বাং লাজুড়ে তখন আছাড় খাচ্ছে স্বদেশি আন্দোলনের ঢেউ। দেশমাতৃকার শৃঙ্খলমোচনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বাঙালি শিক্ষিত সমাজের একটা বড় অংশ। কিন্তু সমস্যা দেখা দিল একটা জায়গায়যাঁদের বিরুদ্ধে এত জোরদার বিপ্লব সেই ইংরেজদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বেশিরভাগ ছেলেমেয়ের পড়াশোনা। গোরাদের নুন খেয়ে তাঁদেরই বিরোধিতা করা, নীতিগত দিক দিয়ে মোটেও ভালো কথা নয়। তাছাড়া ইংরেজদের স্কুলে পড়ে স্বদেশি ভাবনায় উদ্বুদ্ধ হওয়াটাও বেশ কঠিন ব্যাপার। এইরকম একটা দোলাচল আবহে কিছু বুদ্ধিজীবী মানুষ স্বদেশি স্কুল স্থাপনের পক্ষে জোরালো সওয়াল করতে শুরু করলেন। তাঁরা এটাও প্রচার করতে লাগলেন, ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যকে সমূলে উৎখাত করতে হলে স্বদেশি মন্ত্রে দীক্ষিত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। বিদেশি বিদ্যালয়ে পড়ে আর যাই হোক, বিপ্লবী হওয়া যায় না। কারণ নিখাদ বিপ্লবী হতে গেলে প্রথমে স্বদেশি ভাবনায় জারিত হতে হবে। ১৯০৬ সালের ১৫ আগস্ট। ভূমিষ্ঠ হল বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ। তার প্রথম অধ্যক্ষ হলেন অরবিন্দ ঘোষ। তাঁকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলেন বহু গুণী মানুষ। যাঁরা নামমাত্র বেতনে এখানে পড়াতে সম্মত হলেন। তাঁদের মধ্যে একজন ইন্দুমাধব। অর্থাৎ ইন্দুমাধব মল্লিক। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে একদা পর্দাকাঁপানো অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক তাঁর উত্তরসূরি।
কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলেন ইন্দুমাধব। ১৯০৬ থেকে ১৯১৭ সাল। দীর্ঘ এগারো বছর অধ্যাপনা করেছেন। কোনও টাকা-পয়সা নিতেন না। পড়াতেন জীববিদ্যা ও মেডিসিন। জীববিদ্যা পড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হতো। যেমন, মাইক্রোস্কোপ, স্টেথোস্কোপ, অপারেশনের যন্ত্রপাতি। এগুলি সবই বিদেশ থেকে আসত। একবার খারাপ হলেই বাতিল। সারানোর কোনও উপায় ছিল না। ওইসব ফেলে দেওয়া যন্ত্রপাতি খুলে খুলে তিনি দেখতেন, কীভাবে তা তৈরি করা হয়েছে। আবার জোড়াও লাগাতেন। কিছু যন্ত্রপাতি সচল হতো। কিছু
হতো না। যেগুলি সচল হতো, সেগুলি নিয়ে ক্লাস করতেন। ছাত্রদের শেখাতেন বাতিল যন্ত্রপাতিকে কীভাবে আবারও কাজে লাগানো যায়। তৎকালীন সময়ে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে তিনি যেমন বৈচিত্র্য এনে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন, তেমনই নিজের মধ্যে প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন বহুমুখী প্রতিভারও। হেন কোনও বিষয় ছিল না, যা তিনি পড়েননি। বিজ্ঞান থেকে সাহিত্য...
দর্শন থেকে চিকিৎসাশাস্ত্র...আইনশাস্ত্র...
Diese Geschichte stammt aus der November 2023-Ausgabe von Sarir O Sasthya.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der November 2023-Ausgabe von Sarir O Sasthya.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
সংযম, শৃঙ্খলা আর গানই তরুণের ফিট থাকার মন্ত্র
বয়স? ফ্যাক্টরই নয় তাঁদের কাছে। স্ট্রেস, টেনশনে দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়ার সময়ে কীভাবে পারেন ফিট অ্যান্ড ফাইন থাকতে? টিপস দিচ্ছেন তারকারা। এবারের ব্যক্তিত্ব তরুণ দে। লিখেছেন শিবাজী চক্রবর্তী।
কেনিয়ার জলে জঙ্গলে
ওয়াইফাই, সভ্যতার উচ্চনাদ থেকে বহু ক্রোশ দূরে কেনিয়ার অরণ্য এখনও বেঁচে আছে আদিম নীরবতাকে আশ্রয় করে। লিখেছেন ডঃ সঞ্জীব রায়।
চুল পড়া ঠেকাবেন কীভাবে?
পরামর্শে এইচ পি ঘোষ হাসপাতালের বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ শেলী গৰ্গ। কথা বলে লিখেছেন সুদীপ্ত সেন।
ম্যাগনেশিয়াম
ম্যাগনেশিয়ামের অভাব ও সমাধান শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি ডিপ্রেশন, হাড় দুর্বলতা, পেশি ব্যথা, এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কলা, পালং শাক, ছোলা, আমন্ড, এবং ডার্ক চকোলেট খেয়ে সহজেই ম্যাগনেশিয়ামের অভাব পূরণ করা সম্ভব। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এগুলি রাখুন এবং সুস্থ থাকুন।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বয়স্ক রোগীর ত্বকের যত্ন!
পরামর্শে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজের ডার্মাটোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ অরুণ আচার।
কোন পথে ভালো থাকবেন শাশুড়ি-বউমা?
একে অন্যকে সন্দেহের চোখে দেখবেন না। একে অন্যের নামে নালিশ করবেন না বাড়ির অন্য সদস্যের কাছে। বরং নিজেদের সমস্যা নিজেরা মেটান।
শিল্পই তার জিয়নকাঠি
শ্রেয়া ব্রহ্মর বয়স বেশি নয়। তবু তার জীবনীশক্তি, শিল্পকে আঁকড়ে ধরে লড়াইয়ের অদম্য মানসিকতা বহু মানুষকেই হার মানার আগে একবার জেতার কথা ভাবতে বাধ্য করবে। লিখেছেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।
শীতকালে রক্তচাপ কি বাড়ে?
পরামর্শে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরূপ দাস বিশ্বাস৷
প্রাকৃতিক উপায়ে ব্লাড প্রেশার কমানো সম্ভব?
পরামর্শে বিশিষ্ট হার্ট কার্ডিওথোরাসিক সার্জেন ডাঃ আমানুল হক।
উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির অসুখ
পরামর্শে পিয়ারলেস হাসপাতালের নেফ্রোলজিস্ট ডাঃ সৌভিক সুরাল।