
স্কি -টাউন গেইলোর নির্মল শান্তরূপের মায়া কাটিয়ে পাড়ি দিলাম সুইডেনের কার্লস্ট্যাড শহরের উদ্দেশে। সড়কপথে ২১৯ কিলোমিটার। একটানা পৌনে দু'ঘণ্টা ছোটার পর বাস-ক্যাপ্টেন হাইওয়ে থেকে টার্ন নিয়ে বাহন থামালেন। এক মনোরম পরিবেশ। সুন্দর ঝকঝকে মিনিমল। ইউরোপে বাসচালকদের ‘বাস-ক্যাপ্টেন' নামেই ডাকা হয়। তাছাড়া তাঁদের পরিষেবাকে সামাজিক স্তরে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। এসব দেশের অনুশাসন অনুযায়ী যাত্রীসুরক্ষায় চালকদের প্রতি দু'ঘণ্টায় কিছুক্ষণের বিরতি নেওয়াটা আবশ্যক।
সকালে হোটেলে মনপসন্দ ব্রেকফাস্টের পর বাস থেকে চটপট নেমেই উষ্ণ কফিতে গলা ভেজানো। সে এক অন্য আমেজ! সংগৃহীত হল টুকটাক মেমেন্টো। বেরিয়ে এলাম বাইরের চত্বরে। বিশালাকার এক ভালুকের স্ট্যাচু। নরওয়েজিয়ান ভাষায় ইংরেজির বেয়ার অবশ্য বিয়ন। যে রয়ে গেল আমাদের সঙ্গে ছবিতে। কিন্তু আর ছবি নয়। আরও প্রায় দেড়ঘণ্টার পথ। পৌঁছলাম ওসলো।
দুপুরের লাঞ্চ শেষ হল। তবে আজ রাত্রিযাপন এখানে নয়। বিদায়ী শহর ওসলোর পথ শোভার বেশ কিছু স্ন্যাপশট নিয়ে এবার রওনা হলাম কার্লস্ট্যাডের দিকে। অর্থাৎ নরওয়ের সীমানা ছাড়িয়ে সুইডেনের এক স্বল্পপরিচিত শহর কার্লস্ট্যাডকে একবার ছুঁয়ে দেখার বাসনা। এই ধরণীতলের আনাচকানাচে কত যে অগুনতি মোহময়ী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে! তা যেন রং-তুলির ছোঁয়ায় নিখুঁতভাবে আঁকা। যার অনেকাংশই দৃষ্টির অগোচরে থেকে যায়। কার্লস্ট্যাড সেরকমই এক অপরিচিত, অজানা শহর।
ভরাপেটে দুপুরের ঝিমুনি, বাসের ঝাঁকুনি, হালকা দুলুনি — এসবের মধ্যেই যেন ঝড়ের গতিতে ক্যাপ্টেন বাস চালিয়ে নিয়ে চলে এলেন গন্তব্যে। পা ছোঁয়ালাম কার্লস্ট্যাডের মাটিতে। ভৌগোলিক অবস্থানে এ শহর সুইডেনের ঠিক দক্ষিণ-পশ্চিমে। সূর্যদেব যেখানে সদাই হাস্যমুখ। তাই গায়ে লেগে আছে সুইডেনের সানি সিটির তকমা। এই শহরে আমাদের প্রবেশও সেই উজ্জ্বল রোদকে সাক্ষী রেখে। ঘড়িতে তখন বিকেল চারটে।
Diese Geschichte stammt aus der March 15, 2025-Ausgabe von Saptahik Bartaman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der March 15, 2025-Ausgabe von Saptahik Bartaman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden

জীবন ঘিরে যত জিজ্ঞাসা
মানুষের জীবন নানা রঙের গল্পে ভরা, যেখানে প্রতিটি সম্পর্ক, চাওয়া-পাওয়া ও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। আইভি চট্টোপাধ্যায়ের ‘বারো ২ আরো’ গল্প সংকলন জীবনের সেই সূক্ষ্ম বাস্তবতাকে গভীর সংবেদনশীলতায় তুলে ধরে।

প্রেতসাধনা কী? এই সাধনায় গৃহস্থের কী মঙ্গল হয় ?
প্রেতসাধকেরা বলেন, প্রেতাত্মারাই হল ভূত। এদের ভেতরও ভালো-মন্দ— দু'টি শ্রেণি আছে। ভালো প্রেত মানুষকে বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়ে মঙ্গল করে। আর দুষ্ট প্রেতাত্মারা অনিষ্টের কারণ। শ্মশান কিংবা শিবস্থল ছাড়া প্রেতসাধনা হয় না। ক্ষুধার্ত প্রেত আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। সাধকের প্রাণ থেকে মন একটু আলগা হলেই তারা সব মনকে প্রাণের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি করার খেলায় মাতে। প্রাণ হল মানুষের নাভিচক্রে থাকা তেজ। এই তেজকেই বলবান করেন প্রেতসাধুরা। প্রেতবাহনা ও মোহিনীপ্রেতের উপাসনা কী? প্রেতপীঠ কোথায়? গৃহস্থের সাংসারিক মঙ্গলের জন্য প্রেতসাধকরা কী উপায় বলে গিয়েছেন? লিখেছেন সোমব্রত সরকার।

ইউরোপের সৌন্দর্য
ইউরোপের সৌন্দর্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে রীতা ঘোষের বই ‘অপরূপ ইউরোপ’, যেখানে ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, তুরস্কসহ নানা দেশের মনোমুগ্ধকর ভ্রমণকথা উঠে এসেছে।

ফিরে দেখা
হাওড়া স্টেশনে ট্রেনের হুইসেল, স্মৃতির পাতায় পুরোনো গল্পের ঝলক! কিছু মুহূর্ত শুধু মনে থাকে, হারায় না! 🚂✨ #স্মৃতিরপাতা #ভ্রমণ

পুরাণ ও ইতিহাসে সিদ্ধিদাতা
গণেশ ঠাকুর সর্বজ্ঞ ও সিদ্ধিদাতা, যাঁর কাহিনি সীমাহীন। ভারতসহ বহু দেশে ভিন্ন রূপে তিনি পূজিত হন, সমৃদ্ধ পুরাণ ও ইতিহাসের সঙ্গে।

পদ্মকুমার
পদ্মকুমার, যিনি অগ্রমহিষীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যুবরাজ হিসেবে রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে, মায়ের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে চোরপ্রপাতে নিক্ষিপ্ত হন। কিন্তু নাগরাজের সহায়তায় তিনি বেঁচে ফিরে, তপস্যায় মনোনিবেশ করেন।

যাত্রাপথের যন্ত্রণা পেরিয়ে
তাঁরা ‘হিটলার’ দেখেছেন, ‘কার্ল মার্কস', ‘আমি সুভাষ বলছি’, ‘সূর্যশিখা’, ‘সন্ন্যাসী তরবারি’, ‘স্পার্টাকাস', ‘হেলেন অব ট্রয়'-এর মতো পালা দেখেছেন। সেই দর্শকরা আজ আর নেই। যেন হাহাকার করে ওঠেন অনল।

পঞ্চচুল্লি আর চেরিফুলের দেশে
পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে অজানা এক সফর, যেখানে প্রতিটি বাঁকেই লুকিয়ে আছে নতুন বিস্ময়!

গদ্যের ভিতরে রবীন্দ্র অন্বেষণ
কালীকৃষ্ণ গুহের ‘গদ্যসংগ্রহ ১’ বাংলা কবিতা, রবীন্দ্রসঙ্গীত ও সাহিত্য বিশ্লেষণের এক অনন্য সংকলন, যেখানে কবিদের সৃষ্টিজগতের গভীর অনুভূতি ও ব্যাখ্যা চিত্রের মতো উঠে এসেছে।

খনা কে? কেন প্রাসঙ্গিক তাঁর বচন?
২৫ জানুয়ারি, ২০২৫-এর 'সাপ্তাহিক বর্তমান'-এ বিদূষী নারী খনার জন্মবৃত্তান্ত এবং তাঁর বচন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর বচনে কৃষক সমাজের গভীর প্রতিফলন দেখা যায় এবং খনার আবির্ভাব প্রায় চতুর্থ থেকে পঞ্চম শতাব্দীর মধ্যে।