একাকী ভ্রমণ ও মহিলারা
SANANDA|July 15, 2024
অনেক মহিলাই এখন একা একা ঘুরতে যাচ্ছেন। স্বনির্ভরতা, প্যাশন বা সিঙ্গলহুড কতটা প্রভাব ফেলে এই সিদ্ধান্তে? কেন বাড়ছে একা বেড়াতে যাওয়ার ট্রেন্ড? ট্র্যাভেলার, মনোবিদ ও ট্র্যাভেল কোম্পানি কর্ণধারের সঙ্গে কথা বলে লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়, পৃথা বসু ও উপমা মুখোপাধ্যায়।
মধুরিমা সিংহ রায়, পৃথা বসু ও উপমা মুখোপাধ্যায়।
একাকী ভ্রমণ ও মহিলারা

সা ধারণ ভাবে দেখতে গেলে, মহিলা সোলো ট্র্যাভেলারদের একাংশ কাজের ফাঁকে সময় পেলে ঘুরতে যান, তাঁরা উপার্জনের একটা বড় অংশই বেড়ানোর পিছনে খরচ করেন। এঁদের কেউ সিঙ্গল, কেউ সংসার, স্বামী, সন্তান থাকলেও একা ঘুরতে পছন্দ করেন। আবার কেউ কেউ অবসর নেওয়ার পর ঘুরতে যান। একাংশ রয়েছেন, যাঁরা চাকরি ছেড়ে বেড়ানোকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন।

কেন একা বেড়াতে যেতে চাইছেন মহিলারা? মনোবিদ শ্রীময়ী তরফদারের মতে, “যাঁরা একা একা বেড়াতে যান, তাঁরা ঠিক কোন মনস্তত্ত্ব থেকে এটি পছন্দ করেন, তার আগে একটি বিষয় বোঝা দরকার। সেটা হল মেয়েদের আর্থিক স্বাধীনতা।” এখন বহু মহিলাই আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর। সব ক্ষেত্রে যে আর্থিক স্বনির্ভরতা স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে, তেমন নয়। পরিবারের বাধা বা নিজের মনের মধ্যে সাহস জুগিয়ে ওঠাও জরুরি। কিন্তু ঘুরতে গেলে তো খরচ লাগে, সেই জায়গাটা দুর্বল হলে সিদ্ধান্ত নেওয়াও কঠিন হয়ে যায়। ভারতে মধ্য তিরিশ থেকে মধ্য ষাটের মধ্যে সিঙ্গল মহিলার সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। ফলে, স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির অনুমতির প্রয়োজন তাঁদের হয় না। গঠনমূলক ভাবে সময় কাটানোর জন্য তাঁরা আজকাল বেছে নিচ্ছেন সোলো ট্র্যাভেল। তাঁদের মধ্যে 'সেন্স অব অটোনমি' তৈরি হচ্ছে। কেউ কেউ দিনের পর দিন অফিস আর সংসারের জাঁতাকল সামলাতে গিয়েও নাজেহাল হয়ে বেড়াতে যান। তাঁদের কাছে বাঁচার রসদ একা ঘুরতে যাওয়া। বেড়ানোর সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের যোগ রয়েছে, সকলেই জানেন। পরিবারের বাকিরা একই সঙ্গে ছুটি কাটাতে যেতে পারবেন, তেমনটাও সম্ভব হয় না। শেডিউল এক রকম হয় না সকলের। যে দম্পতির ছোট বাচ্চা আছে, তাঁরা অনেকেই এখন নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করে নেন যে, একজন বেড়াতে গেলে আর একজন বাচ্চার দেখভাল করবেন। মানে, সাপোর্ট সিস্টেম না থাকলে যে আপনি একা ঘুরতে পারবেন না, তেমন নয়। অনেকেই আছেন, যাঁদের বাচ্চাকে দেখার মতো কেউ নেই। তবুও তাঁরা বিকল্প সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করে ঘুরতে যাচ্ছেন।

Diese Geschichte stammt aus der July 15, 2024-Ausgabe von SANANDA.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

Diese Geschichte stammt aus der July 15, 2024-Ausgabe von SANANDA.

Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.

WEITERE ARTIKEL AUS SANANDAAlle anzeigen
পুরুষরা রান্না করতে পারেন। কিন্তু অর্থ ও সম্মান উপার্জনের মাধ্যম না হলে পুরুষরা রান্না করতে চান না
SANANDA

পুরুষরা রান্না করতে পারেন। কিন্তু অর্থ ও সম্মান উপার্জনের মাধ্যম না হলে পুরুষরা রান্না করতে চান না

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর রন্ধনশৈলীর কথা অনেকেই জানেন না। রান্না, সমাজ ও অর্থনীতিকে মিশিয়ে তিনি লিখেছেন নতুন বই ‘ছঁওক’। সাক্ষাৎকারে মধুরিমা সিংহ রায়।

time-read
2 Minuten  |
December 30, 2024
তুলসী লাগে না গণেশ পুজোয়
SANANDA

তুলসী লাগে না গণেশ পুজোয়

বাঙালি সাহিত্যের এই গল্পের ধারা বিশদ ও মনোগ্রাহী। এখানে বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে সম্পর্ক, আবেগ ও মানবিকতা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গল্পটি কিছুটা নস্টালজিক, কিছুটা রোমান্টিক এবং সামাজিক বাস্তবতার ছোঁয়া রয়েছে। ফুলপিসি, মিষ্টু, ন’কাকা এবং তুলসীর মধ্যকার আলাপচারিতা এবং তাদের ব্যক্তিত্বগুলো গভীর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়। গল্পের মূল থিম সম্পর্কের আন্তরিকতা এবং সময়ের স্রোতে সেই সম্পর্কের পরিবর্তন। ন'কাকার চরিত্রটি অতীতের স্মৃতিতে আটকে থাকা একজন মানুষের প্রতীক, যেখানে ফুলপিসির আন্তরিকতা এবং তুলসীর দাপট আলাদা দুই প্রজন্মের দুই নারীর ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে। আপনি যদি এই গল্পটির নির্দিষ্ট অংশের অনুবাদ বা বিশ্লেষণ চান, দয়া করে জানান। বাংলার সাহিত্য পাঠকদের কাছে এটি উপভোগ্য হবে।

time-read
10+ Minuten  |
December 30, 2024
বর্ষশেষের মিষ্টিমুখ
SANANDA

বর্ষশেষের মিষ্টিমুখ

বছর শেষের উত্তেজনায় বাড়তি আনন্দ যোগ করে নানা রকম মিষ্টি পদ। তাই এই শীতের মরসুমে লোভনীয় কেক, পেস্ট্রি ও ডিজার্টের সন্ধান দিলেন হোমশেফ ও বেকার আদৃতা চৌধুরী।

time-read
4 Minuten  |
December 30, 2024
নারী, প্রতিবাদ ও মুক্তির জয়গান
SANANDA

নারী, প্রতিবাদ ও মুক্তির জয়গান

প্রতিবাদের গনগনে আঁচে রাতের আঁধারেও ঝলসে উঠেছিল মুক্তির জয়রথ। সংগ্রামী সত্তা, নারী স্বাধীনতা ও এক স্তিমিত জাতির রেনেসাঁ। কলম ধরলেন অলকানন্দা রায়।

time-read
6 Minuten  |
December 30, 2024
লক্ষ্মীর ঝাঁপি থাকুক শ্রীময়ীদের হাতেই
SANANDA

লক্ষ্মীর ঝাঁপি থাকুক শ্রীময়ীদের হাতেই

শিক্ষা এবং কাজের জগতে নারী আগল ভেঙে বেরিয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কি করায়ত্ত হয়েছে তার? প্রশ্ন তুললেন লেখক, অধ্যাপক ও সাংস্কৃতিক কর্মী পৃথা কুণ্ডু।

time-read
9 Minuten  |
December 30, 2024
লক্ষ্মীর ঝাঁপি থাকুক শ্রীময়ীদের হাতেই
SANANDA

লক্ষ্মীর ঝাঁপি থাকুক শ্রীময়ীদের হাতেই

শিক্ষা এবং কাজের জগতে নারী আগল ভেঙে বেরিয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কি করায়ত্ত হয়েছে তার? প্রশ্ন তুললেন লেখক, অধ্যাপক ও সাংস্কৃতিক কর্মী পৃথা কুণ্ডু।

time-read
9 Minuten  |
December 30, 2024
পেটিকোট ক্যানসার: কতটা আশঙ্কার
SANANDA

পেটিকোট ক্যানসার: কতটা আশঙ্কার

কিছু সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে খবরে এসেছে ‘পেটিকোট ক্যানসার'। খুব একটা কমন না হলেও সতর্ক থাকতে বলছেন ডাক্তাররা। জানাচ্ছেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট, মেডিক্যাল অঙ্কোলজি ডা. সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়

time-read
2 Minuten  |
December 30, 2024
কনটেন্টের মহাসাগরে ‘মস্তিষ্কের পচন’!
SANANDA

কনটেন্টের মহাসাগরে ‘মস্তিষ্কের পচন’!

‘ব্রেন রট’ শব্দটি জিতে নিয়েছে অক্সফোর্ড ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার-এর খেতাব। জনপ্রিয়তার আড়ালে আসলে এ কোন অশনি সঙ্কেত? জানালেন মনোবিদ অন্বেষা ভট্টাচার্য ও ডেভেলপমেন্টাল সাইকোলজিস্ট মীনাক্ষি খুরানা সাহা। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায়।

time-read
5 Minuten  |
December 30, 2024
প্রসঙ্গ: ডাউন'স সিনড্রোম
SANANDA

প্রসঙ্গ: ডাউন'স সিনড্রোম

ডাউন'স সিনড্রোম নির্ণয়ের উপায় ও বাচ্চাদের সম্ভাব্য সমস্যার কথা বললেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট পিডিয়াট্রিশিয়ান ডা.শমীক ঘোষ। দিলেন পাশে থাকার দিশাও। শুনলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।

time-read
4 Minuten  |
December 30, 2024
ক্ষমতার রাজনীতি ও নারী
SANANDA

ক্ষমতার রাজনীতি ও নারী

নারীকে দেখতে হবে একক সত্তা হিসেবে। সে শাসিত নয়, তার উল্টোদিকে থাকা মানুষটিও শাসক নয়। নারী-পুরুষের সম্পর্ক ও নারীকে নিয়ন্ত্রণের সামাজিক মনস্তত্ত্ব নিয়ে জানালেন মনোসমাজকর্মী রত্নাবলী রায়। নারী ক্ষমতায়নের রাজনীতি নিয়ে মতামত দিলেন অধ্যাপক ও সমাজকর্মী শাশ্বতী ঘোষ। লিখছেন জয়শ্রী রায়।

time-read
7 Minuten  |
December 30, 2024