সূর্যরশ্মির কেরামতি

১৩-১৪ হাজার ফিট উচ্চতার লাদাখও ৩০ জুলাই পার করল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস! পৃথিবী জ্বলছে। এখন তা আর বই বা রিসার্চ পেপারে সীমাবদ্ধ থাকা উদ্বেগ নয়। দূষণে আরও অন্ধকার হচ্ছে পৃথিবী। তাও আর অল্প কিছু প্রান্তে সরব মুষ্টিমেয় চেতনা নয়। সবকিছু আজ চোখের সামনে দেখছে ও ভুগছে মানুষ। তাহলে? তাহলে কিছু তো একটা করতে হবে। যাতে বাঁচে পরিবেশ, স্বাস্থ্য, জীবিকা ও জীবন। শুরু হল বিকল্প শক্তি ও সাধনের খোঁজে নতুন বিভাগ।

মানুষের দৈনন্দিন কার্যকলাপের ফলে প্রতিনিয়ত কয়েক কোটি টন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়ে বায়ুমণ্ডলে মিশে যায়। শক্তি উৎপাদনের জন্য জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে গাছ পোড়ানো থেকে বাতাসে মেশে কার্বন ডাইঅক্সাইড। কৃষিকাজ এবং অন্যান্য সূত্র থেকে তৈরি হওয়া মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইড-এর মতো গ্রিনহাউস গ্যাসও মেশে বাতাসে। তবে অন্যান্য সব গ্রিনহাউস গ্যাসের মধ্যে, সবথেকে বেশি পরিমাণে তৈরি হচ্ছে কার্বন ডাইঅক্সাইড। সেইজন্য বিজ্ঞানীরা এই গ্যাসটিকেই চিহ্নিত করেছে সবথেকে বিপজ্জনক হিসাবে। তাই এর নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখতে না পারলে ঘোরতর বিপদে পড়ব আমরা অর্থাৎ সমগ্র বিশ্ব। তা পূরণ করতে পারার অর্থ হল ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে কার্বন নির্গমণের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক কমিয়ে আনা। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতেই হবে। সেই জায়গায় অচিরাচরিত ও নবায়নযোগ্য শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।