ভেলোর থেকে চিদম্বরম যাওয়ার ২২৫ | কিলোমিটার পথে পড়ে জিঞ্জি নামে একটি পাহাড়ি শহর। সেখানে আছে আশ্চর্য এক দুর্গ! তিন পাহাড়ের চূড়া জুড়ে তার বিস্তৃতি। ইতিহাসের পাতা থেকে অনেক দিন আগেই জিঞ্জির দুর্গ হারিয়ে গিয়েছে। দুর্গ দেখে চিদম্বরমের কাছেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম, পিছাভরম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট দেখে আসব বলে ভেলোর থেকে এক দিন ভোর ভোর বেরিয়ে পড়লাম। গাড়ির চালক কার্তিক। সঙ্গে চলেছেন তার বাবা, উনি পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে, আরনি পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যাবেন। ওখান থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে কোনও গ্রামে ওঁদের বাড়ি। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিক, বাতাসে হালকা শীতের আমেজ। ঝকঝকে রাস্তার দু'দিকে সোনালি ধানের খেত। ধান কাটা আর বড় মেশিনে ধান ঝাড়াইয়ের কাজ চলেছে। মাঝে মাঝে ছোট ছোট পাহাড়ের সারি। এ পথের সৌন্দর্য অনন্য। মন ভালো করা একটা অনুভূতি হল ।
আরনি পৌঁছতে এক ঘণ্টার মতো লাগল । ধন্যবাদ জানিয়ে বাসস্ট্যান্ডে নেমে গেলেন কার্তিকের বাবা। আমরা জিঞ্জির পথ ধরলাম।
এখান থেকে জিঞ্জি দুর্গ আরও প্রায় ৫০ কিলোমিটার। জঙ্গলাকীর্ণ পাকদণ্ডি রাস্তা। ধারে ছোট ছোট জনপদ। ঘণ্টা দেড়েক চলার পর দূর থেকে পাহাড়ের চূড়ায় দুর্গগুলো দৃষ্টিগোচর হল।
মোটামুটি জমজমাট জনপদ জিঞ্জি। গাড়ি দাঁড়াল জমজমাট গান্ধী বাজারের হোটেল বসন্ত ভবনে। সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি। দুর্গ দেখতে যাওয়ার আগে পেটে কিছু দিতে হবে। গরম বৃহদাকার পুরি আর বড়া দিয়ে প্রাতরাশ করলাম, শেষে তামার গ্লাস আর বাটিতে গরম ধূমায়িত চা।
হোটেলের ঠিক বাইরে বিক্রি হচ্ছে গোলাপ সমেত জুঁই ফুলের মালা। দক্ষিণ ভারতীয় মহিলাদের দৈনন্দিন সাজের উপকরণ খোঁপায় লাগানোর এই ফুলমালা। স্ত্রীরও শখ হল যস্মিন দেশে যদাচার করার। আমাদের পথের সঙ্গী হল জুঁই ফুলের মন ভোলানো মিষ্টি সুবাস। শহর থেকে দু'কিলোমিটারের মধ্যে জিঞ্জি বা সিঞ্জি ফোর্ট। এটা ভেল্লুপুরম জেলা। তিরুভান্নামালাই যাওয়ার রাস্তার দু'দিকে বিস্তৃত এই দর্গ কমপ্লেক্স |
Diese Geschichte stammt aus der December 2024-Ausgabe von Bhraman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der December 2024-Ausgabe von Bhraman.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।