চিনতে পারছিস?” আর স্যর বললেন, “তোর বেয়ারা তো ঢুকতেই দিচ্ছিল না। বলল, অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেই। আমি যত আমি বললাম, “কী বলছেন স্যর! আপনাকে চিনতে পারব না? আসুন, ভিতরে আসুন।” বলি, ‘তোমার বাবু অরিন্দম বাগচী আমার হাতে গড়া ছাত্র,' তা সে তো কিছুতেই শোনে না। শেষে এই ছবিটা দেখাতে কিছুটা নরম হল। বলল, ‘বাবুর পারমিশন লাগবে'। বললাম, নিয়ে এসো। আমি অপেক্ষা করছি। ভাগ্যিস তুই বাড়িতে ছিলি....' স্যরকে নিয়ে বসার ঘরে ঢুকলাম। ভীষণ অবাক লাগছিল। ভাবতেই পারিনি স্যর কোনও দিন ফিরে আসবেন! সোফা দেখিয়ে বললাম “বসুন।” তার পর বললাম, “শনি-রবি বাড়িতেই থাকি। না হলে বাকি দিনগুলো কাজ সেরে ফিরতে ফিরতে রাত দশটা-এগারোটা।”
কাঁধ থেকে ঝোলা ব্যাগটা নামিয়ে স্যর বসলেন। কত রোগা হয়ে গিয়েছেন! পাহাড়ের মসৃণ ঢালের মতো সেই কাঁধ এখন ঝুঁকে এসেছে। চওড়া বুক জলহারা নদীর মতো সঙ্কীর্ণ। ঘন কালো চুল হালকা, কাঁচা-পাকা। গালে বর্ষার তৃণের মতো অগোছালো দাড়ি গায়ের চামড়াটা যেন হাড়ের সঙ্গে লেগে আছে, একটু টানেই ছিঁড়ে যাবে। তবে ঠোঁটের কোণে সেই অমায়িক হাসিটা রয়ে গিয়েছে এখনও।
হাসিটা ধরে রেখেই স্যর বললেন, “তোর মুখটা কিন্তু একই রকম আছে। তবে শরীরে বেশ মেদ জমেছে।” আমি হাসলাম, লজ্জিতও হলাম। দেখলাম, জামার হাতায় স্যর ঘাম মুছছেন। জিজ্ঞাসা করলাম, “ঠান্ডা কিছু দিই স্যর? কোল্ড ড্রিঙ্কস জাতীয় কিছ?”
স্যর বললেন, “সবচেয়ে ভাল হয় এক গ্লাস জল হলে।” বেয়ারার কাছে অর্ডার পৌঁছে দিলাম। এসিটা ঠান্ডার দিকে আরও দু'ধাপ এগিয়ে দিয়ে স্যরের উল্টো দিকের সোফায় বসতে বসতে শুনলাম স্যর বলছেন, “আমি তো আজ সকালে বরাহনগরে এসে তাজ্জব হয়ে গেছি। এ কোথায় এলাম রে বাবা! কিছুই তো চিনতে পারছি না। বিরাট বিরাট বিল্ডিং, চওড়া রাস্তাঘাট, এত গাড়িঘোড়া, মাথার উপর মেট্রো চলছে— মনে মনে ভাবছিলাম, এ কি আমারই শহর? নাকি আমি এই শহরের? তার পরই ভাবলাম, আমি কিছু চিনি বা না চিনি, আমায় কেউ চিনুক বা না চিনুক, এই শহরে একজন আছে, যে ঠিক আমাকে চিনে নেবে। সে যে আমারই সত্তা। তার কোনও ভুল হবে না।”
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “আজ সকালে এসেছেন? তা সারাটা দিন ছিলেন কোথায়?”
Diese Geschichte stammt aus der August 15, 2024-Ausgabe von SANANDA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der August 15, 2024-Ausgabe von SANANDA.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
স্কিবিডি টয়লেট: গেমিংয়ের নতুন ট্রেন্ড
জেন আলফা মেতে রয়েছে • এক নতুন 'বিজার' গেমে। নাম, ‘স্কিবিডি টয়লেট'। নেপথ্যের সম্ভাব্য কারণ কী? বিশদে জানাচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালট্যান্ট পায়েল ঘোষ।
চ্যালেঞ্জ ছিল অবাঙালিদের বাঙালি খাবার খাওয়ানো, সেটা আমি পেরেছি
রাত আড়াইটের ফ্লাইট ধরে ভোর পাঁচটায় কলকাতায় এসে নেমেছেন এক ইভেন্টে যোগ দিতে, আবার সাড়ে ছ'টার ফ্লাইট ধরে ফিরে যাবেন মুম্বই। তারই ফাঁকে স্পেশ্যালিটি রেস্তরাঁর অধিকর্তা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি পারমিতা সাহা
শব্দ, আলোয় দূরে থাক পোষ্য
দীপাবলির ‘আনন্দ’ থেকে দূরে রাখুন পোষ্যেদের। জানাচ্ছেন বিশিষ্ট সার্জন ও পশু বিশেষজ্ঞ ডা. গৌতম মুখোপাধ্যায়।
দূষণ বনাম জীবন!
বেঁচে থাকতে অপরিহার্য পরিষ্কার বাতাসে শ্বাস নেওয়ার অধিকারটুকু। বায়ুদূষণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আমরা? জানাচ্ছেন অধ্যাপক অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায় ও পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী। লিখছেন অনিকেত গুহ ও মধুরিমা সিংহ রায়।
বায়ুদূষণ ও শ্বাসজনিত সমস্যা
বায়ুদূষণ আমাদের শ্বাসযন্ত্রে কী প্রভাব ফেলছে? বিশদে জানাচ্ছেন কনসালট্যান্ট পালমোনোলজিস্ট ডা. সুস্মিতা রায়চৌধুরী ও অ্যালার্জিস্ট ডা. কল্লোল পাল। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায় ও পৃথা বসু।
সবুজ দীপাবলি: আদৌ সম্ভব?
দীপাবলিকে দূষণমুক্ত করার জন্য কী করা যেতে পারে? সবুজ বাজি এই লক্ষ্যে কতটা সফল? বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
স্লিপ ডিভোর্স:সম্পর্ক ও বিজ্ঞান
নিদ্রা-বিচ্ছেদ! বাংলা তর্জমা করলে খানিক এমনই দাঁড়ায় শব্দবন্ধটি। স্লিপ সাইকোলজির গহীনে কি লুকিয়ে ‘সুস্থ’ দাম্পত্যের সমীকরণ? সন্ধান করলেন অনিকেত গুহ।
বন্ধুদের অনুরোধে শুরু, আর পিছন ফিরে তাকাইনি
নানা ইভেন্টে, রেস্তরাঁয় বা বিয়েবাড়িতে সুদৃশ্য টেবল ডেকরেশন করেন অ্যামি কোঠারি। টেবল স্টাইলিস্ট হিসেবে ১০ বছরের কেরিয়ার। তাঁর জার্নির কথা শুনলেন মধুরিমা সিংহ রায়।
সতর্ক হোন মরসুমি জ্বরে...
শীত ও আর্দ্রতার মিশেলে, ভরা হেমন্তেও ঘরে ঘরে ‘সিজনাল ফিভার'। কী করবেন, কী নয়, জানালেন অধ্যাপক ও চিকিৎসক ডা.অরুণাংশু তালুকদার এবং বিশিষ্ট জেনারেল ফিজিশিয়ন ডা. সুবীর মণ্ডল। লিখছেন অনিকেতগুহ।
স্বাদ-এ শেফ
কাবাব, পাই বা সুইস রোল— চেনা পদে অচেনা স্বাদের টুইস্ট থাকলে মুখে তো হাসি ফুটবেই! কলকাতার রেস্তরাঁয় পাওয়া যাবে তেমনই স্বাদের সম্ভার। চারটি এক্সক্লুসিভ পদ সাজিয়ে দিলেন কাফে কোর্টইয়ার্ড-এর কর্ণধার সুদর্শনা দত্ত চাকলাদার।