স বে তখন সন্ধে, একটা বড় অ্যাম্বাসাডার গাড়ি এসে দাঁড়াল চওড়া রাস্তার সামনে। গাড়ি থেকে নামা সঙ্গীতরসিক মানুষগুলোর গন্তব্য, কোনও এক অভিজাত রেস্তরাঁ। চিত্রটি কিন্তু কাল্পনিক নয়! এমন অ্যাম্বাসাডার রাতের পার্কস্ট্রিটে রোজ এসে থামত। কলকাতার রাতযাপনের বিবর্তন ঘটেছিল ১৯৫০-এর দিকে। ছয়ের দশকে তা আরও জেঁকে বসে এই মহানগরের বুকে। কীভাবে? চলুন দেখা যাক।
নাইট ক্লাব কালচার বলরুম ও ডান্সরুম এই কালচারের পূর্বপুরুষ। ১৮৪০ এর দিকে নিউ ইয়র্কের হে মার্কেট থিয়েটার লাইভ মিউজ়িক ও ডান্সের জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু কালক্রমে সেখানে লাইসেন্স ছাড়া মদ, জুয়া, এমনকি খুনের মতো নানা অসামাজিক কাজের জন্য পুলিশ কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেল। এই ছিল নাইটক্লাবের প্রথম পর্যায়। ১৮৮৬-তে ওয়েবস্টার হল তৈরি হল। একেই প্রথম আধুনিক নাইটক্লাব বলা যায়। 'রেইসনওয়েবারস কাফে’র (reisenweber's cafe) মাধ্যমে নিউ ইয়র্ক প্রথম জ্যাজ় ও ক্যাবারে ডান্সের সঙ্গে পরিচিত হতে আরম্ভ করল। ১৮৮৯, আমেরিকাতে কয়েন অপারেটেড রেকর্ড প্লেয়ার এল। যার নাম জুকবক্স। এরপর থেকে আমেরিকাতে বারের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেল। লন্ডনে ১৯২০ থেকে '৩০... এই সময় প্রতিষ্ঠিত হল ‘কাফে দ্য পারি’, ‘দ্য ৪৩ ক্লাব’ ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠাতার নাম ক্যাট মেইরিক, যাঁকে বলা হত ‘দ্য নাইট ক্লাব কুইন’। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর বার্লিন ও ‘ট্যাঙ্গো’ ছন্দে ডান্স ফ্লোরে পা মেলাল, হাতে কাচের গ্লাস। সমস্যা বাধল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। অধিকৃত
ফ্রান্সে নাৎসিরা জ্যাজ়, জিটারবাগ ডান্সফর্ম, বিপপ (জ্যাজ়ের এক বিবর্তিত রূপ, ১৯৪০-এ আমেরিকাতে তৈরি হয়েছিল) নিষিদ্ধ করে দিল। শুরু হল প্রতিবাদ। সামান্য এক বিনোদনের মাধ্যম ক্রমশ প্রতিবাদের স্বর হয়ে উঠতে শুরু করল। গোপন বেসমেন্টে গিয়ে জ্যাজ, সুইং মিউজ়িক পারফর্ম করা হত। সাহসে ভরা এই তরুণদের বলা হত ‘সুইং কিডস’ এবং সঙ্গীতে মুখর এই গোপন ডেরাগুলোর নামকরণ হল ‘ডিস্কোথেক’ (discotheques)। বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ক্রমশ পরিবর্তন হতে লাগল পৃথিবীর রাত্রিযাপনের। আর তার ফল স্বাভাবিকভাবেই এসে পড়ল তিলোত্তমা কলকাতায়।
Diese Geschichte stammt aus der December 15, 2023-Ausgabe von SANANDA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der December 15, 2023-Ausgabe von SANANDA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।