পাহাড়ের ওপর বেশ ছিমছাম ছোট একটা শহর হল মুসৌরি। ২০০৩ । সালের গ্রীষ্মে যেবার এসেছিলাম তখন ঘোরতর ছুটির মরসুম। সাধারণ টুরিস্ট তো আছেই, এ ছাড়া দিল্লি ও তার আশপাশের মানুষ গাড়ি নিয়ে দলে দলে এখানে উঠে আসে ঠান্ডায় কিঞ্চিৎ স্বস্তি পেতে। বহু পয়সাওলা লোক আবার এ সব অঞ্চলে নিজস্ব ভিলা তৈরি করে রেখেছেন, ফলে সব মিলিয়ে মে-জুন মাসে মুসৌরি বেশ সরগরম হয়ে থাকে। আমরা নানা জায়গা ঘুরে তারপর এসেছি। হোটেল বুক করে রাখিনি তাও কপালজোরে ভাল ঘর পেয়ে গেলাম। জানলা খুললেই পশ্চিম দিকে পাহাড়ের সারি আর নীচে পাইনের ঘন জঙ্গল। বেরিয়ে কিছুটা গেলেই প্রায় মাইল দেড়েক লম্বা ম্যাল রোড। লাইব্রেরি মোড় থেকে শুরু করে পাহাড়ের ধার ঘেঁষে এঁকেবেঁকে চলে গিয়েছে কুলরি চৌক অবধি। রাস্তার ধারের কারুকার্য করা লোহার রেলিং, বসার বেঞ্চ। অনেক কটা বেঞ্চ আবার ছাউনি দেওয়া। সেইসঙ্গে আলোর স্ট্যান্ডগুলো দেখলে মনে পড়ে যায় সাহেবি আমলের কথা। হোটেল, রেস্তরাঁ, দোকানপাট মিলিয়ে লাইব্রেরি মোড় বেশ জমজমাট জায়গা, সুবিধেমতো বসে গেলাম ছবি আঁকতে। হইচই থেকে সরে একটু নির্জনতা খুঁজতে চাইলে পাহাড়ের পশ্চিম দিকে ক্যামেল’স ব্যাক রোডে গিয়ে পড়া যায়। ম্যালের এদিক থেকে শুরু করে পাহাড়ের গা দিয়ে এই রাস্তাও শেষ হয়েছে সেই কুলরি চৌকে। বিকেলের পড়ন্ত রোদে হাঁটতে বেশ লাগছিল, চলেও গিয়েছিলাম অনেকটা। ফিরতি পথে ঢালুর গায়ে একটা ঝুপড়ি গোছের চায়ের দোকান দেখে বসা গেল। মালিক মুনশি সিংহ ফৌজিফেরত এবং বেশ গোপ্পে। আরেকটু নেমে পাহাড়ের খাঁজে ওর চালাঘর। বউ-ছেলেপুলে নিয়ে দিব্যি আছে। আমাদের খাতির করে বসিয়ে নিম্বু-চায় পরিবেশন করল। ঘড়িতে ছটা বাজে। সামনেই পশ্চিম খোলা ঝকঝকে আকাশের কোলে পর্বতমালা, ভাবলাম এখান থেকেই তাহলে সূর্যাস্তটা জমিয়ে দেখা যাক। খেয়াল ছিল না এটা উত্তর ভারত, তায় আবার গরমকাল। ফলে ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে বেশ রাত অবধি বসে থাকতে হল। লাইব্রেরি মোড় ছাড়ালেই গান্ধী চকের ব্যস্ত জিপ স্ট্যান্ড, ঘুরতে ঘুরতে চোখে পড়ল খুব পুরনো একটা ক্যামেরার দোকান যার দেওয়ালে বেশ
Diese Geschichte stammt aus der July 15, 2022-Ausgabe von SANANDA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der July 15, 2022-Ausgabe von SANANDA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
আমি জীবনকে ভালবাসি। জীবনের প্রত্যেকটা দিন ভালবাসি
সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন শিল্পী মল্লিকা সারাভাই। নৃত্য উপস্থাপনার মাধ্যমে দিলেন একাধিক জরুরি বার্তা। পারফরম্যান্সের পরে তাঁর মুখোমুখি মধুরিমা সিংহ রায়।
আইন
আপনাদের পাঠানো আইনি প্রশ্নের সদুত্তর দিচ্ছেন বিশিষ্ট আইনজীবী দ্যুতিমালা বাগচী।
সমাধান যখন আইভিএফ
আইভিএফ করালে জীবনধারায় কেমন পরিবর্তন আনা জরুরি? এ নিয়ে ভুল ধারণা কী কী? জানাচ্ছেন ইনফার্টিলিটি ও আইভিএফ স্পেশ্যালিস্ট ডা. সুজয় দাশগুপ্ত। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায়।
ঘরোয়া রূপটান
বাড়িতেই হতে পারে রূপটান। টিপস দিলেন রূপ বিশেষজ্ঞ শেহনাজ হুসেন।
কাঠচম্পা সাক্ষী
মনের গভীরে একটা দুঃখ চেপে বসে থাকে কমলার। বড় ছেলের বিয়ে হয়েছে। আর বাড়ির বৌ এক রাতও এ বাড়িতে থাকেনি। এক বার ‘মা’ বলেও ডাকেনি। ছোট ছেলের বিয়ে তো নিজেই দেখে দিলেন। তফাত তেমন কিছু হয়নি। শান্ত স্বভাবের। কম কথা বলে মেয়েটি। আসলে সমাজে পরিবর্তন এসেছে।
স্বাদ-এ শেফ ১
চিকেন বা মাছের যে কোনও পদ বহুল জনপ্রিয় বাঙালিদের মধ্যে। চিরায়ত সেই স্বাদকেই নতুন আঙ্গিকে ধরেছে ডাইনার ৪৯বি। বিভিন্ন রেসিপির মধ্যে থেকে চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফের কর্ণধার সপ্তক মান্না।
হার্টের চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতি: ট্যাভি
বয়স্কদের ক্ষেত্রে অ্যাওটিক স্টেনোসিসের চিকিৎসায় ওপেন হার্ট সার্জারির বদলে জনপ্রিয় হচ্ছে নতুন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি—‘ট্যাভি’। বিশদে আলোচনা করলেন বিশিষ্ট কার্ডিয়োলজিস্ট ডা. শুভানন রায়। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়।
প্রসঙ্গ পপ-আপ
কোনটা প্রদর্শনী, কোনটা পপআপ? পপ-আপ করতে গেলে কী মাথায় রাখা উচিত? বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
হাইএন্ড পপ-আপ সংস্কৃতি
দোকান, শপিং মল বা অনলাইন কেনাকাটাকে কয়েক গোলে পিছনে ফেলে দেবে লাইফস্টাইল পপ-আপের ক্রেজ। শহর জুড়ে বছরভর আয়োজিত হচ্ছে একাধিক হাইএন্ড পপ-আপ। যেখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় সম্ভ্রান্ত রুচিবোধ ও সাধবিলাসের স্বপ্ন। শহুরে এই নতুন ট্রেন্ডের খোঁজ করলেন অনিকেত গুহ
পপ-আপে সফল যাঁরা
নিজেদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁদের ধ্যান-জ্ঞান। পপআপ তাঁদের সেই সাফল্যের পথে অন্যতম জরুরি মাধ্যম। পপআপে সফল এমন ৮ জন নারীর গল্প শুনলেন উপমা মুখোপাধ্যায়।