আয়ুর্বেদিক দাওয়াই

পরামর্শে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট আয়ুর্বেদিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রাক্তন অধ্যাপক ডাঃ প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহাপাত্র।

- লিখেছেন সুপ্রিয় নায়েক

মাইগ্রেন মাইগ্রেন হল বিরাট সমস্যা। সমস্যা মূলত কম বয়সিদের। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়। আয়ুর্বেদে মাইগ্রেন বলে কোনও অসুখ নেই। তবে বিভিন্ন ধরনের শিরশূল-এর কথা উল্লেখ আছে আয়ুর্বেদে। উদাহরণ হিসেবে সূর্যাবর্ত অসুখের কথা বলা যায়। এক্ষেত্রে বেলা বাড়লে বা সূর্যালোকের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথা ব্যথা বাড়ে। অশ্বগন্ধা, জটামাংসী, ব্রাহ্মী, শঙ্খপুষ্পী এই ধরনের ভেষজের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয় এই রোগের।

তবে সাইনাস সংক্রান্ত কারণে মাথা ব্যথার উপসর্গ দেখা দিলে তখন শিরলক্ষ্মীবিলাস ট্যাবলেট কিংবা শিরশূলাদি বজ্র-এর মতো বড়ি ও নাকে দশমূল তেলের ফোঁটা দিলে খুব ভালো কাজ হয়। এছাড়া নাসাপথকে শিরের দ্বার হিসেবে ধরা হয়। তাই নাকে ১ ফোঁটা করে দিনে দু'বার ষড়বিন্দু তেল, অনুতেলের ড্রপ দিলে তা মাথা ব্যথা সারাতে ভালো কাজ করে।

ইউরিক অ্যাসিড রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে তাকে বলে হাইপারইউরিসিমিয়া। আয়ুর্বেদে এই অসুখকে বলে বাতরক্ত। হাত ও পায়ের ছোট ছোট জয়েন্ট আক্রান্ত হয় এই অসুখে। এছাড়াও কিছু মাঝারি ধরনের জয়েন্টে জটিলতা দেখা যেতে পারে। বাতরক্ত সম্পূর্ণভাবে মেটাবলিক ডিজঅর্ডার।

ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় খাদ্যাভ্যাসে নিয়ন্ত্রণ আনা প্রয়োজন। তৈলাক্ত, চর্বিযুক্ত, কড়াপাক, তেলে ভাজা খাদ্যবস্তু, লবণ বেশি আছে এমন খাদ্য, টক, ঝাল বেশি আছে এমন খাবার, প্রাণীজ প্রোটিন বিশেষত মাংস, দানা শস্য বেশি খাওয়া যাবে না।

সাধারণত বিভিন্ন জয়েন্টে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে শুরু করলেই ব্যথা হতে থাকে। এই অসুখে রক্ত ও বায়ুর দোষ দেখা দেয়। অসুখের নিরাময়ে রোগীর অগ্নি চিকিৎসা করা হয়। তবে অগ্নি খুব বেড়ে গেলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই রক্ত পরিশোধন চিকিৎসাও করা হয়। তাতে রোগীর জ্বালা ব্যথা কমে। রোগী আরাম পায়।