সুদূর ইন্দোনেশিয়ার বান্দা দ্বীপ। সেটাই জায়ফলের আসল বাড়ি। কিন্তু তাকে ঘিরে ইউরোপে যে ‘পাগলামি’ হয়েছে আর রক্ত ঝরেছে, আক্ষরিক অর্থেই তা ইতিহাস।
সাধারণ সর্দি-কাশিতে জায়ফলের গুঁড়ো খুবই উপকারী। অ্যাবরশন করানোর জন্যও একসময় জায়ফলের প্রয়োজন পড়ত। এর উপর জুড়ল এক অন্ধ বিশ্বাস। প্লেগ রোগ সারানোর নাকি দুর্দান্ত ক্ষমতা রয়েছে জায়ফলের। এই প্রচার রাতারাতি বাড়িয়ে দিল এর দাম। শুনতে আশ্চর্য হবেন, সেই সময় এক পাউন্ড জায়ফলের দামে কেনা যেত সাতটি হৃষ্টপুষ্ট গোরু। ধর্মযাজকরাও উদার সার্টিফিকেট দিতে লাগলেন। ফলে আরও কদর বাড়ল জায়ফলের।
জায়ফল খাবারে স্বাদ-গন্ধ আনে। ভেষজ উপকারিতাও প্রচুর। খাবারে দিলে চট করে নষ্ট হয় না। নবম শতাব্দীর শুরুর দিকে থিওডর দ্য স্টুডাইট তাঁর শিষ্যদের খাবারের উপর জায়ফলের গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়ে খেতে বলতেন। বলতেন, এতে স্বাস্থ্য আর মনোযোগ দুটোই ভালো হবে।
হিউয়েন সাঙ যখন নালন্দায় থাকতেন, তখন রোজ কুড়িটি করে জায়ফল পরিবেশন করা হতো তাঁকে। তবে শুধুই গুণকীর্তন না করে মধ্যযুগের ইতালির বিখ্যাত সালের্নো মেডিক্যাল স্কুল জায়ফল নিয়ে শুনিয়েছিল বিরাট এক সতর্কবাণী। বলেছিল, ‘একটা জায়ফল তোমার উপকার করবে। দুটো জায়ফল তোমার ক্ষতি করবে। আর তিনটে জায়ফল তোমায় মেরে
ফেলবে।' এতেই আলোড়ন পড়ে যায় চারদিকে। নেশার জগতেও জায়ফলের তখন দারুণ সমাদর। কটু গন্ধ নেই। খেতে ভালো। নিমেষে তুরীয় আনন্দ পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে সে সময় ধনীদের কাছে জায়ফল হয়ে উঠল বড় আদরের। সান্ধ্য মৌতাতে এই ‘গুণী’-কে হাজির করতে যে কোনও দাম
দিতে রাজি থাকতেন তাঁরা। এরই ফলে আরও দামি হয়ে উঠল জায়ফল। কথিত আছে, একটা ছোট থলে ভর্তি জায়ফল বিক্রি করতে পারলে বাকি জীবন সেই টাকায় বসে খাওয়া যেত। হয়তো সে কারণেই উটের পিঠে চাপিয়ে মরুভূমি পার হয়ে আরব বণিকরা যেটুকু জায়ফল নিয়ে যেতে পারতেন, সেটাই তাঁদের রোজগারের জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াল অটোমানের জমানার তুর্কিরা। ১৪৯৩ সালে ইস্তানবুল হয়ে এশিয়া থেকে ইউরোপের বাণিজ্যপথ বন্ধ করে দিল তারা। মরিয়া হয়ে সবাই বেরিয়ে পড়ল আরব বণিকদের নিয়ে আসা মশলা, বিশেষ করে জায়ফলের ঠিকানার খোঁজ করতে।
Diese Geschichte stammt aus der December 2022-Ausgabe von Sarir O Sasthya.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der December 2022-Ausgabe von Sarir O Sasthya.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
ছানি পড়েছে বুঝবেন কীভাবে?
পরামর্শে রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অপথ্যালমোলজির অধিকর্তা ডাঃ অসীমকুমার ঘোষ
দিনরাত এসিতে? ডেকে আনছেন ড্রাই আই
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ হিমাদ্রি দত্ত
সমস্যা যখন ক্ষীণদৃষ্টি
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও দিশা আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশিস ভট্টাচার্য
গ্লকোমা থেকে মুক্তির উপায়
পরামর্শে সুশ্রুত আই ফাউন্ডেশন এবং রিসার্চ সেন্টারের অপথ্যালমোলজিস্ট ডাঃ রতীশচন্দ্র পাল
বিপদ যখন রেটিনোপ্যাথি
পরামর্শে শঙ্করজ্যোতি হাসপাতালের বিশিষ্ট চক্ষুবিশেষজ্ঞ ডাঃ শিবাশিস দাস
ট্যারা চোখ কেন হয় ? প্রতিকারই বা কী?
পরামর্শে বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ ইপ্সিতা বসু
নজর থাক শিশুর চোখে
সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে স্কুলের ডিজিটাল ক্লাসও। তার জেরে মায়োপিয়া হওয়ায় চোখে পাওয়ার আসছে।
নিখরচায় নকল চোখ!
বিদ্যালয়ে প্রবেশের পর তাদের স্কুলে অন্য শিশু দ্বারা হেনস্থা হওয়ার ভয় থাকে। এমন ক্ষেত্রে এই বাচ্চাদের রক্ষা করতে পারে ডেঞ্চার। তাও তৈরি হয় আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে।
কৃত্রিম চোখ গবেষণা কতদূর?
বা ক্ষীণ, তাঁরা আলো-অন্ধকারের প্রভেদ করতে পারেন। আবছা দেখতেও পারেন। তবে বায়োনিক চোখেরও আরও অগ্রগতি প্রয়োজন রয়েছে।
কখন করা হয় কর্নিয়া প্রতিস্থাপন?
জানালেন রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব অপথ্যালমোলজির চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়