শারির এক কোণে লুকিয়ে থাকা শেষ মশাটি নিকেশ করে ভিতরে ঢোকার জায়গাটুকু গুঁজে দিয়ে, বেড | সাইড সুইচে আলতো চাপ দিল মোহর। তার পর বালিশে মাথা দিল। ঘর অন্ধকার। তবে একেবারে নিকষ অন্ধকার নয়। দরজার পাশের সুইচ বোর্ডে লাল রঙের একটা ইন্ডিকেটর ল্যাম্প আর ভুল করে ঢুকে-পড়া কয়েকটা জোনাকির হলুদ আলোয় সিলিং ফ্যানটা যে ফুল স্পিডে চলছে, বেশ বোঝা যাচ্ছে।
মোহর পাশ ফিরল। চোখ দুটো আরও কিছুটা সইয়ে নিয়ে দেখল, পর পর শুয়ে থাকা জুঁই, টগর আর বকুলের নিঃশ্বাসের ছন্দে বুকের পর্যাপ্ত ওঠা-নামা। তবু স্বস্তি হল না ওর। তিন বোনকেই টেপ জামা পরিয়ে শুইয়ে গিয়েছিল, এখন তিনজনই উদোম হয়ে শুয়ে। জানালা বন্ধ করার সময় আকাশে মেঘের ফুর্তি দেখেছে সে, রাতে বৃষ্টি হলে নির্ঘাত ঠান্ডা লেগে যাবে মেয়েগুলোর। মোহর উঠে এসে পায়ের কাছে রাখা পাতলা চাদরটা তুলে এনে, ওদের বুক পর্যন্ত ঢেকে দিল। বকুল ঘুমোয়নি। ঘাপটি মেরে পড়ে আছে। এমনকি, মা যাতে বুঝতে না পারে তার জন্য বোনেদের মতোই শ্বাস-প্রশ্বাসের তালে তালে চলছে বুকের ওঠা-নামা। মা আজ খ্যাংরা খোক্কসের গল্পটা শোনাবে বলেছিল, শোনায়নি। টগর ঘুমে কাদা, কিন্তু জুঁই নড়ে উঠল।
মোহর ব্লাউজের নীচের দুটো হুক খুলে একটা দুধ মুখে গুঁজে দিল ওর। বকুল সাত, টগর চার, জুঁই দেড় পেরিয়ে দুই হব-হব করছে। মাস তিনেক হল মোহর আবার পোয়াতি। একটা হাত বকুলের মাথায় রাখল সে। তার পর খুব আস্তে আস্তে বলল, “আজ ঘুমিয়ে পড়। কাল দুপুরে খাওয়ার সময় বলব, দেখে নিস!” বকুল সবে ঠোঁট ব্যাঁকানো শিখেছে। মন মতো কিছু না হলেই ইদানীং ঠোঁট বেঁকিয়ে জানান দেয়। এখনও সে ভাবেই ঠোঁট বেঁকিয়ে ফোঁৎ করে এক বার শ্বাস ছাড়ল সে। মুখে কিছু বলল না। জুঁই দুধ থেকে মুখ বার করে নিয়েছে। চুঁইয়ে চুঁইয়ে লালা ঝরছে দুধের বোঁটা থেকে। মোহরের এখন ফার্স্ট ট্রাইমেস্টার চলছে। কাল সকালে আলট্রাসোনোগ্রাফি করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া আছে। তার আগে ওই দু'জায়গাতে নাম লিখিয়ে এসে, রান্নাঘরের কাজ আছে। মোহর বকুলের মাথা থেকে হাতটা তুলে আনল। ব্লাউজ়ের হুক এখন না লাগালেও চলবে।
Diese Geschichte stammt aus der May 15, 2024-Ausgabe von SANANDA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der May 15, 2024-Ausgabe von SANANDA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।