
ছোট-বড় কয়েকটি হ্রদ আর একটি প্রাণবন্ত ঝরনা। লুকিয়ে রয়েছে মেঘালয়ের ওয়েস্ট খাসি পাহাড়ের নিরালা এক কোণে। এবারের অতি সংক্ষিপ্ত মেঘালয় ভ্রমণের উদ্দেশ্য ছিল সেই লুকোনো হ্রদ আর ঝরনার পাশে কয়েকটা দিন কাটানো।
হাতে অল্প সময়। তাই শিলং ঢোকার আগে বড়াপানি তথা উমিয়ম লেকের পাশে কয়েক পল দাঁড়ানোই হল শুধু, বোটিং করা হল না। সুন্দর এই লেক আর তার মধ্যে জেগে থাকা সবুজ দ্বীপগুলি সহস্র বার দেখলেও পুরনো হওয়ার নয়। কিছুক্ষণ পরই শিলং শহরকে ছুঁয়ে আমরা ধরলাম শিলং নংস্টোইন তুরা হাইওয়ের চমৎকার পিচ বাঁধানো রাস্তা। দু'পাশের দৃশ্য নয়নাভিরাম। এই রাস্তার উপর একটি বড় জনপদ, মইরাং। বাজার, দোকানপাট, থাকার জায়গা, গির্জা, স্কুল, সবই রয়েছে। মইরাং থেকে মারকাসা ২৭ কিলোমিটার। মারকাসা থেকে ডান দিকে যে-রাস্তা গিয়েছে সেটি বেশ সংকীর্ণ, খাড়াইও অনেকটা। কিছু দূর গিয়ে সেই রাস্তাই মোড় থেকে সামনে দু'দিকে ভাগ হয়ে গিয়েছে— বাঁয়ে হোমস্টেতে যাওয়ার কাঁচা রাস্তা, ডাইনে মাওফানলুর লেকে যাওয়ার পথ। তখন সন্ধে নামছে। মাওফানলুরের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য ভোর হওয়ার অপেক্ষা করতেই হবে। তাই আমরা বাঁদিকের রাস্তাটি নিলাম আপাতত।
হোমস্টেটি পাহাড়ের ধারে আর আমাদের কটেজটি একেবারে শেষ প্রান্তে, তারপরই খাদ। ঝকঝকে সকাল মন ভালো করে দিল। গাড়িতে উঠে প্রথম গন্তব্যই হল, ওয়েস্ট খাসি হিলস জেলার মারখাম, সেই ঢেউখেলানো ঘাসের গালচে পাতা বুগিয়াল যার জন্য এত দূর আসা ! উপত্যকায় চলেফিরে বেড়ানোর জন্য টিকিট কাটতে হল মাথাপিছু দশ টাকা দিয়ে। কোনও গেট বা কাউন্টার নেই। এক গ্রাম্য বালক দূরে এক টিলার মাথায় দাঁড়িয়ে ছিল, রাস্তার ধারে গাড়ি থামতে দেখে তরতর করে নেমে এল নীচে, হাতে ছাপা টিকিট। টিকিট দিয়ে টাকাপয়সা বুঝে নিয়ে চলে গেল অন্য দিকে।
This story is from the February 2025 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the February 2025 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।