কথাই তো বলতে চায় না!

অনেক অভিভাবকেরই এটা অভিযোগ, তাঁদের বাচ্চাদের টিনএজার নিয়ে। বাড়ির লোকের সঙ্গে এমন সম্পর্ক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করলেন কনসালট্যান্ট সাইকায়াট্রিস্ট ডা. রিমা মুখোপাধ্যায়।

বন্ধুদের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বকবক করছে, এদিকে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলার সময় নেই! কেমন যেন ছাড়া ছাড়া সম্পর্ক সকলের সঙ্গে। অনেক টিনএজারের অভিভাবকই এই বিষয়টা অনুভব করেন।

ছাড়া ছাড়া সম্পর্কের কারণ . বয়ঃসন্ধির সময় থেকে ব্রেন ডেভেলপমেন্ট অনেক বেড়ে যায়। রিজনিং, অ্যাবস্ট্রাক্ট থিঙ্কিং, ক্রিটিকাল থিঙ্কিং, জাজমেন্ট অনেকটাই এই বয়সে হতে শুরু করে। ফলে নিজস্ব মতামতও তৈরি হয়। পড়াশোনা, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মেলামেশা, ইত্যাদির ফলেও তার এক্সপোজ়ার হয়। বড়রা বলছেন বলেই কিছু মেনে নেয় না ছোটরা। তর্ক করার প্রবণতাও এই বয়স থেকেই শুরু হয়। তার আগে বাচ্চারা জেদ করলেও, তর্ক সেভাবে করে না। কিন্তু এই বয়সে....

ধরুন একটি ছেলের কোনও বান্ধবী যে পোশাক পরেছে, তা নিয়ে ছেলেটির বাড়ির লোক বিরূপ মন্তব্য করলেন। তখন ছেলেটি কিন্তু তর্ক করবে। ছাড়া ছাড়া সম্পর্কের একটা বড় কারণ, এই মতের অমিল। ‘ভ্যালু সিস্টেম’এর তফাতের কারণে, বড়রাও সব সময় বাচ্চাকে বুঝতে পারেন না ।