চোপতা তুঙ্গনাথ আউলি গরসন বুগিয়াল

জুনের প্রথম সপ্তাহ। ঠিক সকাল দশটায় নয়াদিল্লি স্টেশনে পৌঁছল রাজধানী এক্সপ্রেস। ট্রেন থেকে নেমে গাড়িতে ওঠা অবধি টের পেলাম দিল্লির গরম! দুপুর নাগাদ পৌঁছলাম হরিদ্বার। সেদিনের আশ্রয় ভোলাগিরি আশ্রমে। বিড়লা ঘাটে স্নান সেরে শরীর-মন ঠান্ডা হল! চার ধাম (গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ, বদ্রীনাথ) যাত্রার জন্য হরিদ্বার লোকারণ্য। প্রচণ্ড ভিড় ঠেলে, কোনওক্রমে দেখলাম সান্ধ্য গঙ্গা-আরতি। পরদিন ঠিক ভোর চারটেয় শুরু হল আমাদের যাত্রা।
হৃষীকেশ পেরিয়ে, ব্যাসি ছাড়িয়ে প্রথম হল্ট দেবপ্রয়াগে। অলকানন্দা ও ভাগীরথীর মিলন স্থল দেবপ্রয়াগ। এবার যত এগোব, অলকানন্দা চলবে পাশে পাশে। এভাবেই পৌঁছে যাব শ্রীনগরে। অলকানন্দার তীরে, পাইন-দেওদারের ছায়ায় বেশ বড় শহর শ্রীনগর। কোনও এক কালে রাজধানী ছিল গাড়োয়ালের। এখান থেকে ৩৫ কিলোমিটার এগিয়ে দ্বিতীয় প্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ। সেখানে কেদারনাথ থেকে আসা মন্দাকিনীর সঙ্গে, বদ্রীনাথ থেকে আসা অলকানন্দার সঙ্গম। মন্দাকিনীর রং নীলচে সবুজ। কুণ্ড অবধি আমরা মন্দাকিনীর পাড় ধরে গেলাম। কুণ্ড থেকে একটি রাস্তা গুপ্তকাশী হয়ে চলে গিয়েছে শোনপ্রয়াগ, সেখান থেকে গৌরীকুণ্ড হয়ে কেদারনাথ। অপর একটি রাস্তা উখিমঠ হয়ে গিয়েছে অন্য দিকে। আমরা ওই উখিমঠের রাস্তাটিই নিলাম। গোটা অঞ্চলটাই কেদারনাথ ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির অন্তর্গত।
পাহাড়ি পাকদণ্ডী পথে গাড়ি চলেছে সারিগ্রাম, দুগ্গলভিটা হয়ে চোপতার উদ্দেশে। পাইন, দেওদারে ছাওয়া অনিন্দ্যসুন্দর গ্রাম চোপতা। সবুজ ঢেউখেলানো বুগিয়াল। কিন্তু আমাদের বেশিক্ষণ থাকার উপায় নেই। আজই পৌঁছতে হবে তুঙ্গনাথে। পঞ্চকেদারের শীর্ষতম কেদার, তুঙ্গনাথ (উচ্চতা ৩,৬৮৫ মিটার)।
This story is from the March 2025 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the March 2025 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In

ইয়েলবং
গুহার মধ্যে রুমতি নদীর পাথুরে খাতে হাঁটুজলে বুকজলে হাঁটা, উপর থেকে ঝরে পড়া নদীর জলে ভিজে যাওয়াইয়েলবংয়ে নদীখাত পদযাত্রার সেরা সময় মার্চ-এপ্রিল।

ভাগামনের চা-বাগানে
চা-বাগান, বুগিয়াল আর পাইনবনে ছাওয়া গাঢ় সবুজ ভাগামনে সারাবছর যাওয়া চলে। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ২০ থেকে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করে। ভাগামনের বাড়তি পাওনা প্যারাগ্লাইডিং।

নতুন পথে গোকিও হ্রদ অভিযান
থোনাক লা (৫,৪১৬ মিটার) আর রেঞ্জো লা (৫,৪৩৫ মিটার)-য় দাঁড়িয়ে সোজা তাকালে আকাশের গায়ে ঝকঝক করে এভারেস্ট শৃঙ্গ, আর চোখ নামালে হিমালয়ের নীলকান্তমণি গোকিও হ্রদ। এভারেস্টের পাড়ায় দু'দিক থেকে গোকিও হ্রদ অভিযানের সেরা সময় গ্রীষ্মকাল।

একুশে ফেব্রুয়ারি
১৯৯৮ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির রাতে, গাজী সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে আনিসুজ্জামানের সঙ্গে গভীর আলোচনার পর, ঢাকা শহরের রাস্তায় বাঙালির একুশের মিছিলের অংশ হিসেবে মাতৃভাষার জন্য রক্তদান করা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে ফুলের পাহাড়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলাম।

রণথম্ভোরের রাজকাহিনি
রণথম্ভোর অরণ্যে যাওয়া চলে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ জুন। তবে, গ্রীষ্মে প্রখর দাবদাহ সহ্য করে জলের ধারে অপেক্ষা করলে বাঘের দেখা পাওয়ারই কথা।

মেঘালয় ভ্রমণ
একের পর এক জলপ্রপাত, হ্রদ, নদী, রুট ব্রিজ, প্রাকৃতিক গুহা— সব কিছু নিয়ে মেঘালয় প্রাকৃতিক সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার। বেড়ানোর সেরা সময় মার্চ থেকে জুন। তাপমাত্রা এ-সময় ১৬ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

হাব্বা খাতুনের দেশে
কাশ্মীরের চেনাপথ ছেড়ে এক অচেনা কাশ্মীর ভ্রমণ। মারশেরি, বাঙ্গাস, লোলাব, মচ্ছল ও গুরেজ উপত্যকা। গুরেজ উপত্যকায় যেতে হলে যে গিরিবা পেরতে হয়, সেই রাজদান পাস শীতের মাসগুলোয় বরফে ঢাকা থাকে।

লিপুলেখ থেকে কৈলাস পর্বত দর্শন
কুমায়ুন হিমালয়ের লিপুলেখ গিরিবর্তে দাঁড়ালে দেখা যায় সুদূর তিব্বতের কৈলাস পর্বত। গাড়ি চলে যায় লিপুলেখ পাস পর্যন্ত। তবে, লিপুলেখ পাসে যেতে সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক অনুমতি লাগে। নাবি থেকে নাভিধাং হয়ে লিপুলেখ পাস ৩০ কিলোমিটার । নাবি থেকে আরেক পথে জলিংকং হয়ে আদি কৈলাসও ৩০ কিলোমিটার। পার্বতী সরোবরের ধারে আকাশ আলো করে দাঁড়িয়ে আছে আদি কৈলাস।

আয়ারল্যান্ডের পথে-প্রান্তরে
সাগর, নদী, হ্রদ, আদিগন্ত ঢেউখেলানো সবুজ উপত্যকা, প্রাচীন সব দুর্গ, প্রাসাদ, আড্ডাখানা নিয়ে আয়ারল্যান্ড গ্রীষ্মে ভারি মনোরম।