যিনি ভবিষ্যতের সমরাধিনায়ক হবেন | তাঁকে নৈতিক, শারীরিক, মানসিক ভাবে সুস্থ সবল এবং দৃঢ়চেতা হতেই হবে। এ যেন বিধি নির্দিষ্ট। সুভাষচন্দ্র বসুর স্বাস্থ্য আলোচনা প্রসঙ্গে বলা যায়, সাধারণভাবে কিশোর বয়সে সাধারণ ছেলেরা যা করত, তার চেয়ে সুভাষচন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সম্পূর্ণই ভিন্ন। তিনি প্রাথমিক স্তরে ছাত্র জীবন শুরু করেছিলেন কটকে। কটক তখন ওড়িশার রাজধানী। এখানে ইংরেজের রাজত্বে প্রচুর বাঙালির বাস ছিল। তাঁরা সব এক একজন কৃতবিদ্য। শুধু তাই নয়, কটক সহ ওড়িশার অনেক জায়গার জমিদার ছিলেন বাঙালি।
সুভাষচন্দ্র জন্ম থেকেই কোনও একটা উজ্জ্বল আদর্শের খোঁজে সচেষ্ট ছিলেন। তাঁর জীবনে বেশ কয়েকজন শিক্ষক প্রভাবিত করেছিলেন।
১৯০১ সালে জানুয়ারিতে পাঁচ বছর বয়সে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল পি ই স্কুলে। এটি মিশনারি স্কুল। সেখানকার পরিবেশ বিশেষ সুবিধার না হলেও অভিজ্ঞতা হয়েছিল অম্ল মধুর। মিশনারি স্কুলের গোঁড়া শিক্ষক শিক্ষিকারা যেমন নীরস এবং অদ্ভুত চরিত্রের ছিলেন, সেটা সুভাষচন্দ্র ওই বয়সেই খুব ভালোভাবে বুঝেছিলেন। পরবর্তীকালে এই নিয়ে বিস্তর ঠাট্টা করতেন।
কটকের রেভেন্স কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হলেন। তখন সেই স্কুলের পরিবেশে ছিল ইউরোপীয় আর অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ছাত্রদের মধ্যে একটি মানসিক বৈষম্য। নতুন স্কুলে এই ব্যাপারটি সুভাষচন্দ্রের মনে খুব রেখাপাত করেছিল। এই স্কুলে যথারীতি চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হলেন এবং তাঁর উপর শিক্ষকদের যে প্রত্যাশা ছিল, সুভাষচন্দ্র পরীক্ষার ফলাফলে তাঁদের সন্তুষ্ট করতে পেরেছিলেন। খেলাধুলোর প্রতি আকর্ষণ থাকলেও ওই বয়সে একটা ধারণা দাঁড়ালো বিলিতি আদর্শে চালিত স্কুলটি খেলাধুলার প্রতি ততটা আগ্রহী ছিল না। এ বিষয়ে সুভাষচন্দ্র নিজেই বলছেন, ‘আমাদের প্রধান শিক্ষক মশাই নিজে খেলাধুলায় তত উৎসাহী ছিলেন না বলেই বোধহয় এদিকে তার দৃষ্টি বিশেষ প্রখর ছিল না। প্রধান শিক্ষক মশাই অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক ছিলেন এবং তার প্রভাব স্কুলের সর্বত্র টের পাওয়া যেত। নিয়মানুবর্তিতা ও ভদ্র আচরণকে তিনি শিক্ষার সবচেয়ে বড় অঙ্গ বলে মানতেন। আমাদের প্রগ্রেস রিপোর্টে শুধুমাত্র পাঠ্য বিষয়েই নম্বর দেওয়া হতো না, ১) স্বভাব ২) আচরণ ৩) পরিছন্নতা ৪) সময়ানুবর্তিতা ইত্যাদিতেও নম্বর ছিল।
Diese Geschichte stammt aus der September 2024-Ausgabe von Sarir O Sasthya.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der September 2024-Ausgabe von Sarir O Sasthya.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
মেদ ঝরাতে ভাত না রুটি?
পরামর্শে মণিপাল হাসপাতাল, ব্রডওয়ের ডায়েটিশিয়ান ইন-চার্জ সুচন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়
ভুঁড়ি কমাতে বীজের সন্ধান
লিখছেন ভারতের আয়ুর্বেদ গবেষণা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানী, বনৌষধি গবেষক আয়ুর্বেদ চিকিৎসক, অধ্যাপক ডাঃ সুবলকুমার মাইতি
ওজন.কমানোর সুপারফুড
পরামর্শে বিপি পোদ্দার হাসপাতালের চিফ ডায়েটিশিয়ান মুনমুন ভট্টাচার্য
উপোস না ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং?
পরামর্শে নারায়ণা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান শতভিষা বসু
নিরামিষ খেলে দ্রুত ভুঁড়ি কমে?
পরামর্শে ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের চিফ ডায়েটিশিয়ান মীনাক্ষী মজুমদার
ভিগান খাদ্যে কি ফ্যাট কমে?
ভিগান খাদ্য অবশ্যই ওজন কমাবে। কিন্তু সেই খাদ্য হতে হবে তেল বা জাঙ্ক ফুড বর্জিত।
হেঁটেই ভ্যানিশ মেদ!
ওজন কমানোর সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম হাঁটা। কোন নিয়মে হাঁটলে ফল পাবেন হাতেনাতে? পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ যোগ ও ন্যাচেরোপ্যাথি কাউন্সিলের সদস্য ও যোগবিদ উজ্জ্বল কুমার ঘোষ
ওজন কমাতে লিক্যুইড ডায়েট কতটা কার্যকরী?
পরামর্শে সল্টলেক মণিপাল হাসপাতালের চিফ ডায়েটিশিয়ান ইন্দ্ৰাণী ঘোষ
মেদ ঝরান ঘুমিয়ে
পরামর্শে বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাজীব শীল
মেদ ঝরানোর ব্যায়াম
পরামর্শে রাজ্য যোগা কাউন্সিলের সভাপতি তুষার শীল