শি মোগা। কর্ণাটকের এক সুপ্রাচীন জনপদ। সাতবাহন, কদম্ব, `রাষ্ট্রকূট, বিজয়নগর সাম্রাজ্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ভদ্রাবতীর লক্ষ্মীনরসিংহ মন্দির এই শিমোগার এক বিশ্ববিখ্যাত স্থাপত্য। চারিদিকে সবুজে মোড়া এই জেলায় রয়েছে কাসানুর নামে এক ঘন ট্রপিক্যাল অরণ্য। আর ১৯৫৭ সালে সেই অরণ্যেই ঘটে গেল এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ২৩শে মার্চ, ১৯৫৭ সালে পুনের ভাইরাস রিসার্চ সেন্টারে খবর এল এই কাসানুরের জঙ্গলে প্রচুর হনুমানের মৃত্যুর। আর সেই সঙ্গে চারপাশের গ্রামে নাকি দেখা দিয়েছে এক অজানা জ্বর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার রকফেলার ফাউন্ডেশন সারা পৃথিবী জুড়ে ভাইরাসের রিসার্চের জন্য প্রচুর অর্থব্যয় শুরু করে। নাইজেরিয়া, কলম্বিয়া, ত্রিনিদাদ ইত্যাদি দেশে এরা ভাইরাস রিসার্চ সেন্টার গড়ে তোলে। এইসব দেশ থেকে জৈব স্যাম্পেল সংগ্রহ করে নতুন ভাইরাসের খোঁজ শুরু হয় এবং ডেটাবেস তৈরি শুরু হয়। এর মধ্যে কতটা নিষ্পাপ জ্ঞান আহরণের উদ্দেশ ছিল আর কতটা নতুন জৈব অস্ত্রের খোঁজ— সেটা বলা মুশকিল। সেই ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ে আমেরিকা নানাভাবে নতুন যুদ্ধাস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল। বায়োলজিক্যাল অস্ত্র ছিল তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
নতুন স্বাধীনতা পাওয়া দেশ, ভারত এই প্রোজেক্টে একটি আধুনিক ভাইরাস রিসার্চ গবেষণাগার লাভ করে, পুনেতে ১৯৫৭-এর মার্চের সেই হনুমান মড়কের খবর পুনেতে পৌঁছতেই বিজ্ঞানীদের একটি দল রওনা হল কর্ণাটকের সেই জঙ্গলের উদ্দেশ্যে। সেই দলে অন্য অনেক প্রবীণ বিজ্ঞানীর সঙ্গে ছিলেন এক তরুণ জুলোজিস্ট—পালিয়ার কৃষ্ণ আইয়ার রাজাগোপালন। বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির এই মেধাবী ছাত্রের চোখে তখন বিজ্ঞানের জগতে সবকিছু পাল্টে দেওয়ার স্বপ্ন। সেই আশা নিয়েই তিনি উপস্থিত হলেন দক্ষিণ ভারতের এই চিরহরিৎ অরণ্যে। তারিখ— ২রা এপ্রিল, ১৯৫৭৷
সেই অরণ্যে বিজ্ঞানীদের জন্য অপেক্ষা করছিল এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। চারিদিকে হনুমান আর বানরের মৃতদেহ ছড়িয়ে আছে। কোনওটা টাটকা, কোনওটা পচে গিয়েছে। দুর্গন্ধে চারিদিক ম-ম করছে। মাছির দাপটে কাছে যাওয়াই যায় না। প্রথমেই বিজ্ঞানীরা জানতে পারলেন ঘটনাটা নতুন নয়। চলছে সেই জানুয়ারি থেকে। এই জঙ্গলে এইরকম বানরের মড়ক নাকি আগেও হয়েছে। তবে এরকম শয়ে শয়ে মৃত্যুর দৃশ্য আগে দেখা যায়নি।
Diese Geschichte stammt aus der September 2022-Ausgabe von Sarir O Sasthya.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der September 2022-Ausgabe von Sarir O Sasthya.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়