নাম তাঁর উত্তমকুমার। পিতৃদত্ত নাম অরুণকুমার ৷ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর আরও একটা নাম ছিল, সেটা হল হেরম্ব চট্টোপাধ্যায়। বহু শিশুর রাশি অনুযায়ী নামকরণ করা হয়। হেরম্ব নামটাও ছিল তাঁর রাশি অনুযায়ী। ৪৬/এ, গিরিশ মুখার্জি রোডের অভিজাত বাড়ির ছেলে তিনি। বড় হয়ে উত্তমকুমার তাঁর অভিনয়ের মধ্য দিয়ে মানুষকে উদ্বেলিত করে তুলেছিলেন। কিন্তু ছেলেবেলায় কোন নাটকে ছিল তাঁর প্রথম অভিনয়? সেটা হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মুকুট’। তখন উত্তমকুমার স্কুলের ছাত্র। বন্ধুরা মিলে গড়ে তুলেছিলেন 'লুনার ক্লাব'। বন্ধুরাই নিজেদের বাড়ি থেকে চাদর এনে তাই দিয়ে বাঁধল অভিনয়ের মঞ্চ। সেখানেই ‘মুকুট’ অভিনীত হয়। সেই নাটক দেখে উত্তমের অভিনয় দেখে জ্যাঠামশাই অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় খুব খুশি হয়ে আশীর্বাদ করেছিলেন। জ্যাঠামশাইদের ছিল যাত্রার ক্লাব। সেখানে আড়াল থেকে অভিনয় দেখেই ছোট উত্তমকুমারের অভিনয়ের নেশা জেগেছিল। পরে এই লুনার ক্লাবের বেশ কয়েকটি নাটকে তিনি অভিনয় করেছিলেন। সেগুলি হল ‘কচি সংসদ’, ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘ডাকঘর’, ‘বৈকুণ্ঠের খাতা' ইত্যাদি।
এর পর স্কুলে অভিনীত হয় ‘গয়াসুর’ নাটকটি। সেখানে ছোট্ট গয়াসুরের ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি প্রশংসিত হলেন এবং পেলেন দু'টি মেডেল। ওই নাটকে উত্তমকুমার বেশ কয়েকটি গানও গেয়েছিলেন। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর আবার নাটকের রিহার্সাল শুরু হল। সেবার অভিনীত হল ডি এল রায়ের ‘সাজাহান'। উত্তমকুমার অভিনয় করলেন দারার চরিত্রে।
প্রথম সিগারেট খাওয়ার ঘটনাটাও বেশ চমকপ্রদ। কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়ে প্রথম সিগারেট খেয়েছিলেন তিনি। তখন ক্যাপস্টান ম্যাগনাম সিগারেটটা খুব চলত। এক বন্ধু ধরিয়ে দুটো টান দিয়ে উত্তমকে বলল, “টান’। উত্তম কিন্তু কিন্তু করছেন। এক বন্ধু লালু বললেন, “টান, কিছু হবে না।' একটা সিগারেট বন্ধুরা পালা করে টানলেন। কিন্তু বাড়ি ফিরতে হবে। কী করা যায়! লালুর সঙ্গে তিনি ঢুকলেন ভবানীপুরের শ্রীহরি ভাণ্ডারে। সেখান থেকে কিছু খেয়ে গন্ধ ঢাকার চেষ্টা করলেন। পরস্পরের মুখ শুঁকে দেখলেন গন্ধ বেরচ্ছে কি না! বাড়ি ফিরেও স্বস্তি নেই। বড়রা যদি মুখ থেকে সিগারেটের গন্ধ পেয়ে যান! অগত্যা আলমারি থেকে ওডিকোলন বের করে কিছুটা মেখে সিগারেটের গন্ধ তাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
Diese Geschichte stammt aus der September 2024-Ausgabe von Sukhi Grihakon.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent ? Anmelden
Diese Geschichte stammt aus der September 2024-Ausgabe von Sukhi Grihakon.
Starten Sie Ihre 7-tägige kostenlose Testversion von Magzter GOLD, um auf Tausende kuratierte Premium-Storys sowie über 8.000 Zeitschriften und Zeitungen zuzugreifen.
Bereits Abonnent? Anmelden
চিৎকার করে বলেন ‘প্যাক আপ!’
কোনও শিল্পীর হেয়ার, ড্রেস, মেকআপ নিয়ে রাজজি শুধু নিজের পছন্দটাই দেখতেন না, শিল্পী নিজে কতটা সন্তুষ্ট এবং খুশি, তাও জিজ্ঞেস করতেন। কাউকে জোর করে কাজ করাতে রাজজি পছন্দ করতেন না।
হিন্দি ছবি করবেন?
একসময় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিতে চেয়েচিলেন রাজ কাপুর। তাও বন্ধে যাননি নায়িকা। সেসব স্মৃতি আজও বড় তাজা মাধবী মুখোপাধ্যায়-এর কাছে। লিখলেন নানা কাহিনি।
লোভ দিস গার্ল!, কমপ্লিমেন্ট দিয়েছিলেন রাজ সাহেব'
তাঁর ‘পাপাজি’কে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।
‘সিমি, ছবি করার জন্য ভালোবাসা চাই...
সিনেমার কথাই ভাবতেন সবসময়। এব্যাপারে রাজ কাপুরের প্যাশনের কোনও শেষ ছিল না। কিংবদন্তিকে নিয়ে লিখেছেন সিমি গারেওয়াল।
আমার সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্ক ছিল!
রাজ সাহেবের ‘ফ্যান' হয়ে গিয়েছিলাম। লিখছেন জিনত আমন।
এভাবে কলকাতার মেয়েরা চুল বাঁধে না!
বাংলা ছবির অনুরাগী রাজ কাপুরের সঙ্গে বহু আড্ডা দিয়েছেন। সেই সব স্মৃতিই জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়।
চলচ্চিত্র যাঁর প্রেমিকা, প্রাণভোমরা
ভারতীয় সিনেমার প্রেমিকপুরুষ রাজ কাপুরকে নিয়ে লিখছেন চণ্ডী মুখোপাধ্যায়।
কলকাতার সঙ্গে ছিল নাড়ির টান
এই শহরেই কেটেছিল রাজ কাপুরের শৈশব। ফেলে আসা সেই দিনের স্মৃতির কথায় সুমন গুপ্ত।
চারির গোছা
বাইরে থেকেই কান্নাভেজা গলায় চেঁচিয়ে উঠল ফুলি, ‘ও দাদু, দাদু গো, আমার ভুল হয়ে গেচে, আর কিচু বলব না আমি। কিন্তু আমায় তাইড়ে দিলে তোমায় কে দেকবে?'
প্রকৃতি ও ভারত মিশেছে অজন্তায়
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্যতম দ্রষ্টব্য অজন্তা গুহা। এই গুহার ভাস্কর্য রচনার আগে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। রূপক ও বাস্তবের সংমিশ্রণে উঠে এল অজন্তা ভাস্কর্যের সেই মায়াময় সূচনা। লিখছেন দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী।