আ বহমান কাল ধরে বাংলার মানুষের শীতকালীন উৎসবের প্রধান উপাদান হল ‘খেজুর রস’। শীতকালে গ্রামীণ মানুষদের একাংশ তাদের জীবন-জীবিকায় এটিকে মূল হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে। তাদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার অনেকখানি জুড়ে থাকে খেজুর গাছের মিষ্টি স্বাদু রসের ভাণ্ডার। দারিদ্র্যক্লিষ্ট মানুষগুলোর কাছে এই সময় খেজুর গাছই হয়ে ওঠে ভাতের জোগানদার, অন্নদাতা।
শীতে যারা খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে, তারাই ‘শিউলি’। স্থানাভেদে আবার ‘গাছি’। পরিযায়ী পাখিদের মতো এই শিউলিরা ঠিক শীতের শুরুতে হাজির হয় খেজুর গাছের এলাকায়। গড়ে তোলে তাদের অস্থায়ী বাসস্থান। তাদের এই বাসস্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে তাদের রুটিরুজির সংস্থানএক শীতকালীন বিপণন কেন্দ্র।
কুয়াশাঘেরা সকালে শুরু হয় খেজুর রসে জ্বাল দেওয়া। রস ঘন হলে তৈরি হয় পাটালি। কথিত, গ্রিক সম্রাট আলেকজান্ডারের সঙ্গে সঙ্গেই নাকি খেজুরগাছ এ দেশে এসেছে। এই খেজুর গাছের মধ্যে এমন মধুরস সঞ্চিত রয়েছে, এ খবর কেমন করে আমরা জানলাম? বা কে এই রস সঞ্চয় করে প্রথম গুড় বানিয়েছিল? সেকথা সেভাবে জানা যায় না। তবে জানা যায়, বর্তমান বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলা এবং আমাদের রাজ্যের নদীয়া, ২৪ পরগনা, হুগলি ও বর্ধমান জেলার খেজুর রস থেকে খেজুর গুড় বানানোয় শিল্পের প্রসার লাভ করে সিপাহি বিদ্রোহের সময়কাল (১৮৫৭) থেকেই।
খেজুর রস সংগ্রহের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র ছিল অবিভক্ত বাংলা। বাংলার গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকার গ্রামগুলিতে গোটা শীত জুড়ে চলে খেজুর গাছের রস সংগ্রহের কাজ। বাংলায়
আখ, তাল ও খেজুর— এই তিন রকম মিষ্টি রস পাওয়া যায়। এই তিন ধরনের রস থেকেই গুড় তৈরি হয়। তবে স্বাদে-গন্ধে খেজুর রসই সর্বোৎকৃষ্ট বলে দাবি করেন অনেকে। অনেকে সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন খেজুর রসের জন্য। খেজুর উৎপাদনে আরব অঞ্চল বাংলার থেকে এগিয়ে। কিন্তু সে দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, মাটি ও আবহাওয়া রস সংগ্রহের প্রতিকূল। আমাদের দেশে উৎপাদিত খেজুরের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘ফিনিক্স সিলভেস্টিস'। প্রকৃতিগতভাবে এই খেজুর কিছুটা নিম্নমানের। তাই খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের দিকে বাঙালির ঝোঁক বেশি।
Diese Geschichte stammt aus der January 2023-Ausgabe von Sukhi Grihakon.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der January 2023-Ausgabe von Sukhi Grihakon.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।