নেগেটিভিটি প্রচুর আছে। একটু ভালবাসা ভাগ করে নেওয়া যাক

শ্বেতা ত্রিপাঠি শৰ্মা ওটিটি-র জনপ্রিয় মুখ। পরদায় যেরকম চরিত্রের মতো হয়ে ওঠেন শ্বেতা, পরদার বাইরে একেবারে প্রাণবন্ত। তাঁর সঙ্গে জুম আড্ডায় মধুরিমা সিংহ রায়।

আপনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম ‘বটাটাবড়া’। এরকম নামকরণ কেন? বটাটা মানে আলু। আপনি যে কোনও রান্নাতেই আলু দিন না কেন, সেই রান্নার স্বাদের সঙ্গে নিজেকে একদম মানিয়ে নেবে। চটপটা খাবারেও থাকতে পারে, আবার চাইনিজ়েও। পৃথিবীর যে কোনও কুইজ়িনেই আলু অবিচ্ছেদ্য। কিন্তু রান্নার ফ্লেভারের সঙ্গে মানানসই। আমিও সেরকমই খানিকটা। আমি চাই আমার চরিত্রগুলো আলাদা ফ্লেভারের হোক, দর্শক যখন দেখবেন, আলাদা আলাদা অনুভূতি জাগবে তাঁদের।

কিছুদিন আগেই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘এসকেপ লাইভ’ মুক্তি পেল। আপনি এমনিতেও বেশ বেছে বেছে কাজ করেন। এই প্রজেক্টে হ্যাঁ বললেন কেন? কনসেপ্ট আর গল্পের জন্য। ‘মির্জাপুর’-এ যেমন অনেক চরিত্রই বাস্তবের থেকে অনুপ্রাণিত, এই সিরিজ়ে তেমনটা নয়। সব চরিত্রই কাল্পনিক। কিন্তু গল্পটা এখন বাস্তবে যা হচ্ছে আমাদের সঙ্গে, তার উপর ভিত্তি করেই। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা এতটাই বেশি যে আপনি কাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন, তার চেয়ে বেশি জরুরি ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বা লাইকের সংখ্যা! আমি তো অনলাইনে বার্থডে উইশ করাও বন্ধ করে দিয়েছি। কে না কে বাদ পড়ে যাবে, মনে রাখাই মুশকিল। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেদের একটু আলাদা রাখা জরুরি। কারণ, আমরা নিজেদের সঙ্গে কানেক্ট করতেই ভুলে যাচ্ছি এর ফলে! আমরা কে, এই প্রশ্নটা ভিতর থেকে আসতে হবে।