রণথম্ভোরের রাজকাহিনি

সওয়াই মাধোপুর স্টেশনে নামতে বেলা গড়িয়ে দুপুর হল। রাজস্থানের দক্ষিণ-পূর্বের জেলা সওয়াই মাধোপুর। খ্যাতি, ভারতের অন্যতম বাঘ সংরক্ষণ অঞ্চল, রণথম্ভোরের জন্য। ২০২৪-এর হোলির ছুটিতে চলেছি রণথম্ভোরের বাঘেদের সংসারে।
স্টেশন থেকে গাড়িতে পনেরো-কুড়ি মিনিটে এসে গেলাম টাইগার মুন রিসর্টে। সুবিশাল রিসর্ট। ঘুরে দেখতে দেখতেই সন্ধে হয়ে গেল। রিসর্টের ডাইনিং হলের ছাদ থেকে জঙ্গলের বাফার অঞ্চলের সীমানা নজরে আসে। সন্ধে নামলেই নীল গাই এবং শেয়ালরা বেরিয়ে পড়ে। রিসর্টের বাইরে অবশ্য কাঁটাতারের বেড়া! তার পরও রাতের খাওয়া সেরে ঘরে ফেরার সময় দেখি ডাইনিং হলের ছাদে টর্চ জ্বালিয়ে লোকজন হুড়োহুড়ি করছে! কী ব্যাপার? টর্চের আলোয় স্পষ্ট দেখলাম, একটা চিতাবাঘ দূরে অন্ধকারে মিলিয়ে যাচ্ছে।
পরদিন সকালে আমাদের প্রথম সাফারি চার নম্বর জোনে। দুই, তিন আর চার নম্বর জোনের মধ্যেই ঋদ্ধি (টি ১২৪), কার্তিক (টি ১২১), গণেশ (টি ১২০) নামের জনপ্রিয় বাঘেদের আনাগোনা। গাইড আর গাড়ির চালক হোটেলে
এসে আমাদের নিয়ে গেলেন এন্ট্রি পয়েন্টে। এক থেকে পাঁচ নম্বর জোনে ঢোকার জন্য একটি গেট, ছয় থেকে দশ নম্বর জোনের জন্য অন্য একটি গেট। নির্ধারিত প্রবেশদ্বার দিয়ে এসে পড়লাম চার নম্বর জোনে।
গাছপালার অভিনব বিন্যাস, পাহাড় আর ছেয়ে থাকা ধূসর আভা নিয়ে এ জঙ্গল একেবারে অন্য রকম। ১,৩৩৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট জঙ্গলের উত্তরে বানস আর দক্ষিণে চম্বল নদী। ঐতিহাসিক রণথম্ভোর দুর্গের নামবাহী জঙ্গল একদা জয়পুরের মহারাজাদের মৃগয়াক্ষেত্র ছিল। ১৯৭৪ সালে ব্যাঘ্র প্রকল্পে পরিণত হয়।
আপাতত বাঘেদের মধ্যে ঋদ্ধির খোঁজেই আমাদের উৎসাহ বেশি। অ্যারোহেডের (টি ৮৪) কন্যা ঋদ্ধি, রণথম্ভোরের লেক এলাকায় একাধিপত্য চালাচ্ছে। এলাকাছাড়া করেছে মা অ্যারোহেড এবং বোন সিদ্ধিকে। চার নম্বর জোনের মালিক তালাও থেকে তিন নম্বর জোনের ■ রাজবাগ, পদম তালাও— সর্বত্র তার বিচরণ। কিন্তু আসলে এখন সে কোথায়, সেটাই প্রধান প্রশ্ন।
This story is from the March 2025 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the March 2025 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল
হরিদ্বার থেকে দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কুণ্ড হয়ে চোপতা। চোপতা থেকে তুঙ্গনাথ, চন্দ্রশিলা। তারপর যোশিমঠ থেকে বদ্রীনাথ, আউলি হয়ে গরসন বুগিয়াল। গাড়োয়ালের নিসর্গপথে বেড়ানোর সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।