সর্ষের তেল হার্টের ক্ষতি করে না

একটা বয়সের পর পুরুষদের চেয়ে মেয়েদের হার্ট অ্যাটাকে বিপদের আশঙ্কা থাকে অনেক বেশি। চিকিৎসা করতেও সমস্যা হয়। তাছাড়া অনেকসময় মেয়েদের হার্ট অ্যাটাক প্রথমদিকে বোঝাই যায় না। জানালেন রাজ্য তথা দেশের অন্যতম সেরা কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ অরূপ দাসবিশ্বাস। এও বললেন, ছোটবয়স থেকে খেলাধুলোর মধ্যে থাকলে হার্টও থাকে ভালো। এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারের এইবার দ্বিতীয় পর্ব। কথা বললেন বিশ্বজিৎ দাস।

• সামগ্রিকভাবে হার্টের অসুখ বাড়ছে? চারটি সমস্যাই একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। চারটিই বেড়েছে এবং বাড়ছে। সেগুলি হল ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, করোনারি আর্টারি ডিজিজ, হার্ট ফেলিওর।

হার্ট ফেলিওর অর্থাৎ হার্ট আর কাজ করছে না, তাই তো? •• ঠিক তা নয়। হার্ট ঠিকমতো পাম্প করতে পারছে না। রোগী ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। পা ফুলছে। মোট কথা হার্টের পাম্পিং ঠিক হচ্ছে না। ফলে তাঁর দৈনন্দিন জীবনে ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। একটু হাঁটতে গেলেই হাঁফিয়ে পড়ছেন। সিঁড়ি ভেঙে উঠতে পারছেন না।

• সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ এখন খুবই চর্চার বিষয়। অল্পবয়সিদের মধ্যে এই প্রাণঘাতী সমস্যা খুব বেড়েছে বলা হচ্ছে। •

হ্যাঁ, অল্পবয়সিদের মধ্যে বেড়েছে।

• কত কম বয়সে আপনি হার্ট অ্যাটাক হতে দেখেছেন? •• বাচ্চাদের হার্টের অসুখ নিয়ে কাজ করবার সুবাদে জন্মানোর পরই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, এমন শিশুও দেখেছি। জন্মগত হৃদরোগের কারণেই এমনটা হয়েছিল। হার্টের ধমনির অসুখ বা করোনারি আর্টারি ডিজিজের জন্য ধমনিগুলি ঠিকঠাক গঠিত হয়নি, হার্ট অ্যাটাক হয়েছে-এমন ঘটনা দেখেছি মাত্র ৬ মাসের এক সন্তানের ক্ষেত্রে। আর করোনারি আর্টারি ডিজিজ থেকেই হার্ট অ্যাটাক এবং মৃত্যু—এমন ঘটনা দেখেছি পাঁচ বছরের এক বাচ্চার ক্ষেত্রে। এত বেশি ছিল ওর কোলেস্টেরল !

• সেটাও জন্মগত অসুখ ? ওই বাচ্চাটির ক্ষেত্রে জিনের মারাত্মক প্রভাব ছিল।

• মানে বাবা-মা দুই তরফ থেকেই? •• একাধিক ক্ষেত্র থেকে।

• হার্টের অসুখ তার মানে জিনগত বলছেন? •• না, না। তাহলে তো জীবনশৈলী পরিবর্তনের কোনও মানেই হয় না। জিন, পরিবেশ, ইন্টারাকশন। তিন কারণ।

• জিন কতটা? •• ওইভাবে বলা মুশকিল। বিভিন্ন ধরনের হার্টের অসুখের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম।

• তাও? কত থেকে কত শতাংশ? •• ওইভাবে বলা যাবে না। • পরিবেশ কতটা? • পরিবেশগত প্রভাব বাড়ছে। দূষণ, নিম্নমানের জীবনশৈলী, দিনরাত বাইরের খাওয়াদাওয়া এইসব যত বাড়ছে, তার প্রভাব পড়ছে শরীরে, হার্টে।

• আচ্ছা, বাঙালিদের মধ্যে হার্টের কোন সমস্যা বেশি দেখা যায়। ধমনিঘটিত অসুখ নাকি অ্যারিদমিয়া বা হার্টের ছন্দপতনের সমস্যা।