তাদের দেশের বাড়ি দীঘলগ্রাম থেকে ধীরুকাকার ফোনটা সেদিন সাতসকালে পাওয়ার পর থেকেই সুশোভন ঠিক করে উঠতে পারছিল না যে মন্দিরার কাছে কথাটা কীভাবে পাড়বে। মন্দিরা পুরো ব্যাপারটা কীভাবে নেবে সেটাই ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না। সুশোভন মুম্বইয়ে একটা নামী বেসরকারি ব্যাঙ্কে খুব উঁচু পদে কর্মরত। মুম্বইয়ের মতো জায়গায় প্রতিষ্ঠিত বিত্তশালী ব্যক্তি হিসেবে গ্রামের সকলের কাছে একটু গর্বের পাত্রও বটে। মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভের উল্টোদিকে একটা সুদৃশ্য প্রশস্ত বাংলোবাড়িতে ওরা তিনজন থাকে। ওরা তিনজন মানে ওর স্ত্রী মন্দিরা এবং ওদের একমাত্র ছেলে অনি মানে অনির্বাণ। অনি স্টেটস থেকে বিসনেজ ম্যানেজমেন্ট পাশ করে নিজেই একটা মার্কেটিং অফিস চালায়, বিজ্ঞাপন জগতে মডেলিং ব্যবসা। ব্যবসাতে সম্প্রতি তার সঙ্গে পার্টনার হিসেবে যোগ দিয়েছে তারই বাগদত্তা ঝকঝকে সুন্দরী বিদীপ্তা। ওদের বাংলো বাড়িটা একজন পার্সি ভদ্রলোকের, একটু পুরনো হলেও মেরিন ড্রাইভের তীরে এই খোলামেলা বাংলোটাই মন্দিরার বেশি পছন্দ। তাদের ছেলে অনির্বাণ যে মার্কেটিং অফিস চালায়, সেটা এই বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয়। মর্নিং-ওয়াক সেরে সকালবেলায় জাফরি কাটা কাচের শেড দেওয়া ব্যালকনি থেকে দূরে আরব সাগরের ক্রমাগত আছড়ে পড়া ফেনিল ঢেউ দেখাটা একটা অভ্যেসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল ওদের। সেদিন সকালেও যথারীতি মর্নিং ওয়াক সেরে ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সুশোভন অপেক্ষা করছিল মন্দিরা এক্ষুনি চা নিয়ে আসবে আর সে সময়ই হঠাৎ দেশের বাড়ি থেকে ধীরুকাকার ফোনটা পেল।
ধীরুকাকা ফোন করেছিল তার অসুস্থ মেয়ে লাবণ্যকে নিয়ে এখানে আসতে চায়, হাসপাতালে চেকআপ করাবার জন্য। কয়েকদিন থাকতে হতে পারে। সুশোভন এমনিতে যথেষ্ট পরোপকারী। গ্রামের অনেকেই জানে সে উঁচু পদে আছে, যথেষ্ট ক্ষমতাবান লোক, তাই অনেকে চাকরি-বাকরির জন্য প্রায়শই অনুরোধ করে। সুশোভনও সাধ্যমতো গ্রামের অনেককেই সাহায্য করেছে এ ব্যাপারে। নিজের বাড়িতে রেখে ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিন্তু ধীরুকাকার
Diese Geschichte stammt aus der 18 May 2024-Ausgabe von Saptahik Bartaman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der 18 May 2024-Ausgabe von Saptahik Bartaman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
সুন্দরবনের মধু ও মৌলে
সুন্দরবনের মধু সংগ্রহকারীদের জীবন সংগ্রাম ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানের এক বিস্তারিত চিত্র ফুটে উঠেছে ‘সুন্দরবনের মধু ও মৌলে’ নিবন্ধে। দলবদ্ধভাবে জঙ্গলে প্রবেশ, বনবিবির আরাধনা, মৌমাছির গতি পর্যবেক্ষণ, এবং সতর্কতার সঙ্গে মধু সংগ্রহ—এই প্রক্রিয়াগুলি তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ও সাহসিকতাকে তুলে ধরে। তবুও, বাঘ ও কুমিরের আক্রমণের ঝুঁকি তাঁদের জীবনের নিত্যসঙ্গী।
ভি ল্ল তী র্থ
সুরধুনী গঙ্গার দক্ষিণ তীরে শ্রীগিরি পর্বতের উত্তর দিকে ঋষিগণ পূজিত আদিকেশ শিবলিঙ্গ বিরাজমান ছিলেন। সেখানে এক ভক্ত ব্যাধের অপ্রচলিত কিন্তু আন্তরিক পুজো শিবের হৃদয় জয় করে। ঋষি বেদের নিষ্ঠাবান পুজোর পাশাপাশি ব্যাধের ভালবাসা ও গভীর ভক্তি শিবকে সমানভাবে সন্তুষ্ট করে। শিব তাঁদের দুজনকেই আশীর্বাদ প্রদান করেন এবং ব্যাধের নামে সেই স্থান পরিচিত হয় \"ভিন্নতীর্থ\"। এই কাহিনি শিবের ভক্তির প্রকৃত অর্থ এবং আন্তরিকতার মর্ম শেখায়।
প্রেম ও অহিংসার ভাবনা
“সম্মিলিত ভিক্ষুদের মতামতই সঙ্ঘের প্রকৃত শক্তি। তোমরা সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে সঙ্ঘ পরিচালনা কর। এই কথার মাধ্যমে বুদ্ধদেব তাঁর শেষ বাণী প্রদান করেন। এরপর মহাপরিনির্বাণ লাভ করে, পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। কুশীনগরে তাঁর দাহকার্য সম্পন্ন হয়। বুদ্ধের প্রেম ও অহিংসার ভাবনা চিরকাল মানুষের হৃদয়ে জেগে থাকবে।”
মৃত্যুর আগে মানুষ কী কী অনুভব করে ?
জাগতিক চিন্তায় যারা ব্যস্ত, সর্বদা টাকা টাকা করছেন, লোক ঠকানো, হেনস্তা করা, এমন মানুষের শরীরে হঠাৎ জড়ত্ব ধরে। তাঁরা অচেতন হয়ে দীর্ঘকাল থাকেন এবং শরীরের দুর্ভোগ বুঝতে পারেন না। কিছু মানুষের থাকে দেবচৈতন্য। তাঁরা মৃত্যুর আগাম সংকেত পান। শেষ সময়ে জাগতিক দায়দায়িত্ব উত্তরসূরিদের হাতে দিয়ে যান। আর এক দল আছেন মৃত্যুমুক্ত। শ্রীঅরবিন্দের দেহত্যাগের পর অনুরাগীরা দেখেন তাঁর শরীর আলোকময়! আনন্দময়ী মায়ের শরীরত্যাগের পর তিনদিন ধরে তাঁকে ঘিরে ছিল সাদা আলোর বলয়। সাধারণ মানুষও টের পান শেষ ক্ষণের আগাম বার্তা। তখন তাঁরা কী দেখেন? কারা মুক্ত হন? কিন্তু বাসনা যাঁদের প্রবল, তাঁদের কী এ সংসারে ফিরে আসতেই হবে। লিখেছেন সোমব্রত সরকার।
বাঙালির সেই গৃহ সহায়করা
এই লেখাটি বাংলার একান্নবর্তী সংসার এবং বনেদি পরিবারের ভৃত্যদের জীবন ও তাদের সাংস্কৃতিক প্রভাব নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত অথচ বিস্তৃত বিবরণ। এটি ঔপনিবেশিক সময়ের সামাজিক পরিবর্তন, কর্মজীবন ও মানুষের আন্তঃসম্পর্কের মর্মান্তিক এবং মজাদার দিকগুলোকে ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্যুমেরাং
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মোড়া পাহাড়ি রাস্তা, যেখানে রোমাঞ্চ আর ভয় একসঙ্গে হাত ধরাধরি করে। সরু, আঁকাবাঁকা রাস্তা পেরিয়ে দেখা মেলে তিস্তার চঞ্চল প্রবাহ আর ফুলে ঢাকা পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। এমন এক পরিবেশে চিরন্তন আর তৃষা তাদের গোপন অভিসারে নিমগ্ন, জীবন আর সম্পর্কের টানাপোড়েনকে সাময়িক ভুলে। কিন্তু হঠাৎ এক অপ্রত্যাশিত দৃশ্য তাদের সুখস্মৃতি বিঘ্নিত করতে পারে।
পাহাড়িয়া পাঁচমারি
বর্ষার স্নিগ্ধ দিনে মেঘমল্লারে মেঘের গান আর জঙ্গলের পথে হারিয়ে যাওয়ার মন্ত্রমুগ্ধ আমন্ত্রণে ঘুরে আসা হলো ‘সাতপুরার রানি’ পাঁচমারি। পুরাকথার ছোঁয়া, ব্রিটিশ আমলের ছাপ আর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে মোড়া এই শৈল শহর যেন এক টুকরো রূপকথা। পাহাড়, জঙ্গল, ঝরনা আর রহস্যময় গুহার সংমিশ্রণে পাঁচমারি একবার দেখলে মনের মণিকোঠায় চিরস্থায়ী হয়ে যায়।
এক বিপন্ন জার্নালের ইতিকথা
১৯৫৫ সালের ডায়েরি মূলত তাঁর হাসপাতালে দিনযাপনের পঞ্জি। দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, অতুল গুপ্ত, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সুলেখা সান্যাল, সঞ্জয় ভট্টাচার্য, মুজফ্ফর আহমেদ—সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বৃত্তের প্রচুর শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে তাঁর কথালাপের প্রসঙ্গ বারবার ঘুরেফিরে এসেছে।
ধ্বংসলীলাও উপভোগ্য?
স্লাভুটিচ শহরটি চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর জন্ম নেওয়া এক স্মৃতিস্তম্ভ, যেখানে ধ্বংসের পরও জীবন ফিরে এসেছে। আজ এটি \"ডার্ক ট্যুরিজম\" এর অন্যতম আকর্ষণ, যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে ভয়ঙ্কর ইতিহাসের মাধ্যমে।
প্রাণ রক্ষায় কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর
চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘ কর্মজীবনে অনেক রোগীকে বাঁচাতে পারলেও, হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে হাসপাতালে আনা রোগীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কিছু করা সম্ভব হয় না। তবে সিপিআর জানলে অনেকের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।