্ব। প্রতিদিনই যেন ঢেউয়ের পরিধি বড় হচ্ছে। ‘অরাজনৈতিক' শুনে যাঁদের এলার্জি হচ্ছিল, ক্রমশ তাঁদেরও অনেকের কাছে স্পষ্ট হচ্ছে যে, রাজনীতি বললে কেবল ‘রাজনৈতিক পার্টি'র কালিমালিপ্ত সঙ্কীর্ণ অর্থের বাইরে যে এক বিশাল আর মুক্ত অর্থ আছে, সে কথা এদেশের তারুণ্যকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজনীতি শব্দের বৃহৎ অর্থের সঙ্গে যে নীতি-নৈতিকতার কথা, আদর্শবোধের কথা জোড়া ছিল, ছিল সামাজিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার দাবি—সে সব কথা ভেসে গেছে কবে। না, যায়নি। মনে হয়েছিল গেছে। ঠিক যেমন দিকশূন্য লোভে পাহাড়ের তলা খুঁড়ে ফেলতে-ফেলতে পুরো শিখর ভেঙে পড়ে এক দিন, দশকের পর দশক ক্ষমতার ভয়ে মুখ বুজে থাকা অন্যায়ের সীমাহীন বোঝা বওয়া মানুষরা ফেটে পড়লেন একসময়ে। এত ক্ষোভ, এমন সংক্ষোভ যে জমা হচ্ছিল মানুষের ভেতরে কোথাও, জানা যায়নি। একটি স্ফুলিঙ্গেরই অপেক্ষা ছিল যেন। অন্যায়ের পর অন্যায় সহ্য হয়ে যাচ্ছিল সমাজমানসের ভেতরে, বীভৎস একটি ঘটনাকে উপলক্ষ করে তা বিস্ফোরিত হল। তরুণ প্রজন্ম থেকে একটি ডাক সেই স্ফুলিঙ্গের কাজ করল। সৃষ্টি হচ্ছে এমন ইতিহাস, যেমনটি আমরা গত ষাট বছরে বাংলায় দেখিনি।
Diese Geschichte stammt aus der September 02, 2024-Ausgabe von Desh.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der September 02, 2024-Ausgabe von Desh.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
ভূতের বাড়ি
প্রতিটি জনমুখী প্রকল্প থেকে কিছু মানুষ যদি বরাদ্দ অর্থের বড় অংশ নিজেদের ভাগে আনতে পারেন, তা হলেও সেটা প্রচুর।
চার দশকের মেট্রো
কলকাতায় মেট্রো রেলের চার দশক পূর্তি এই শহরের গতিবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনস্বীকার্য এক মাইলস্টোন।
ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ভারত
ঘরের মাঠে এমন পর্যুদস্ত হওয়া নতুন হলেও প্রত্যাশা থাকুক, আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ভারতীয় দল।
ফিরলেন ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে ফিরছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। তাঁর \"আমেরিকা ফার্স্ট\" নীতি আবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারত, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে কী পরিবর্তন আনবে তাঁর নতুন প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
দর্পণে প্রতিবিম্বিত তাসের ঘর
ওয়াশিংটন ডিসি প্রেক্ষাপটে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার \"হাউস অফ কার্ডস\"। ফ্র্যাঙ্ক আন্ডারউড ও তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী ক্লেয়ারের ক্ষমতার লড়াইয়ের গল্প, যেখানে ক্লেয়ার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হন।
মেরুকৃত এক সমাজের নির্বাচন
ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরুত্থান আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভাজনের প্রতিফলন। কমলা হ্যারিসের পরাজয় ও ট্রাম্পের জয় গণতন্ত্র, অর্থনীতি ও সমাজের মূল প্রশ্নগুলো নিয়ে নাগরিকদের হতাশা প্রকাশ করে।
বহুরূপী কৃত্তিকা
হেমন্ত আর শীতের সন্ধ্যায় মাথার ওপর কৃত্তিকাকে দেখায় উজ্জ্বল প্রশ্নচিহ্নের মতো। তাকে ঘিরে প্রশ্নও কম নেই।
দিগন্তের আলো
মাদল কুহকের অদ্ভুত টানাপোড়েনের গল্পের প্রতিটি ভাঁজে কেবল একটাই প্রশ্ন লুকিয়ে থাকে—কুহক কি কখনও তাকে ডেকেছিল? জীবনের আলো-ছায়ার মাঝখানে দাঁড়িয়ে, মাদল সেই ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বারবার হারিয়ে ফেলে নিজের পথ। তবু ভিড়ের মাঝে, তার পিছু হেঁটে, কমলা আঁচলের টানে, কুহকের উপস্থিতি যেন বারবার তাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
অসমাপ্ত গল্পের পাতা
একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা: \"করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডে ভোরের মিষ্টি রোদ আড়মোড়া ভাঙছে, চায়ের ধোঁয়া আর পায়রার ঝাঁক জীবনের সাদামাটা সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে। ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি ও স্মৃতির মিশেলে উঠে আসে এক টুকরো রোমাঞ্চকর অনুভূতি।\"
চৈতি-ঝরা বেলায়
মুহূর্তের ছোট্ট বিবরণ ডোরবেলের দিকে হাত বাড়িয়ে রুহানি হঠাৎ থমকে গেল। দরজার কাছে রাখা একজোড়া মহিলা জুতো দেখে তার মনের ভেতরে কিছু ভাবনা খেলে গেল। সুইচ থেকে আঙুল সরিয়ে নেওয়ার পরও বেলটা বেজে উঠল। মা দরজা খুলে জিজ্ঞেস করলেন, \"কী রে, এত হাঁপাচ্ছিস কেন?\" রুহানি ঢুকেই ড্রয়িং রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে জানতে চাইল, \"কে এসেছে মা?\" মা প্রসঙ্গ এড়িয়ে বললেন, \"ফ্রেশ হয়ে নে, খেতে দিচ্ছি।\" মনে হচ্ছে, স্মৃতিকণা কিছু লুকোচ্ছে। মনের ঝড় থামাতে রুহানি একা একা মায়ের ঘরে ঢুকে। ততক্ষণে ব্যালকনির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়ে আর তার পুরনো দিনের কথাগুলো মিলে এক নতুন গল্প গড়ে তুলতে শুরু করেছে।