মাইল্ড অটিজম বিষয়ে..

অটিজমের তীব্রতা বিভিন্ন পর্যায়ের হয়। মাইল্ড অটিজম নিয়ে বিশদে কথা বললেন কনসালট্যান্ট ও পিডিয়াট্রিক নিউরোলজিস্ট ডা. যশোধরা চৌধুরী। শুনলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।

মাইল্ড অটিজম নিয়ে কথা বলতে হলে, আগে বুঝতে হবে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার কী। এটি হল নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডারের একটি সমষ্টি। কারও মধ্যে অনেক সিম্পটম বা লক্ষণ একত্রে থাকলে, তবেই বলা যায় যে তার অটিজ়ম রয়েছে। জন্মের সময় কিন্তু এ সব লক্ষণ শনাক্ত করা যায় না। বাচ্চাকে পর্যবেক্ষণ করে অভিভাবকরা ধীরে ধীরে বুঝতে পারেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে তাঁরা বলে দিতে পারেন। অটিজম জিনগত এবং পরিবেশগত কারণে হতে পারে ঠিকই, তবে নির্দিষ্ট করে কোনও কারণ গবেষকরা এখনও বলতে পারেননি। অটিজমের তীব্রতা মানুষ ভেদে আলাদা হয়— কারও ক্ষেত্রে লক্ষণের প্রকাশ কম হয়, কারও ক্ষেত্রে বেশি। সে জন্যই অটিজমকে এখন মাইল্ড, মডারেট, সিভিয়ার— এই পর্যায়গুলিতে ভাগ করা হয়।

কী ভাবে বোঝা যাবে? বাচ্চার স্বাভাবিক বৃদ্ধির পথে কিছু সমস্যা হচ্ছে কি না, নজর রাখতে হবে বাবা-মাকে। কী সেগুলো?

• মাইল্ড অটিজম যাদের রয়েছে, তারা সকলের সঙ্গে খেলতে পছন্দ করে না, একা খেলতে ভালবাসে। একই ধরনের খেলা খেলতে পছন্দ করে।

• কারও সঙ্গে সহজে মিশতে পারে না।

• কারও কারও ক্ষেত্রে 'স্পিচ ডিলে' দেখা যায়, অর্থাৎ তাদের কথা বলতে দেরি হয়। কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারে না। কাউকে প্রশ্ন করা হলে, উত্তর না দিয়ে প্রশ্নেরই পুনরাবৃত্তি করে। নিজের হাত-পায়ের ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা থাকে। মনোযোগের অভাব দেখা যেতে পারে।