
• আমাদের বাঁচার জন্য যে পুষ্টির প্রয়োজন, তা আমরা পাই খাদ্য থেকে। পুষ্টির জন্য ছ’টি রাসায়নিক উপাদানের প্রয়োজন। প্রোটিন, শর্করা, তেল, ঘি বা মাখন জাতীয় পদার্থ, ভিটামিন, ধাতব লবণ ও জল। প্রতিটি উপাদান যে পরিমাণ শরীরে প্রয়োজন হয়, সেই পরিমাণে জোগান দেওয়া হলে, তবেই আমরা উপযুক্তভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে বেড়ে উঠতে পারি। শরীর রক্ষা করতে পারি ও রোজ কাজ করার জন্য যে শক্তির প্রয়োজন, সেই শক্তি লাভ করি।
উপরিউক্ত উপাদানগুলির মধ্যে ভিটামিন এমন একটি উপাদান, যা শরীরে শক্তি প্রদান করে না ঠিকই, কিন্তু অন্য উপাদানগুলিকে শরীরে কাজে লাগাতে বিশেষ সাহায্য করে। অর্থাৎ ভিটামিনের অভাবে অন্য উপাদানগুলি কাজ করতে পারবে না। • ভিটামিন নানা ধরনের হয়। সমস্ত ভিটামিনগুলিকে দু’টি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলি হল ১. জলে দ্রবণীয় ভিটামিন ২. তৈলজাতীয় পদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিন।
E • জলে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলি সহজে জলে গুলে যায়। এই ধরনের ভিটামিনগুলিকে আবার দু'টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ভিটামিন বি শ্রেণির ও ভিটামিন সি। বি শ্রেণির ভিটামিনগুলিকে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেগুলি হল, ভিটামিন বি ১, বি ২, বি৩, বি৫, বি ৬, বি ৯ ও বি ১২।
● তেলজাতীয় পদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলির নাম ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। এগুলি তেল, ঘি, মাখন, চর্বি ইত্যাদিতে দ্রবণীয় অথবা তেলজাতীয় এইসব পদার্থ যেসব রাসায়নিকে দ্রবণীয়— যেমন ইথার, অ্যাসিটোন, ক্লোরোফর্ম, অ্যালকোহল ইত্যাদিতে মিশে যেতে পারে। • অন্যান্য পুষ্টিগত উপাদানগুলি যেমন শরীরে অপরিহার্য, ভিটামিনগুলিও তেমনই অপরিহার্য। কিন্তু শরীরে ভিটামিনের প্রয়োজন খুব কম। কোনও কোনও ভিটামিন আবার অত্যন্ত কম পরিমাণে প্রয়োজন হয়। কিন্তু কোনও ভিটামিনের যৎসামান্য প্রয়োজন হলেও, সেটি একান্তভাবেই অপরিহার্য। প্রতিটি ভিটামিনের শরীরে ও মনে একাধিক ভূমিকা আছে। যদি উপযুক্ত মাত্রায় সেটি শরীরে না আসে, তাহলে পুষ্টির অভাব হতে বাধ্য। শুধুমাত্র পুষ্টিই নয়, শরীরে ভিটামিনের আরও অনেক প্রভাব আছে, যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাজ হল রোগ প্রতিরোধ করা এবং রোগ হলেও তা সারিয়ে তোলা। ভিটামিনের আর একটি বিশেষ প্রভাব হল, কোলেস্টেরল কমানো। কোন ভিটামিনগুলি শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, সেই বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হল।
Diese Geschichte stammt aus der November 2022-Ausgabe von Sarir O Sasthya.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der November 2022-Ausgabe von Sarir O Sasthya.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden

মাইগ্রেনের সমাধান
মাথা যন্ত্রণার এই রোগ একপ্রকার দুর্বিষহ। লক্ষণ ও প্রতিকার কী? পরামর্শে বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট ডাঃ তৃষিতানন্দ রায়।

কীভাবে জব্দ কোলেস্টেরল?
পরামর্শে মণিপাল হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ সৌম্যকান্তি দত্ত।

অনিদ্রা থেকে মুক্তির উপায় কী?
পরামর্শে রুবি জেনারেল হাসপাতালের সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়।

আয়ুর্বেদিক দাওয়াই
পরামর্শে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট আয়ুর্বেদিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রাক্তন অধ্যাপক ডাঃ প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহাপাত্র।

বাঙালির ১০ রোগে হোমিওপ্যাথি
পরামর্শে বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ রথীন চক্রবর্তী।

হাত কাঁপছে কেন?
কেবল প্রবীণদের নয়। তরুণরাও জর্জরিত হাত কাঁপার সমস্যায়। কেন কাঁপে হাত? আলোচনা করলেন বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের চিকিৎসক ডাঃ অর্পণ দত্ত।

পা ফোলা থেকে মুক্তি
পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়।

আয়রন
আয়রন আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য, কারণ এটি হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে এবং রক্তে অক্সিজেন পরিবহণ নিশ্চিত করে। আয়রনের ঘাটতি ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, চুল পড়া, হাত-পা ঠান্ডা হওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি, যেমন পালং শাক, মসুর ডাল, ডিম, গুড়, বাদাম, মাছ ও মাংস। গর্ভবতী নারীদের পর্যাপ্ত আয়রন গ্রহণ করা আরও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে আয়রনের অভাব দেখা দিতে পারে, তাই খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা আবশ্যক।

টেনশন
টেনশন কি খারাপ? নাকি একটু আধটু টেনশন থাকা ভালো? কী করলে মিলবে অ্যাংজাইটি থেকে মুক্তি? পরামর্শে সাইকোলজিস্ট ডঃ রূপ কল্যাণ। F

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে করবেন কী?
হাঁটু ফুলতে শুরু করেছে এমন অবস্থায় দরকার পড়লে হাঁটু থেকে ফ্লুইড বের করে পরীক্ষা করেও দেখা যেতে পারে যে ওই ফ্লুইডে ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টাল আছে কি না।